বাংলাদেশ ০৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
বাতিল নয় !হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে আপত্তি থাকলে ভুক্তভোগীরা আপত্তি জানাতে পারবেন। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে শোকজ জনগনের ভালবাসায় এগিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী চায়না খানম কালকিনিতে প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ যৌন কর্মীদের কাছ থেকে সাংবাদিক ও পুলিশ চাঁদা আদায়-১ উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতেও ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী -ড. আনোয়ার হোসেন খান এমপি নন্দীগ্রামে ধান বোঝাই ট্রাক চুরি, চোর চক্রের ৩ জন গ্রেফতার মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি চক্রের ১১ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। মধুপুর নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি  এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির  শ্রীমঙ্গলে আড়াই বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যা কালকিনিতে স্ত্রীর জন্য শিক্ষকদের কাছে ভোট চাওয়ার অভিযোগ সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আমৃত্যু জনগণের সেবা করার প্রত্যয় নিয়ে চিংড়ি প্রতীকে ভোট চাই উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী খাজে আহমেদ মজুমদার উপজেলা নির্বাচন- ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা রাজশাহী নগরীতে বিপুল পরিমান ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ গ্রেপ্তার-৬

রামগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ন বাঁশের সাঁকো দিয়ে মসজিদের মুসুল্লিও শিক্ষার্থীরাসহ দুই গ্রামের মানুষ পারাপার

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৫৬:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২
  • ১৬৬৪ বার পড়া হয়েছে

রামগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ন বাঁশের সাঁকো দিয়ে মসজিদের মুসুল্লিও শিক্ষার্থীরাসহ দুই গ্রামের মানুষ পারাপার

 

 

 

মোঃ ছায়েদ হোসেন, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতাঃ লক্ষীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া,পশ্চিম টামটা গ্রামের মাঝখানে ওয়াবদা খালের উপর দিয়ে মানুষ পারাপারের একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকো। প্রতিদিন কয়েক শ’ মানুষ চলাচল করে থাকে। বর্ষা এলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় গ্রামবাসি। মসজিদের মুসুল্লি, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

 

 

 

ঝড়-বৃষ্টিতে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন দুই গ্রামের মানুষ। সাঁকোটিতে পারাপার ক্ষুদে শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসুল্লিদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক র্দুঘটনা। দৈনন্দিন নানা কাজে এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হতে হয় অসংখ্য মানুষকে। সেতু দিয়ে কোন যানবাহন নেওয়া যায় না। ফলে বিকল্প রাস্তায় দুই-তিন কিলোমিটার ঘুরে গ্রামবাসীদের আসা যাওয়া করতে হয়। জরুরি কোনো মুমূর্ষু রোগীকেও হাসপাতালে নিতে নিতে অবস্থার অবনতি ঘটে।

 

 

 

মসজিদে ইমাম খতিব ও স্থানীয় লোকজন জানান, এই সাঁকোটি দিয়ে প্রায় শত শত পরিবার যাতায়াত করে থাকে। প্রায় ১৫-২০ বছর যাবৎ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মসজিদের মুসুল্লি, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণীর মানুষ এই সাঁকোটি ব্যবহার করে আসছেন। সাঁকোটি ৪০-৫০ ফুট দৈর্ঘ্য। আশা করি, শীঘ্রই এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা দরকার। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ না হওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এই দুই গ্রামের মানুষ।

 

 

 

৮০ বছর বয়সের এক বৃদ্ধের সঙ্গে আলাপ করে তিনি বলেন, এই সাঁকো পার হওয়ার সময় বলেন, ‘আমাদের এই ভোগান্তি কেউ দেখতে আসেন না। এই ভোগান্তি কবে শেষ হবে জানিনা। কতবার কত লোক এসে মাপজোক দেয়। কিন্তু কোনো কাজ হয় না বাবা।’ মাননীয় এমপি ড. আনোয়ার খান এর সুদৃষ্টি কামনা করি। আমরা এলাকাবাসী উনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকিবো।

 

 

