মোঃ আজিজার রহমান, জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুরঃ সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে খানসামা উপজেলা প্রশাসন। অবশেষ স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাটে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের পদক্ষেপ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফ হাসান ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ শামসুদ্দোহা মুকুলের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এসময় মমতাজ ক্লিনিক সাময়িক বন্ধ এবং চার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
আজ মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে উপজেলার পাকেরহাটে অবস্থিত এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফ হাসান ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ শামসুদ্দোহা মুকুলের নেতৃত্বে অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা.রিজওয়ানুল কবির, মেডিকেল অফিসার মোস্তাসিম তাহমিদ, স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি ও থানা পুলিশ সদস্যগণ।
জানা যায়, পাকেরহাট মমতাজ ক্লিনিক অনিবন্ধিত ও অব্যবস্থাপনা ও ভুয়া সনদে পরিচালনা করার অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও লাইসেন্স না করা পর্যন্ত সাময়িক বন্ধ ঘোষণা, সেফ ওরাল ডেন্টাল কেয়ারে লাইসেন্স নবায়ন ও যন্ত্রপাতি জীবাণু মুক্ত করার ব্যবস্থা না থাকায় ২ হাজার টাকা জরিমানা, মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিবন্ধনের কাগজপত্রে ত্রুটি ও টেকনোলজিস্ট এর কাগজ দেখাতে না পারায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা এবং লাইফ কেয়ার ক্লিনিকের এর কাগজপত্রে ত্রুটি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সমস্যা থাকায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফ হাসান বলেন, যে, যে সমস্ত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়ম পাওয়া গেছে এর মধ্যে মমতাজ ক্লিনিক অনির্দিষ্টিকালের জন্য বন্ধসহ জরিমানা ও ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকদের জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে।
একই সাথে তাদের রেজিষ্ট্রেশন নবায়ন ও অন্যান্য কাগজপত্রের ত্রুটি থাকায় তা নবায়ন করার জন্য একমাসের সময় দেয়া হয়েছে। সময়ের মধ্যে নবায়ন না করলে এগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, এ অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা যে কোন সময় এ অভিযান পরিচালনা করব।
উল্লেখ্য গতকাল আমাদের পত্রিকায় “অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে পদক্ষেপ বিহীন খানসামা উপজেলা” শিরোনামে নিউজ প্রকাশের পর বিষয়টি খানসামা উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়।