নিজস্ব সংবাদ : 
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
র্যাব-৩ এর অভিযানে রাজধানীর কদমতলী এলাকা হতে আলোচিত ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মোঃ হিরো মোল্লা (২৪) কে আটক, ০১ জন ভিকটিম উদ্ধার।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে নারী ও শিশু অধিকার রক্ষার্থে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে। যেখানে নারীর অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে সেখানে র্যাব সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করেছে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্মম, মর্মান্তিক ও পৈচাশিক ধর্ষণের ঘটনা কিশোরী গণধর্ষণের মত জগন্যতম ঘটনার আসামীদেরকে গ্রেফতার করে জনসাধারণের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হয়েছে। গণমাধ্যম কর্মী ও দেশবাসীর পূর্ণ সমর্থন নিয়ে র্যাব নারীর অধিকার রক্ষার্থে সাফল্য ধরে রাখতে বদ্ধ পরিকর।
সম্প্রতি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মুরাদপুর এলাকা থেকে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে দেশব্যপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব-৩ গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৩ এর একটি অভিযানিক দল গত ০৬/০৬/২০২২ তারিখ ০৩৩০ ঘটিকার সময় তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে রাজধানীর কদমতলী থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আলোচিত ধর্ষণের প্রধান আসামী মোঃ হিরো মোল্লা (২৪), সাং-শৌল্লা, থানা-শিবচর, জেলা-মাদারীপুরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ধৃত আসামীর হেফাজত হতে ০১ জন ভিকটিম উদ্বার করা হয়।
ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় যে, গত ১৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখ সকাল অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম স্কুল হতে বাসায় আসার সময় ধৃত আসামী পূর্ব পরিকল্পনা করে রাস্তা হতে জোরপূর্বক রিক্সায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যায়। আসামী ভিকটিমকে প্রতারনামূলকভাবে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে আটকে রেখে শারিরীক নির্যাতন ও পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী তার কৃতকর্মের বিষয়টি স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে ডিএমপি শ্যামপুর থানায় মামলা করা হয়।
বীণা রানী দাস, পিপিএম, পিপিএম (সেবা)
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
স্টাফ অফিসার (অপস্ ও ইন্ট শাখা)
পক্ষে পরিচালক