 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভোট এলেই নেতাদের মুখে শুধু কথার ফুলঝুরি ফোটে। ভোট শেষ হলে তাদের আর দেখা মেলে না। বছরের পর বছর শুধু একটিই আশ্বাস ব্রিজ হবে। কিন্তু কবে হবে তা কেউই জানেন না। একটি ব্রিজের অভাবে এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছেন। সাঁকোটি যাওয়ায় আসা করতে বিপাকে পড়েছেন ক্ষুদে শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসুল্লিসহ হাজারো মানুষ। বর্ষাকাল এলেই এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল-কলেজে তেমন যেতে পারছে না। এখানে একটি ব্রিজ নির্মিত হলে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে বলে জানান ভুক্তোভুগীরা।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

বাতিল নয় !হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে আপত্তি থাকলে ভুক্তভোগীরা আপত্তি জানাতে পারবেন।

রামগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ন বাঁশের সাঁকো দিয়ে মসজিদের মুসুল্লিও শিক্ষার্থীরাসহ দুই গ্রামের মানুষ পারাপার

আপডেট সময় ০১:৫৬:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২

 

 

 

মোঃ ছায়েদ হোসেন, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতাঃ লক্ষীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া,পশ্চিম টামটা গ্রামের মাঝখানে ওয়াবদা খালের উপর দিয়ে মানুষ পারাপারের একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকো। প্রতিদিন কয়েক শ’ মানুষ চলাচল করে থাকে। বর্ষা এলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় গ্রামবাসি। মসজিদের মুসুল্লি, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

 

 

 

ঝড়-বৃষ্টিতে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন দুই গ্রামের মানুষ। সাঁকোটিতে পারাপার ক্ষুদে শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসুল্লিদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক র্দুঘটনা। দৈনন্দিন নানা কাজে এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হতে হয় অসংখ্য মানুষকে। সেতু দিয়ে কোন যানবাহন নেওয়া যায় না। ফলে বিকল্প রাস্তায় দুই-তিন কিলোমিটার ঘুরে গ্রামবাসীদের আসা যাওয়া করতে হয়। জরুরি কোনো মুমূর্ষু রোগীকেও হাসপাতালে নিতে নিতে অবস্থার অবনতি ঘটে।

 

 

 

মসজিদে ইমাম খতিব ও স্থানীয় লোকজন জানান, এই সাঁকোটি দিয়ে প্রায় শত শত পরিবার যাতায়াত করে থাকে। প্রায় ১৫-২০ বছর যাবৎ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মসজিদের মুসুল্লি, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণীর মানুষ এই সাঁকোটি ব্যবহার করে আসছেন। সাঁকোটি ৪০-৫০ ফুট দৈর্ঘ্য। আশা করি, শীঘ্রই এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা দরকার। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ না হওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এই দুই গ্রামের মানুষ।

 

 

 

৮০ বছর বয়সের এক বৃদ্ধের সঙ্গে আলাপ করে তিনি বলেন, এই সাঁকো পার হওয়ার সময় বলেন, ‘আমাদের এই ভোগান্তি কেউ দেখতে আসেন না। এই ভোগান্তি কবে শেষ হবে জানিনা। কতবার কত লোক এসে মাপজোক দেয়। কিন্তু কোনো কাজ হয় না বাবা।’ মাননীয় এমপি ড. আনোয়ার খান এর সুদৃষ্টি কামনা করি। আমরা এলাকাবাসী উনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকিবো।

 

 

 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভোট এলেই নেতাদের মুখে শুধু কথার ফুলঝুরি ফোটে। ভোট শেষ হলে তাদের আর দেখা মেলে না। বছরের পর বছর শুধু একটিই আশ্বাস ব্রিজ হবে। কিন্তু কবে হবে তা কেউই জানেন না। একটি ব্রিজের অভাবে এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছেন। সাঁকোটি যাওয়ায় আসা করতে বিপাকে পড়েছেন ক্ষুদে শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসুল্লিসহ হাজারো মানুষ। বর্ষাকাল এলেই এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল-কলেজে তেমন যেতে পারছে না। এখানে একটি ব্রিজ নির্মিত হলে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে বলে জানান ভুক্তোভুগীরা।