বাংলাদেশ ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
শরীয়তপুর ২২ বছরের স্বামীর বাড়িতে ৪৩ বছর বয়সী স্ত্রীর অনশন। রাজশাহীতে সক্রিয় আমের সিন্ডিকেট, দাম হবে দ্বিগুন আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকাজ। সরকারী সফরে আসছেন পুলিশ প্রধান বৃহত্তর সি‌লে‌টের কৃতি সন্তান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ইসলাম অবমাননায় সাময়িক বহিষ্কার কুবি শিক্ষার্থী স্বপ্নীল ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় তার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল নাইক্ষংছড়িতে নির্বাচন হবে স্বচ্ছ-সুষ্ঠ-অবাধ-নিরপেক্ষ ব্যতায় ঘটলে দায়ী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রাঙ্গাবালী থানার কর্মকর্তার সাথে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সৌজন্য সাক্ষাৎ ড. সজীবকে সমর্থন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ালেন গিয়াস উদ্দিন  ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর পক্ষে নাইঘর বাসীর একাত্মতা প্রকাশ প্লাস্টিক বর্জ্যের বিনিময়ে পরিবেশ বান্ধব গাছ উপহার দিলো ঐক্য-বন্ধন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক সেবন নিয়ে মারামারি সালথার তরুণ কবি নাইমের কবিতা, আমিও মানুষ। রাজশাহীতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার শীর্ষক অ্যাডভোকেসী সম্মেলন রাঙ্গাবালীতে চেয়াম্যান প্রার্থীর ভাইয়ের মৃতুতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে নির্বাচনী প্রচারণা

নবান্নের উৎসবে নেত্রকোণা জেলার মৌগাতি ইউনিয়ন। 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২
  • ১৬৬১ বার পড়া হয়েছে

নবান্নের উৎসবে নেত্রকোণা জেলার মৌগাতি ইউনিয়ন। 

 

 

 

 

 

 

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি :

প্রথা অনুযায়ী অগ্রাহয়নের প্রথমদিনটি কৃষিভিত্তিক বাঙালি সমাজে নবান্ন উৎসবের দিন হিসেবে পালন হয়ে আসছে। এ সময় কৃষকের ফসলের মাঠ ভরে থাকে পাকা ধান আর মৌসুমি ফসলে।

 

 

 

 

 

 

 

এমনকি একসময় বাংলা বছরের গণনা শুরু হতো এই অগ্রাহয়ন থেকেই। প্রশাসনিক সুবিধার জন্য বছরের গণনা কালের বদল হলেও, এখনও অগ্রাহয়নে কৃষকের ঘর ভরে থাকে সোনালী ফসলে। এসময় যে আনন্দ ও উদ্দীপনা বিরাজ করে কৃষি সমাজে, শ্রমে-ঘামে ক্লান্ত কৃষকের পরিবারে তা বেশ বিরল-ই বটে। এ দিন নানান রকম পিঠা-পুলিতে উৎসব করে কৃষকের সন্তান। কৃষি সমাজের অতি যত্নে লালিত সেই রীতিকে স্বরণ করে গত বৃহস্পতিবার নেত্রকোণার সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়নের একটি ফসলি জমিতে ধান কেটে জেলার নবান্ন উৎসবের ঘোষনা দেন জেলা প্রশাসক জনাব অঞ্জনা খান মজলিশ।

 

 

 

 

 

 

 

 

এছাড়াও কৃষকের জন্য ভর্তুকি মূল্যে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মাধ্যমে ফসল উত্তোলনেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় একই দিনই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এই “ধান কর্তন, মাঠ দিবস ও নবান্ন উৎসবে”র আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা সহ সদর উপজেলার ইউ.এন.ও, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় কৃষকদের অনেকেই।

 

 

 

 

 

 

 

মনোরম এই আয়োজনের আলোচনা সভায় অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান জানান, এবছর নেত্রকোণা জেলায় পূর্বের বছরগুলো হতে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে ফসলের চাষ হয়েছে এবং সকল উপজেলাতেই ফসলের বাম্পার ফলন হয়ছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান খান আবুনী জানান, উন্নত জাতের ধান চাষ করার ফলে এবছর প্রায় ১৫/২০ দিন আগে থেকেই ফসল কাটার কাজ গ্রামীণ পর্যায়ে শুরু হয়ে গেছে এবং ফসলের ভালো দর পাওয়া যাচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

