ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার বলেছেন, বিচার বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিটি সদস্যই ন্যায় বিচারের অংশ। তাই তাদের সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিশেষ করে মানবিক মূল্যবোধকে ধারণ করে বিবেক দিয়ে ন্যায় অন্যায়ের বিবেচনা করে বিচার পেতে আসা মানুষকে সেবা দিতে হবে। দুর্নীতি সকল অশান্তির মূল।
ইহকালে যেমন এর কোন মূল্য নেই, তেমনি পরকালেও তাদের শান্তি নেই। তাই নিজেদের মধ্যে ধর্মভীরুতা রেখে দুর্নীতিমুক্ত থেকে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। যদি কেউ মনে করেন বিচারকদের চোখে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি ধরা পড়ে না তাহলে ভুল করবেন। তাই সকলকে বলব সকল অন্যায় ও দুর্নীতির উর্ধ্বে থেকে বিচারপ্রার্থী জনসাধারণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে। সততার হাত ধরে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচার বিভাগ অচিরেই একটি মডেল বিচার বিভাগে পরিণত হবে বলে আশা রাখি।
তিনি সোমবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের সম্মেলন কক্ষে “ শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। “বিনা খরচে নিন আইনী সহায়তা, শেখ হাসিনার সরকার দিচ্ছে এই নিশ্চতয়তা” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস আয়োজিত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, প্রশিক্ষণ মানুষকে তাদের জ্ঞান সম্পর্কে সমৃদ্ধ করে। তিনি প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার রহিমা আলাউদ্দিন মুন্নির সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমি, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা জজ (২য় আদালত) মোহাম্মদ আবু ওবাইদা, যুগ্ম জেলা জজ (২য় আদালত) মোঃ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আল আমিন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিস আহম্মেদ হ্যাপি প্রমূখ। প্রশিক্ষণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচার বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, নাজির, পেশকার, জারিকারসহ তৃতীয় শ্রেণীর ৫০ জন প্রশিক্ষনার্থী অংশগ্রহন করেন।