বাংলাদেশ ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যুবলীগের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বিজয়ী  কুষ্টিয়ার চার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলেন যারা পিরোজপুরে কাউখালীতে আবু সাঈদ ও নেছারাবাদে আব্দুল হক উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত গৌরীপুর উপজেলা পরিষদে বিজয়ী হলেন যারা রাজু,মাহাবুও ইয়াসমিন নির্বাচিত, অপরাজিত জয়ে চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু  পিরোজপুর কাউখালীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যারা ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর চান্দলা ইউনিয়নে ব্যাপক গণসংযোগ ও জনসভা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী উবাচ মারমা  এমপি আনারের সন্ধান ও সুস্থতা কামনায় মাদ্রাসায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- উপলক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার ও ডিসি রাঙ্গাবালীতে বাড়ির পুকুরে ডুবে ১ বছরের শিশুর মৃত্য। প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ায় সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি কাউখালীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আবু সাঈদ মিয়া পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত মিঠাপুকুরে জালভোট দেওয়ার অভিযোগে দুই যুবককে দন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ধনবাড়ী সিঙ্গার প্লাস শো-রুম থেকে ফ্রিজ কিনে ১০০% ফ্রি ফ্রিজ বিজয়ী নুরজাহন বেগম

খিলি পানের দামে আমের হালি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:২৪:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২
  • ১৭০৯ বার পড়া হয়েছে

খিলি পানের দামে আমের হালি

আবুল কালাম আজাদ। কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ বাজার গুলোতে খিলি পানের দামে প্রতি হালি আম বিক্রি হচ্ছে। আমের বাজার জমজমাট ভাবে শুরু হয়েছে। বাজারে আম ক্রেতা কম থাকায় কেউ কেউ আম ফিরে নিয়ে যাচ্ছে বাড়িতে।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামীণ বাজার গুলোতে গিয়ে দেখা যায়, দেশিয় আম দিয়ে আম হাটিতে কানায় কানায় ভরে গেছে। আম ক্রেতা অনেক কম চোখে পড়ে। আম বিক্রেতারা আম নিয়ে বসে আছে ক্রেতার অপেক্ষায়। গ্রামীণ বাজার গুলোর মধ্যে বাবুর হাট, জুম্মাহাট, বজরা, নাগড়াকুড়া, সাতদগাহ,  বাজার, থেতরাই, দলদলিয়া, কাল্পনি বাজার, গাবের তল, মাড্ডাইর বাজার, বামনের হাট, ফাঁসিদাহ বাজার সহ আরও অনেক গ্রামীণ বাজার গুলোতে সরে জমিনে ঘুরে দেখা যায়, কানায় কানায় ভরে আছে আম আর আম। বাজারে আম বিক্রি হচ্ছে হালি (৬টি) তে। হালি প্রতি মূল্য ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। এত কম দাম থাকার পরেও ক্রেতা আম নিচ্ছেননা। বর্তমান আমের মৌসুম হওয়ায় গাছে গাছে প্রচুর আম দেখা যায়। এখন প্রায় প্রত্যেক গাছে আম পাকা শুরু হয়েছে। এবারে আমের রোগ বালাই অনেক দেখা যায়। প্রতিদিন পাকা আম নিয়ে বাজারে এসে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করছেন আম বিক্রেতারা।

আম বিক্রেতা হোসেন আলী বলেন, আমার বাড়িতে ৪টি থেকে ৬টি আম গাছ আছে। এবারে প্রচুর আম ধরেছে। একই সাথে সব গাছের আম পাকছে। বাড়ির চাহিদা মেটার পরেও ৪০ হালি আম বাজারে নিয়ে এসেছি। আম এনে বিপাকে পড়েছি। আম কেউ নিতে চায় না। তিনি বলেন শেষ পর্যন্ত ৫ টাকারও কম দরে প্রতি হালি আম বিক্রি করেছি। তিনি বলেন ৪০ হালি আম মাত্র ১০০ টাকায় বেচলাম। এবারে আমের মধ্যে অনেক রোগ বালাই দেখা দিয়েছে। তার পরেও গাছে অনেক আম আছে।

