মো নাহিদুর রহমান শামীম মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে চালা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
সংবাদ সূত্রে জানা যায়, জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলে, পরিবারকে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চালা ইউনিয়নে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই ধাপে মোট ১০০ জনের জন্য ৮ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
বরাদ্দকৃত চাল মৎস্য দপ্তরকে, অবহিতকরণপূর্বক ট্যাগ অফিসারের, উপস্থিতিতে বিতরণ করার কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান সে নিয়মের তোয়াক্কা না করে, নিজ ইচ্ছা মাফিক বিতরণ করেছেন।
বিতরণকৃত তালিকায়, কোনো কোনো জেলের নাম ২ থেকে ৩ বার উল্লেখ করা হয়েছে। চাল বিতরণের মাস্টার রোলে ভুয়া টিপসহি ব্যবহার এবং চাল না পাওয়ার অভিযোগও করেছেন জেলেরা।
চাল বিতরণ পরিদর্শনের দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাসান মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমি বিতরণকালে উপস্থিত ছিলাম না। পরবর্তী সময়ে চাল বিতরণ করা হয়েছে মর্মে জানালে আমি তালিকায় স্বাক্ষর করে দিয়েছি।
দিয়াবাড়ী গ্রামের দুলাল রাজবংশীর ছেলে স্বপন রাজবংশীর নাম দুই তালিকায় মোট তিনবার উল্লেখ করা হয়েছে সে হিসাবে তার জন্য মোট বরাদ্দ ২৪০ কেজি চাল।
অথচ স্বপন রাজবংশীর স্ত্রী ভারতী রাজবংশী বলেন, আমরা ৩-৪ মাস আগে একবার ৩০ কেজির এক বস্তা চাল পেয়েছি। এ পর্যন্ত আর কোনো চাল পাইনি।
তবে চালা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল মজিদ চাল আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, চাল আত্মসাৎ করা হয়নি। প্রাপ্ত বরাদ্দের চেয়ে পাওয়ার যোগ্য জেলে বেশি হওয়ায় একজনের চাল কয়েকজনের মধ্যে ভাগ করে বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণকৃত তালিকায় একই নাম একাধিকবার থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
চাল বিতরণে অনিয়মের সত্যতা পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ শাহরিয়ার রহমান।