এছাড়াও অধিক পরিমান ফসলের জমিতে আবাদ হওয়ায় এবছর তৈরি হওয়া সারের চাহিদাও যথা সময়ে যথাসম্ভব দ্রুততার সঙ্গে মেটানো সম্ভব হয়েছে। প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জানান- চাহিদা বেশি থাকার পরও এবছর প্রায় ২৫০০০ কৃষককে বিনামূল্যে সার প্রদান করে কৃষিবান্ধব এই সরকার যে নজির স্থাপন করেছে তা অনন্য।

 

 

 

 

 

 

 

এসময় কৃষিকে সম্প্রসারণ করতে যে কোন প্রকার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রশাসন সর্বদা সক্রিয় আছে এবং থাকবে বলে নিশ্চিত করে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘অনাবাদী জমি খুঁজে বের করে চাষ করা’র নতুন লক্ষ্যমাত্রার প্রতি আন্তরিক আস্থা প্রকাশ করেন।

 

 

 

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

শরীয়তপুর ২২ বছরের স্বামীর বাড়িতে ৪৩ বছর বয়সী স্ত্রীর অনশন।

নবান্নের উৎসবে নেত্রকোণা জেলার মৌগাতি ইউনিয়ন। 

আপডেট সময় ০১:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

 

 

 

 

 

 

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি :

প্রথা অনুযায়ী অগ্রাহয়নের প্রথমদিনটি কৃষিভিত্তিক বাঙালি সমাজে নবান্ন উৎসবের দিন হিসেবে পালন হয়ে আসছে। এ সময় কৃষকের ফসলের মাঠ ভরে থাকে পাকা ধান আর মৌসুমি ফসলে।

 

 

 

 

 

 

 

এমনকি একসময় বাংলা বছরের গণনা শুরু হতো এই অগ্রাহয়ন থেকেই। প্রশাসনিক সুবিধার জন্য বছরের গণনা কালের বদল হলেও, এখনও অগ্রাহয়নে কৃষকের ঘর ভরে থাকে সোনালী ফসলে। এসময় যে আনন্দ ও উদ্দীপনা বিরাজ করে কৃষি সমাজে, শ্রমে-ঘামে ক্লান্ত কৃষকের পরিবারে তা বেশ বিরল-ই বটে। এ দিন নানান রকম পিঠা-পুলিতে উৎসব করে কৃষকের সন্তান। কৃষি সমাজের অতি যত্নে লালিত সেই রীতিকে স্বরণ করে গত বৃহস্পতিবার নেত্রকোণার সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়নের একটি ফসলি জমিতে ধান কেটে জেলার নবান্ন উৎসবের ঘোষনা দেন জেলা প্রশাসক জনাব অঞ্জনা খান মজলিশ।

 

 

 

 

 

 

 

 

এছাড়াও কৃষকের জন্য ভর্তুকি মূল্যে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মাধ্যমে ফসল উত্তোলনেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় একই দিনই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এই “ধান কর্তন, মাঠ দিবস ও নবান্ন উৎসবে”র আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা সহ সদর উপজেলার ইউ.এন.ও, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় কৃষকদের অনেকেই।

 

 

 

 

 

 

 

মনোরম এই আয়োজনের আলোচনা সভায় অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান জানান, এবছর নেত্রকোণা জেলায় পূর্বের বছরগুলো হতে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে ফসলের চাষ হয়েছে এবং সকল উপজেলাতেই ফসলের বাম্পার ফলন হয়ছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান খান আবুনী জানান, উন্নত জাতের ধান চাষ করার ফলে এবছর প্রায় ১৫/২০ দিন আগে থেকেই ফসল কাটার কাজ গ্রামীণ পর্যায়ে শুরু হয়ে গেছে এবং ফসলের ভালো দর পাওয়া যাচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

এছাড়াও অধিক পরিমান ফসলের জমিতে আবাদ হওয়ায় এবছর তৈরি হওয়া সারের চাহিদাও যথা সময়ে যথাসম্ভব দ্রুততার সঙ্গে মেটানো সম্ভব হয়েছে। প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জানান- চাহিদা বেশি থাকার পরও এবছর প্রায় ২৫০০০ কৃষককে বিনামূল্যে সার প্রদান করে কৃষিবান্ধব এই সরকার যে নজির স্থাপন করেছে তা অনন্য।

 

 

 

 

 

 

 

এসময় কৃষিকে সম্প্রসারণ করতে যে কোন প্রকার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রশাসন সর্বদা সক্রিয় আছে এবং থাকবে বলে নিশ্চিত করে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘অনাবাদী জমি খুঁজে বের করে চাষ করা’র নতুন লক্ষ্যমাত্রার প্রতি আন্তরিক আস্থা প্রকাশ করেন।