ক্রেতা রকিবুল হাসান গোলজার, সামছুল, সোহাগ, সাহালম, জহুরুল সহ আরও অনেকে বলেন, আমাদের বাড়িতে আমের গাছ না থাকার কারনে আমরা আম কিনতে আমের বাজারে এসেছি। দেখে শুনে সস্তা দরে আম কিনলাম। তারা আরও বলেন এখন আমের মৌসুম বাজারে অনেক আম নিয়ে আসে বেশ সস্তা দামে আম পাওয়া যায়। তারা বলেন আমের হালি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা দরে আম কিনেছি। কেজি প্রতি আমের কথা বললে তারা বলেন গ্রামীণ বাজার গুলোতে আমের মৌসুমে কেজি দরে বিক্রি হয়না। হালি দরে আম বিক্রি হয়।

এছাড়া অন্যান্য গ্রামীণ বাজারের আম বিক্রেতা ফুলবাবু, আবু তাহের, সওকত, ইউনুছ আলী, সজিব, বাতেন, রহমান, বাতেন, জব্বার, জয়নাল সহ আরও অনেকে বলেন, আমের বাজার জমজমাট। কারন এখন আমার মৌসুম বাসায় অনেক আম আছে সে জন্যই আম বাজারে বিক্রি করতে এসেছি। আমের বাজার কম হলেও আম তারাতারি বিক্রি করতে পারতেছি না। বর্তমান গ্রামীণ বাজার গুলোতে আমের দাম কম হলেও চাহিদা অনেক কম।

এ বিষয়ে আমের ব্যাপারী ফুলবাবু বলেন, আমি উপজেলার প্রায় প্রত্যেক গ্রামীণ বাজারে আম কেনা বেচা করি। বর্তমানে সুলভ মুল্যে আম ক্রয় করে তা লাভে বাজারে বিক্রয় করি। আমি আমের ব্যাবসা করে সাংসার পরিচালনা করি। তিনি আরও বলেন বর্তমান আমের বাজারের যে অবস্থা আম কিনে আনতে মন চায় না। বেশি আম কিনলে তা বাজারে বিক্রি করতে না পারলে পঁচে যায়। তাতে ব্যাবসায় অনেক ক্ষতি হয়। তিনি আরও বলেন বর্তমান আমের বাজার কম থাকার পরেও আম ক্রেতা অনেক কম। যারা হঠাৎ করে আম বাজারে বিক্রি করতে আসে তা কখন কখন বিক্রি করতে না পেয়ে বাসায় ফিরে নিয়ে যায়।

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যুবলীগের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বিজয়ী 

খিলি পানের দামে আমের হালি

আপডেট সময় ০৮:২৪:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২

আবুল কালাম আজাদ। কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ বাজার গুলোতে খিলি পানের দামে প্রতি হালি আম বিক্রি হচ্ছে। আমের বাজার জমজমাট ভাবে শুরু হয়েছে। বাজারে আম ক্রেতা কম থাকায় কেউ কেউ আম ফিরে নিয়ে যাচ্ছে বাড়িতে।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামীণ বাজার গুলোতে গিয়ে দেখা যায়, দেশিয় আম দিয়ে আম হাটিতে কানায় কানায় ভরে গেছে। আম ক্রেতা অনেক কম চোখে পড়ে। আম বিক্রেতারা আম নিয়ে বসে আছে ক্রেতার অপেক্ষায়। গ্রামীণ বাজার গুলোর মধ্যে বাবুর হাট, জুম্মাহাট, বজরা, নাগড়াকুড়া, সাতদগাহ,  বাজার, থেতরাই, দলদলিয়া, কাল্পনি বাজার, গাবের তল, মাড্ডাইর বাজার, বামনের হাট, ফাঁসিদাহ বাজার সহ আরও অনেক গ্রামীণ বাজার গুলোতে সরে জমিনে ঘুরে দেখা যায়, কানায় কানায় ভরে আছে আম আর আম। বাজারে আম বিক্রি হচ্ছে হালি (৬টি) তে। হালি প্রতি মূল্য ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। এত কম দাম থাকার পরেও ক্রেতা আম নিচ্ছেননা। বর্তমান আমের মৌসুম হওয়ায় গাছে গাছে প্রচুর আম দেখা যায়। এখন প্রায় প্রত্যেক গাছে আম পাকা শুরু হয়েছে। এবারে আমের রোগ বালাই অনেক দেখা যায়। প্রতিদিন পাকা আম নিয়ে বাজারে এসে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করছেন আম বিক্রেতারা।

