আহত-৩ ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নবীপুর গ্রামে সেনা সদস্য বিল্লাল এর নেত্রীত্বে দিনমজুর জয়নাল আবেদীন এর পরিবারে উপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ৩ জন কে আহত করে, এবং জানে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকাল ৯ টার সময় সেনা সদস্য বিল্লাল হোসেনের (৩৭) নেতৃত্বে দিনমজুর জয়নাল আবেদীন (৬৫) এর পৈত্রিক মালিকানাধীন জমির উপরে জোরপূর্বক ঘর তুলতে যায়, ঘর তুলতে বাধা দিলে হাশেমী মিকার (৫৫) এর হুকুমে সেনা সদস্য বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে নুরুল ইসলাম ওরফে রিয়াদ (৩০) ও আমান (৩৪) গংরা জয়নাল আবেদীন এর পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে জয়নাল আবেদনী এর স্ত্রী হাসিনা বেগম (৫৫) তার ভাইর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫০) এবং তার ছেলে রুবেল (৩০) কে পিটিয়ে আহত করে।
এবং রুবেল এর গলায় থাকা ৮ আনি সোনার চেইন চিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি পরিবার। এ ব্যাপারে ভোলা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়েল করা হয়েছে। সরজমি গুরে জানা যায় ধনিয়া ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন এর পৈত্রিক মালিকানাধীন জমি প্রায় ১০/১২ বছর যাবত জোরপূর্বক দখল করে ভোগ দখল করছেন হাসেম মিকার গংরা। কিছু দিন আগে হাসেম মিকার গংদের কে জয়নাল আবেদীনদের জমি বুঝিয়ে দিতে বললে তারা বিভিন্ন তালবাহানা করে, কিন্তু জমি বুঝিয়ে দেয় না।
বিষয় টি স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যান কে অবহিত করেছেন বলে জানান স্থানীয়রা। এ বিষয় চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবির বলেন, বিষয় টি আমাকে জানানো হয়েছে, বিষয় টি জানার পর আমি হাসেম মিকার গংদের কে পয়সালা না হওয়া প্রর্যন্ত ঘরের কাজ বন্ধ রাখতে অনুরোধ করি এবং গত মোঙ্গলবার বসার জন্য তারিখ দেই। কিন্তু সেই দিন হাসেম মিকার গংরা আসে নি। তারা না এসে আমার এবং মেম্বারের কথা অমান্য করে ঘরের কাজ করছে। সেখানে আজ সকালে কাজে বাধা দিতে গেলে তারা জয়নাল আবেদীন এর পরিবারের সদস্যদের পিটিয়ে আহত করে বলে শুনেছি। পরে স্থানীয়রা এসে তাদের কে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। একই কথা জানান ঐ ওয়ার্ডের মেম্বার বশার। নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় একজন জানান, বিগত দিনে হাসেম মিকার গংরা জয়নাল আবেদীন এর পরিবার কে তাদের মালিকানাধীন ভোগ দখলীয় জমি হতে সুমুলে উৎখাত করার জন্য হামলা মামলাসহ বিভিন্ন ভাবে তাদের নির্যাতন করতে থাকে।
এ ব্যাপারে জয়নাল আবেদীন এর পরিবার এলাকার গন্যমান্যদের একাধিকবার অবগত করলেও কোন প্রকার সু-ফল মেলেনি তাদের ভাগ্যে। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান,থানায় একটি অভিযোগ দাযেল করা হয়েছে। আমরা অভিযোগ টি তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা নিবো। অভিযোগের বিষয় হাসেম গংদের কাছে জানতে চাইলে সেনা সদস্য বিল্লাল হোসেন বলেন আমি সেনাবাহিনী, আমি আমার ঘর তুলবোই এখানে কেউ কাজ করতে মানা করলেই কি আমি মানবো। আমি কাজ করবোই কেউ পারলে কিছু করুক। অনেক বছর ধরে জমি বুঝিয়ে না দেওয়ার বিষয় হাসেম মিকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন সদ উত্তর দিতে পারেন নি। তবে এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামানা করেন দিনমুজুর জয়নাল আবেদীন এর পরিবার।