মোঃরনি মল্লিক বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে রাতের আঁধারে টাকা দিয়ে ভোট কেনার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক বহিরাগত সমর্থক জহিরুল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করেছে এলাকাবাসী। আটককৃত ব্যক্তিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করলে ভ্রম্যমান আদালতে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।
শনিবার (৪ জুন) রাতে তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের তাতিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দন্ডাদেশ প্রাপ্ত ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী দুলাল ফরাজীর সমর্থক বলে জানা গেছে। তিনি পার্শ্ববর্তী জেলা পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার চাখামাইয়া এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে সাতটার দিকে তাতিপাড়া এলাকায় এক অপরিচিত ব্যক্তিকে বাড়ি বাড়ি যেতে দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। এসময় তাকে জিজ্ঞেস করে তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়লে তিনি পার্শ্ববর্তী উপজেলার বাসিন্দা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দুলাল ফরাজীর সমর্থক বলে স্বীকার করেন। এরপর বেশ কয়েকজন ব্যক্তির বাড়িতে তিনি ভোট কেনার জন্য টাকা নিয়েও প্রবেশ করেছিলেন বলে এলাকাবাসীর কাছে স্বীকার করেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিনা জাহান।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া বলেন, বর্তমান স্বতন্ত্র প্রার্থী এই ইউনিয়নের চেয়াম্যান ছিলেন তাই ইউনিয়ন পরিষদ ভবনকে ব্যবহার করেই এখনো তার কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। সেই সাথে বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী এনে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। আমার নেতাকর্মীদের মারধর, মামলা-হামলার হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। ইতোমধ্যে তার একজন সমর্থক কালো টাকা বিতরণের সময় এলাকাবাসীর হাতে আটক হয়ে কারাগারে গেছেন। আমি চাই সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে।
এবিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী দুলাল ফরাজীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি কেটে দিয়েছেন।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম সাদিক তানভীর বলেন, তালতলী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রতীক বরাদ্ধের পর থেকে প্রার্থীরা স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকায় তাদের প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। কয়েকটি এলাকায় কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আমরা আশা করছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, বহিরাগত যারা এখনো তালতলীর বিভিন্ন ইউনিয়নে অবস্থান করছেন তাদের হুশিয়ার করে বলতে চাই সময় থাকতে এলাকা ছাড়ুন তা না হলে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে একজন বহিরাগতকে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা।