শেখ সোহেল, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি :
বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের জয়গাছি খালের অবৈধ নেট-পাটা অপসারণ করা হয়।
শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম এই খালের মধ্যে থাকা নেট-পাটা ও অবৈধ বাঁধ অপসারণের নির্দেশ দেন।
এই সময়ে শ্রমিকরা খালের মধ্যে থাকা সকল নেট-পাটা ও অবৈধ বাঁধ অপসারণ কাজ করেন। দীর্ঘ ত্রিশ বছর পরে এলাকার গুরুত্বপূর্ণ এই খাল দখলমুক্ত করাতে আনন্দ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
এই উন্মুক্ত খালে খেওলা জাল দিয়ে এলাকাবাসী মাছ ধরেন।স্থানীয় আয়ান আহমেদ বলেন, মনের মধ্যে একটা চাপা কষ্ট ছিল আমাদের। সরকারি খাল হওয়ার পরেও আমরা এই খালে কখনও নামতে পারতাম না, মাছ ধরতে পারতাম না।
এই খাল দিয়ে এলাকার পানিও নামতে পারে না। আমরা অনেক কষ্টে দীর্ঘ ৩০ টা বছর পার করলাম।প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাল কাটায় এলাকার সবাই অনেক খুশি আমরা। সবাই মিলে এখন খালে মাছ ধরতে পারবো আসলে এমন হবে কখনও ভাবতে পারি নাই।
এই সময়ে আমরা জানতে চাইলাম এক জন বৃদ্ধ লোক এর কাছে থেকে তিনি হচ্ছেন হাবিবুর রহমান শিকদার এই খাল মুক্ত হওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম।
সাংবাদিকরা ২০-২৫ দিন আগে সরজমিনে এসে নিউজও করেছে। তারপরও খাল অবমুক্ত হয়নি কিন্তু এবার এর আমরা অনেক খুশি।
আজ অবমুক্ত হয়েছে, আমরা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন যে, বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরে জয়গাছি খালের অবৈধ দখলের বিষয়টি আমার নজরে আসে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে জয়গাছি খালের সকল বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত ও জলাবদ্ধতা নিরসনে বাগেরহাট সদর উপজেলায় এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পিছন দিয়ে বয়ে যাওয়া ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার লম্বা জয়গাছি খালটি দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে বিভিন্ন লোকের দখলে ছিল। খাল আটকে তারা মাছ চাষ করত।