বাংলাদেশ ০৩:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে শোকজ জনগনের ভালবাসায় এগিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী চায়না খানম কালকিনিতে প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ যৌন কর্মীদের কাছ থেকে সাংবাদিক ও পুলিশ চাঁদা আদায়-১ মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি চক্রের ১১ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। শ্রীমঙ্গলে আড়াই বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যা কালকিনিতে স্ত্রীর জন্য শিক্ষকদের কাছে ভোট চাওয়ার অভিযোগ সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন- ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা নব-নির্বাচিত ময়না চেয়ারম্যানকে গণসংবর্ধনা রাবি শিক্ষার্থী জিসানের শতাধিক নিরীক্ষাধর্মী ছবি নিয়ে একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী রাবি সায়েন্স ক্লাবের ” Win the Career Race” কর্মশালার আয়োজন অনিয়মের অভিযোগে ইটভাটায় অর্থদন্ড করে ভ্রাম্যমাণ আদালত রাবিতে শুরু হল দুই দিনব্যাপী আরিইউসিসি জব ফেয়ার কেন্দ্রীয় ম‌হিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠ‌নিক সৈয়দা রা‌জিয়া মোস্তফা’র পৈত্রিক বসতঘরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড যতদিন বাচবো মুলাদীর মানুষের সাথে থাকবো-মিঠু খান

ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরির সফল উদ্যোক্তা আবুল বাসার

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:১১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩
  • ১৬৫৪ বার পড়া হয়েছে

ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরির সফল উদ্যোক্তা আবুল বাসার

 

 

 

 

কে এম আলীঃ
যশোরের অভয়নগরে কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) তৈরি করে সফলতা পেয়েছেন আবুল বাসার নামের এক কৃষি উদ্যোক্তা।
উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর সভার ২ নং ওয়ার্ডের কাপাশহাটী গ্রামের আবুল বাসার সম্পুর্ন নিজ উদ্যোগে কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোষ্ট) তৈরির উদ্যোগ নেন। তার খামারে উৎপাদিত সার জমিতে ব্যবহার করে বিষমুক্ত ফসল ও সবজি উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছেন অনেক কৃষক।
গোবর ও কেঁচোর সমন্বয়ে এ সার তৈরি করতে প্রথম দিকে তার প্রতিবেশীদের দ্বারা বেশ সমালোচিত হলেও এখন তার সফলতা দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে মাটির গুণাগুণ ঠিক রাখতে তার খামারে তৈরি কেঁচো সার ব্যবহারে করে সুফল পাচ্ছেন কৃষকেরা। বাণিজ্যিক ভাবে  জৈব্য সারের চাহিদা বাড়তে থাকায় ২০২০ সালে একটি খামার তৈরি করেন উদ্যোক্তা আবুল বাসার। প্রথমে স্বল্প পরিসরে সার উৎপাদন শুরু করলেও বর্তমানে তার খামারে প্রতিমাসে উৎপাদিত সারের পরিমাণ প্রায় ৪ টন।
তার খামারে তৈরি কেঁচো সার ব্যবহার করে উপকৃত হওয়া কৃষক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘কেঁচো সার ব্যবহার করে তাদের পটল ও ধান ক্ষেতের উর্বরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাসায়নিক সারের ব্যবহার কম করায় ফসল উৎপাদনে খরচও কমেছে।
উদ্যোক্তা আবুল বাসার বলেন, বিশেষ কিছু প্রজাতির কেঁচো গোবর খেয়ে যে মল ত্যাগ করে সেটাই কেচো সার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কৃষকেরা জমির গুণাগুণ ঠিক রেখে অল্প খরচে নিরাপদ সবজি ও ফসল উৎপাদন করতে পারে এ লক্ষ্যে আমি  কেঁচো সার নিয়ে কাজ করছি। প্রতি মাসে আমার খামারে উৎপাদিত কেঁচো সার ও কেঁচো বিক্রি করে যথেষ্ট লাভবান হচ্ছি। তবে সরকারি কোন প্রকার সহযোগিতা না পাওয়ায় তিনি হতাশ প্রকাশ করেন। তিনি সরকারি বা বেসরকারি সহায়তা পেলে খামারটি আরও সম্প্রসারণ করার ইচ্ছা ব্যাক্ত করেন ।
এ বিষয়ে অভয়নগর  উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন বলেন,  নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য কেঁচো সার অনেক প্রয়োজনীয়। কেঁচো
সার গায়েব ব্যবহারে জমিতে কম খরচে অধিক ফসল উৎপাদন সম্ভব। এ কারণে প্রতিনিয়ত কৃষকদের কেঁচো সার ব্যবহার করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে শোকজ

ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরির সফল উদ্যোক্তা আবুল বাসার

আপডেট সময় ০৩:১১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

 

 

 

 

কে এম আলীঃ
যশোরের অভয়নগরে কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) তৈরি করে সফলতা পেয়েছেন আবুল বাসার নামের এক কৃষি উদ্যোক্তা।
উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর সভার ২ নং ওয়ার্ডের কাপাশহাটী গ্রামের আবুল বাসার সম্পুর্ন নিজ উদ্যোগে কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোষ্ট) তৈরির উদ্যোগ নেন। তার খামারে উৎপাদিত সার জমিতে ব্যবহার করে বিষমুক্ত ফসল ও সবজি উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছেন অনেক কৃষক।
গোবর ও কেঁচোর সমন্বয়ে এ সার তৈরি করতে প্রথম দিকে তার প্রতিবেশীদের দ্বারা বেশ সমালোচিত হলেও এখন তার সফলতা দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে মাটির গুণাগুণ ঠিক রাখতে তার খামারে তৈরি কেঁচো সার ব্যবহারে করে সুফল পাচ্ছেন কৃষকেরা। বাণিজ্যিক ভাবে  জৈব্য সারের চাহিদা বাড়তে থাকায় ২০২০ সালে একটি খামার তৈরি করেন উদ্যোক্তা আবুল বাসার। প্রথমে স্বল্প পরিসরে সার উৎপাদন শুরু করলেও বর্তমানে তার খামারে প্রতিমাসে উৎপাদিত সারের পরিমাণ প্রায় ৪ টন।
তার খামারে তৈরি কেঁচো সার ব্যবহার করে উপকৃত হওয়া কৃষক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘কেঁচো সার ব্যবহার করে তাদের পটল ও ধান ক্ষেতের উর্বরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাসায়নিক সারের ব্যবহার কম করায় ফসল উৎপাদনে খরচও কমেছে।
উদ্যোক্তা আবুল বাসার বলেন, বিশেষ কিছু প্রজাতির কেঁচো গোবর খেয়ে যে মল ত্যাগ করে সেটাই কেচো সার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কৃষকেরা জমির গুণাগুণ ঠিক রেখে অল্প খরচে নিরাপদ সবজি ও ফসল উৎপাদন করতে পারে এ লক্ষ্যে আমি  কেঁচো সার নিয়ে কাজ করছি। প্রতি মাসে আমার খামারে উৎপাদিত কেঁচো সার ও কেঁচো বিক্রি করে যথেষ্ট লাভবান হচ্ছি। তবে সরকারি কোন প্রকার সহযোগিতা না পাওয়ায় তিনি হতাশ প্রকাশ করেন। তিনি সরকারি বা বেসরকারি সহায়তা পেলে খামারটি আরও সম্প্রসারণ করার ইচ্ছা ব্যাক্ত করেন ।
এ বিষয়ে অভয়নগর  উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন বলেন,  নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য কেঁচো সার অনেক প্রয়োজনীয়। কেঁচো
সার গায়েব ব্যবহারে জমিতে কম খরচে অধিক ফসল উৎপাদন সম্ভব। এ কারণে প্রতিনিয়ত কৃষকদের কেঁচো সার ব্যবহার করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।