স্টাফ রিপোর্টার : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়া ভোটে পিরোজপুরের ৩টি উপজেলায় জামানাত হারাচ্ছেন ১০ প্রার্থী। এদের মধ্যে ৩ জন চেয়ারম্যান এবং ৭ জন ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিল। প্রদত্ত ভোটের শতকরা ১৫ ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাতিল হবে।
পিরোজপুর সদর উপজেলায় চেয়াম্যান পদে প্রদত্ত ৩৯ হাজার ১৮৩ ভোটের বিপরীতে মাত্র ৩ হাজার ৬০৭ ভোট পেয়েছেন মোঃ শফিউল হক মিঠু। এছাড়া ইন্দুরকানী উপজেলায় প্রদত্ত ২২ হাজার ৪২৮ ভোটের মধ্যে এম মতিউর রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ৭০৫ ভোট এবং শেখ আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন মাত্র ৭০৮ ভোট। অন্যদিকে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে পিরোজপুর সদর উপজেলায় ৫ জন এবং নাজিরপুর উপজেলায় ২ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারাচ্ছেন।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান জানান, ৮ মে অনুষ্ঠিত হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী প্রার্থী এস এম বায়জিত হোসেন দোয়াত কলম মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছে ৩৪৭৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী শফিউল হক মিঠু আনারশ মার্কা নিয়ে পেয়েছে ৩৬০৭ ভোট।
নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী প্রার্থী এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী শাহীন দোয়াত কলম মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছে ১৯২৭২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী মোহাম্মাদ আলী শিকদার ঘোড়া মার্কা নিয়ে পেয়েছে ১৮২৯৩ ভোট। অন্য দুই প্রার্থী ডা. দীপঙ্কর নাগ আনারস মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ১০০৬৪ ভোট ও দীপ্তিষ চন্দ্র হালদার মোটরসাইকেল মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৫৪৩৬ ভোট।
ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী প্রার্থী জিয়াউল আহসান গাজী আনারশ মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছে ১১২০৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ফোইজুল কবির তালকুদার দোয়াত কলম মার্কা নিয়ে পেয়েছে ৭৭৪৩ভোট। অন্য দুই প্রার্থী এ্যাড. এম মতিউর রহমান মোটরসাইকলে মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ২৭০৫ ভোট ও আবুল কালাম কাপ পিরিচ মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৭০৮ ভোট।