ঢাকা ০৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
নিয়ন্ত্রণহীন কাভার্ডভ্যানে প্রাণ গেলো মা-মেয়ের ইউনূসের প্ররোচনায় আমেরিকা স্যাংশন দিয়েছে: শিক্ষা উপমন্ত্রী  ভাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বোন’কে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান ০৩ আসামীদের গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪। ভারত এখন আ.লীগের প্রতি প্রসন্ন না: হাসনা মওদুদ রামগঞ্জে ধর্ষণের দায়ে যুবক কারাগারে  ইন্দুরকানীতে বিদ্যুৎ বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মাদ্রাসার ছাত্রর মৃত্যু শাহাজাদী বেগমের হত্যা মামলার আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে, প্রশাসন নিরব!  খানসামায় প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি গঠনে নানান অভিযোগ রাঙ্গাবালীতে মা ইলিশ রক্ষায় ৬৫ দিনের অবরোধে ২৩৯৩ জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ উলিপুরে ফুল মিয়া হত্যাকান্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবীবে মানববন্ধন নওগাঁর বদলগাছীতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক মসলা দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা প্রতিকৃতি সরিয়ে মেয়রের রক্ষা!  পাথরঘাটায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ ০২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার জব্দ। নোয়াখালীতে বিস্ফোরক মামলায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক গ্রেফতার

প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অঞ্জনার সংবাদ সম্মেলন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:২৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
  • ১৬২৬ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অঞ্জনার সংবাদ সম্মেলন

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

আশরাফুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
পৃথিবীর আলো দেখার সুযোগ হয়নি অঞ্জনা রানীর। জন্মের পর থেকেই সে অন্ধ। তবুও জীবন-যুদ্ধে থেমে থাকেননি তিনি। অঞ্জনার সামনে কোনো সংকটই বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। জন্মান্ধ হয়েও জীবন-সংগ্রামে দমে যাননি এই নারী। দৃষ্টিহীনতা আর দারিদ্রের সাথে একাই লড়াই করে ইতিহাস বিভাগ থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এরপরও কোনো চাকরি না পেয়ে গান গেয়ে ও টিউশনি করে সংসার চালান অঞ্জনা।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে তার পরিবারের লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার অভাব-অনটন আর নানা সংকটের মাঝে নিজের উদ্যম আর ইচ্ছা শক্তি দিয়ে লেখাপড়া শেষ করার কথা জানান। নানা-প্রতিবন্ধকতার পরও লেখাপড়ায় সফল হয়ে সমাজে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান। প্রবল ইচ্ছা শক্তি থাকলে মানুষ পৃথিবীকে জয় করতে পারে। সেটিই করে দেখিয়েছেন অঞ্জনা রানী।
অঞ্জনা রানী অদ্যম মনোবল নিয়ে এখন চালিয়ে যাচ্ছেন জীবন যুদ্ধ। শুধু তাই নয়, বর্তমানে তিনি চাকরির পড়াশোনা, সংসারের কাজ, টিউশনি, গানের অনুষ্ঠানসহ নানান কাজে সময় পার করছেন। অঞ্জনা রানীর জন্ম ১৯৮৮ সালের ১ জানুয়ারি। তিনি কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্র আমলাপাড়া এলাকার বিবি নন্দি রোডের পুরাতন আনসার অফিসের সরকারি জায়গায় বসবাস করেন।
হতদরিদ্র ফুটপাতে চা বিক্রেতার পরিবারে তার জন্ম। পরিবারে তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে অঞ্জনা সবার বড়। তার স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শেষ করে সরকারি চাকুরিজীবী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে দেশ ও দেশের মানুষকে সেবা করা। কিন্তু মাস্টার্স পাস করেও প্রতিবন্ধী হওয়ায় সরকারি চাকরি জোটেনি অদম্য মেধাবী অঞ্জনা রানীর কপালে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চাকরি চান। একই সাথে শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ চান অঞ্জনা।
২০০৬ সালে কুষ্টিয়া হাই স্কুল থেকে এসএসসিতে ভাল ফলাফল করে ভর্তি হন ইসলামিয়া কলেজে। সেখান থেকে ২০০৮ সালে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ইতিহাস বিভাগে ২০১৩ সালে অনার্স ও ২০১৪ সালে মাস্টার্স পাস করে সবাইকে চমকে দেন তিনি।
অঞ্জনা রানী সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, অভাব আর দৃষ্টিহীনতার মাঝে অনেক দুঃখ-কষ্টে বেড়ে উঠতে হয়েছে জীবন যুদ্ধ করে। প্রতিনিয়ত পদে পদে সংকট আর সমস্যায় পড়তে হয়েছে। কিন্তু আমি কোনোদিন থেমে যায়নি। মনোবল নিয়ে বাস্তবতার সাথে জীবনের যুদ্ধে সফলতা ছিনিয়ে আনার চেষ্টা করেছি, এখনও করছি। জীবনে প্রচুর পরিশ্রম করেছি। বাবা-মায়ের সহযোগিতা ও আমার নিরলস কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এতো দূর পৌঁছেছি।
আমার মেধা আছে, তবুও চাকরি হচ্ছেনা। প্রতিবন্ধী হওয়ায় মাস্টার্স পাশ করেও চাকরি পাচ্ছি না। এখন একটা সরকারি চাকরি চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। আমি তার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ চাই। তাকে জীবন যুদ্ধের গল্প শুনিয়ে একটি সরকারি চাকরি ভিক্ষা চাইবো। চাকরি পেলে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে চাই।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