আম বিক্রেতা হোসেন আলী বলেন, আমার বাড়িতে ৪টি থেকে ৬টি আম গাছ আছে। এবারে প্রচুর আম ধরেছে। একই সাথে সব গাছের আম পাকছে। বাড়ির চাহিদা মেটার পরেও ৪০ হালি আম বাজারে নিয়ে এসেছি। আম এনে বিপাকে পড়েছি। আম কেউ নিতে চায় না। তিনি বলেন শেষ পর্যন্ত ৫ টাকারও কম দরে প্রতি হালি আম বিক্রি করেছি। তিনি বলেন ৪০ হালি আম মাত্র ১০০ টাকায় বেচলাম। এবারে আমের মধ্যে অনেক রোগ বালাই দেখা দিয়েছে। তার পরেও গাছে অনেক আম আছে।

ক্রেতা রকিবুল হাসান গোলজার, সামছুল, সোহাগ, সাহালম, জহুরুল সহ আরও অনেকে বলেন, আমাদের বাড়িতে আমের গাছ না থাকার কারনে আমরা আম কিনতে আমের বাজারে এসেছি। দেখে শুনে সস্তা দরে আম কিনলাম। তারা আরও বলেন এখন আমের মৌসুম বাজারে অনেক আম নিয়ে আসে বেশ সস্তা দামে আম পাওয়া যায়। তারা বলেন আমের হালি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা দরে আম কিনেছি। কেজি প্রতি আমের কথা বললে তারা বলেন গ্রামীণ বাজার গুলোতে আমের মৌসুমে কেজি দরে বিক্রি হয়না। হালি দরে আম বিক্রি হয়।

এছাড়া অন্যান্য গ্রামীণ বাজারের আম বিক্রেতা ফুলবাবু, আবু তাহের, সওকত, ইউনুছ আলী, সজিব, বাতেন, রহমান, বাতেন, জব্বার, জয়নাল সহ আরও অনেকে বলেন, আমের বাজার জমজমাট। কারন এখন আমার মৌসুম বাসায় অনেক আম আছে সে জন্যই আম বাজারে বিক্রি করতে এসেছি। আমের বাজার কম হলেও আম তারাতারি বিক্রি করতে পারতেছি না। বর্তমান গ্রামীণ বাজার গুলোতে আমের দাম কম হলেও চাহিদা অনেক কম।

এ বিষয়ে আমের ব্যাপারী ফুলবাবু বলেন, আমি উপজেলার প্রায় প্রত্যেক গ্রামীণ বাজারে আম কেনা বেচা করি। বর্তমানে সুলভ মুল্যে আম ক্রয় করে তা লাভে বাজারে বিক্রয় করি। আমি আমের ব্যাবসা করে সাংসার পরিচালনা করি। তিনি আরও বলেন বর্তমান আমের বাজারের যে অবস্থা আম কিনে আনতে মন চায় না। বেশি আম কিনলে তা বাজারে বিক্রি করতে না পারলে পঁচে যায়। তাতে ব্যাবসায় অনেক ক্ষতি হয়। তিনি আরও বলেন বর্তমান আমের বাজার কম থাকার পরেও আম ক্রেতা অনেক কম। যারা হঠাৎ করে আম বাজারে বিক্রি করতে আসে তা কখন কখন বিক্রি করতে না পেয়ে বাসায় ফিরে নিয়ে যায়।