নিজস্ব সংবাদ : 
রুহুল আমিন, জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ।
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার শাপলা ক্লিনিকের রিসিপশনিস্ট সাইদুর রহমান (৩০) কে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে উল্লাস (২৬) নামের এক যুবক
গুরুতর আহত সাইদুরকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সদর উপজেলার বাসট্যান্ড এলাকার শাপলা ক্লিনিকে ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, গেল দুদিন আগে বাচ্চা প্রসবের জন্য গর্ভবতী স্ত্রীকে ক্লিনিকে ভর্তি করেন স্বামী উল্লাস। আজ সকালে উল্লাসের শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েকে ক্লিনিকে দেখতে আসলে সেখানে স্বামী উল্লাসের সাথে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।
উচ্চ শব্দ শুনে ক্লিনিকের লোকজন এগিয়ে আসলে স্টাফদের সাথেও অশালীন বাক্য বিনিময় হয়। বড় ভাই উৎসব পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় উল্লাস। এর ঘন্টা খানেক পর উল্লাস ক্ষিপ্ত হয়ে রিসিপসনিস্ট সাইদুর রহমানকে (৩০) ধারালো বটি দিয়ে অতর্কিত আঘাত করে।
অর্ধ মিনিটের এই হামলায় মাথা এবং হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম হয়। লোকজনের উপস্থিতি পেয়ে সটকে পরেন উল্লাস।
জানা গেছে, উল্লাস একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। তার বাড়ি পৌর এলাকার বান্দুটিয়া গ্রামে। প্রায় এক বছর আগে পাশের এলাকার হাশেম আলীর মেয়ে পুষ্পার সাথে পরিবারের দ্বিমতে বিয়ে করেন উল্লাস। এরপর থেকেই দুই পরিবারের মাঝে সম্পর্কের অবনতির আর রেশ কাটেনি।
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পুলিশে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উল্লাসের বড় ভাই উৎসব এবং বাবা ফালাককে আটক করে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদরে জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। কেউ মামলার জন্য আসেনি আসলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
