নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ সারা দেশের ন্যায় নেত্রকোণায় অনুমোদনহীন প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের অভিযান চলছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোণা পৌর শহরের বারহাট্টা রোড এলাকায় বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে ও ২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানের সময় বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে কোন কর্তব্যরত চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলো না। চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে হাসপাতালের কর্তব্যরত অফথালমিক প্যারামেডিক মনির হোসেন নামের এক ব্যক্তি রোগী দেখছিলেন ও রোগীর ব্যাবস্থাপত্রে চিকিৎসকের স্বাক্ষর করেন যা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নজরে আসে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নেত্রকোণা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা আক্তার এই চক্ষু হাসপাতালের কর্তব্যরত মনির হোসেনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ২০০৯ এর ৩৯ এবং ৪৪ ধারার অপরাধে ১৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। এছাড়া একই এলাকার অনুমোদনহীন ইউনাইটেড ডিজিটাল ও নাহার ডায়াগনস্টিক সেন্টার দুইটিকে সিলগালা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী অফিসার নেত্রকোণা সদর মাহমুদা আক্তার।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন নেত্রকোণা সদর হাসপাতালের ডাক্তার মোঃ শামসুজ্জামান মেডিকেল অফিসার, নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল।
নেত্রকোণা জেলায় মোট ১শ ৩১ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। তার মধ্যে অনুমোদন আছে ৮৩ টি আর অনুমোদনহীন ৪৮ টি।
নেত্রকোণা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তথ্যমতে জেলায় প্রাইভেট হাসপাতাল রয়েছে ২৯ টি। অনুমোদন আছে ১৯ টির আর অনুমোদন নেই ১০ টি। অনুমোদনহীন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা আক্তার লাইসেন্স ছাড়া কোন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু রাখলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে এবং জরিমানা করা হবে।
এ ব্যাপারে তিনি আরো বলেন আমাদের অভিযান কার্যক্রম চলমান থাকবে।