আজ (১২ আগষ্ট) শুক্রবার বিকাল চারটায় যশোর জেলা বিএনপির উদ্যোগে লালদীঘির পাড়ে অবস্থিত বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

খণ্ড খন্ড মিছিল সহকারে যশোরের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতা কর্মী সমাবেশে যোগ দেন। জেলা বিএনপি কার্যালয়সহ এর গোটা আশপাশ এলাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। হাজার হাজার নেতাকর্মী বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন- সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। দেশ রক্ষার লড়াইয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। বাংলার আকাশে বাতাসে পরিবর্তনের হাওয়া ভাসছে।জনবিরোধী সরকার পদত্যাগ না করলে জনগণ পদত্যাগে বাধ্য করবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সীমাহীন লুটপাটের কারণে দেশের সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। যে কারণে দেশ আজ দেউলিয়া হওয়ার পথে। তাদের লুটপাটের ঘাটতি পূরণ করতে গিয়ে সকল প্রকার জ্বালানি তেল থেকে শুরু করে সার, কৃষি উপকরণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি করেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে হাজার কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে বিদ্যুৎ খাতকে ধ্বংস করে দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছে। আর জনগণের যৌক্তিক দাবিতে কথা বলার কারণে সরকারে আজ্ঞাবহ প্রশাসন ভোলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গুলিয়ে চালিয়ে জেলা ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যা করেছে।

তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। জনগণ পার্শ্ববর্তী দেশের সরকার প্রধানদের মত একাই অবস্থা করে ছাড়বে।

সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন- আওয়ামীলীগ জনগণকে অন্ন ও বস্ত্রহীন করতে চায়। জনগণ ঘুুরে দাঁড়িয়েছে তারা পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। বিএনপি যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত আছে। অতীতে গুম, খুন হামলা মামলা করে বিএনপিকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি, আগামীতেও পারবে না ইনশাল্লাহ।