নিয়ন্ত্রণহীন কাভার্ডভ্যানে প্রাণ গেলো মা-মেয়ের

প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অঞ্জনার সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৯:২৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
আশরাফুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
পৃথিবীর আলো দেখার সুযোগ হয়নি অঞ্জনা রানীর। জন্মের পর থেকেই সে অন্ধ। তবুও জীবন-যুদ্ধে থেমে থাকেননি তিনি। অঞ্জনার সামনে কোনো সংকটই বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। জন্মান্ধ হয়েও জীবন-সংগ্রামে দমে যাননি এই নারী। দৃষ্টিহীনতা আর দারিদ্রের সাথে একাই লড়াই করে ইতিহাস বিভাগ থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এরপরও কোনো চাকরি না পেয়ে গান গেয়ে ও টিউশনি করে সংসার চালান অঞ্জনা।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে তার পরিবারের লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার অভাব-অনটন আর নানা সংকটের মাঝে নিজের উদ্যম আর ইচ্ছা শক্তি দিয়ে লেখাপড়া শেষ করার কথা জানান। নানা-প্রতিবন্ধকতার পরও লেখাপড়ায় সফল হয়ে সমাজে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান। প্রবল ইচ্ছা শক্তি থাকলে মানুষ পৃথিবীকে জয় করতে পারে। সেটিই করে দেখিয়েছেন অঞ্জনা রানী।
অঞ্জনা রানী অদ্যম মনোবল নিয়ে এখন চালিয়ে যাচ্ছেন জীবন যুদ্ধ। শুধু তাই নয়, বর্তমানে তিনি চাকরির পড়াশোনা, সংসারের কাজ, টিউশনি, গানের অনুষ্ঠানসহ নানান কাজে সময় পার করছেন। অঞ্জনা রানীর জন্ম ১৯৮৮ সালের ১ জানুয়ারি। তিনি কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্র আমলাপাড়া এলাকার বিবি নন্দি রোডের পুরাতন আনসার অফিসের সরকারি জায়গায় বসবাস করেন।
হতদরিদ্র ফুটপাতে চা বিক্রেতার পরিবারে তার জন্ম। পরিবারে তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে অঞ্জনা সবার বড়। তার স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শেষ করে সরকারি চাকুরিজীবী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে দেশ ও দেশের মানুষকে সেবা করা। কিন্তু মাস্টার্স পাস করেও প্রতিবন্ধী হওয়ায় সরকারি চাকরি জোটেনি অদম্য মেধাবী অঞ্জনা রানীর কপালে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চাকরি চান। একই সাথে শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ চান অঞ্জনা।
২০০৬ সালে কুষ্টিয়া হাই স্কুল থেকে এসএসসিতে ভাল ফলাফল করে ভর্তি হন ইসলামিয়া কলেজে। সেখান থেকে ২০০৮ সালে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ইতিহাস বিভাগে ২০১৩ সালে অনার্স ও ২০১৪ সালে মাস্টার্স পাস করে সবাইকে চমকে দেন তিনি।
অঞ্জনা রানী সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, অভাব আর দৃষ্টিহীনতার মাঝে অনেক দুঃখ-কষ্টে বেড়ে উঠতে হয়েছে জীবন যুদ্ধ করে। প্রতিনিয়ত পদে পদে সংকট আর সমস্যায় পড়তে হয়েছে। কিন্তু আমি কোনোদিন থেমে যায়নি। মনোবল নিয়ে বাস্তবতার সাথে জীবনের যুদ্ধে সফলতা ছিনিয়ে আনার চেষ্টা করেছি, এখনও করছি। জীবনে প্রচুর পরিশ্রম করেছি। বাবা-মায়ের সহযোগিতা ও আমার নিরলস কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এতো দূর পৌঁছেছি।
আমার মেধা আছে, তবুও চাকরি হচ্ছেনা। প্রতিবন্ধী হওয়ায় মাস্টার্স পাশ করেও চাকরি পাচ্ছি না। এখন একটা সরকারি চাকরি চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। আমি তার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ চাই। তাকে জীবন যুদ্ধের গল্প শুনিয়ে একটি সরকারি চাকরি ভিক্ষা চাইবো। চাকরি পেলে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে চাই।