মাহফুজ হাসান, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
তামার পাত্রে জল সঞ্চয় করে রাখা বা জল খাওয়া প্রাচীন যুগ থেকে চলে আসছে। মাঝে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ও চোখধাঁধানো ডিজাইনের বোতল পাওয়া গিয়েছে বলে, অনেকেই সেই বোতলে জল রাখা বা খাওয়ার অভ্যাস চালু করে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, মানুষ আবারও পুরনো অভ্যাসে ফিরছে। এর একাধিক ভালো দিকের কথা মাথায় রেখে, আবারও তামার পাত্রে খাওয়া বা তামার গ্লাস, বোতলে জল খাওয়া শুরু হচ্ছে।
জানা যায়, তামা পেট, লিভার এবং কিডনির মতো অঙ্গগুলিকে ডিটক্সিফাই করে। এতে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা পাকস্থলীর ক্ষতিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করে। ফলে পেটে আলসার ও সংক্রমণের সমস্যা হয় না।
তামার পাত্রে ইদানিং অনেকেই জল রাখেন। তামায় অনেক প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে। এতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো। এই কারণেই আয়ুর্বেদ এবং বিজ্ঞানে তামার পাত্রের জলকে স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত বলে মনে করা হয়।
পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে :
তামা পেট, লিভার এবং কিডনির মতো অঙ্গগুলিকে ডিটক্সিফাই করে। এতে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা পাকস্থলীর ক্ষতিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করে। ফলে পেটে আলসার ও সংক্রমণের সমস্যা হয় না।
ক্ষত দ্রুত নিরাময় :
কপারে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি দ্রুত ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া তামা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নতুন কোষ তৈরিতেও সাহায্য করে।
বার্ধক্যের প্রভাব হ্রাস :
কপারে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মুখের সূক্ষ্ম রেখা ও দাগ দূর করে।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, জল পানের সময় তামার তৈরি পাত্র বা গ্লাস ব্যবহার করাই ভালো।
কিন্তু তামার পাত্রে জল কীভাবে খাবেন?
আয়ুর্বেদশাস্ত্র অনুযায়ী, রাতেরবেলা যদি তামার জগ বা গ্লাসে জল ঢেকে রেখে দেন। সকালবেলায় খালি পেটে সেই জল খেলেই শরীরের নানা রোগব্যাধি দূর হয়। উপকার পেতে হলে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা তামার পাত্রে জল রাখতে হবে। অর্থাৎ তামার জগ বা বোতলে আগের রাতেই জল ভরে রেখে দিন। এরপর পরের সারাদিন সেটা পান করুন।
হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে – তামার পাত্রে খাবার খাওয়া, তামার গ্লাসে বা বোতলে জল খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা দূর হতে পারে। কারণ তামা হজমে সাহায্য করে। এতে থাকা উপাদান ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে, পেটের সমস্যা দূর করে, মেটাবলিজম ঠিক রাখে।
সতর্কতাঃ- মনে রাখতে হবে, লেবুর জল বা গরম জল যেন তামার পাত্রে না রাখা হয়!