প্রেস বিজ্ঞপ্তি
র্যাব-১ এর বিশেষ অভিযানে রাজধানীর বংশাল হতে জাল টাকা তৈরী ও ব্যবসায়ী চক্রের ০২ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার ॥ জাল টাকা তৈরীর সরঞ্জামাদিসহ ২,০৯,০০০ মূল্যমানের জাল টাকা উদ্ধার।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এক শ্রেণীর অসাধু চক্র বাংলাদেশী জালনোট তৈরী করে সাধারণ মানুয়ের সাথে প্রতারণা করে আসছে। র্যাব সবসময় এধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
এলিট ফোর্স র্যাব সূচনালগ্ন হতে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, জাল টাকা ব্যবসায়ী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, খুনী, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজদের কঠোর হস্তে দমনের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসে। ফলশ্রুতিতে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং র্যাব জনগনের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
সম্প্রতিকালে জাল টাকা তৈরির সাথে বেশ কয়েকটি চক্র জড়িত আছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়। বাংলাদেশের আর্থিক চাকাকে অচল করতে এবং সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে অধিক মুনাফার লোভে জাল টাকা তৈরি ও বাজারজাত করার সংঘবদ্ধ কিছু চক্র সক্রিয় হয়ে পড়ছে। এই চক্রগুলো জাল টাকা তৈরি করে নিদির্ষ্ট কয়েকজন সদস্য দিয়ে আসল টাকার ভেতর জাল টাকা মিলিয়ে দিয়ে সহজ সরল মানুষকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর এই রকম চক্রের কিছু সদস্য র্যাবের জালে ধরা পড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৭ মে ২০২২ ইং তারিখ আনুমানিক ১৭.১০ ঘটিকার সময় র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সূত্রের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ডিএমপি, ঢাকার বংশাল থানাধীন ২২৩ নবাবপুর রোড, আবাসিক হোটেল টিউলিপ এর ৬ষ্ট তলায় ১৩৫ নং রুমে একটি চক্র জাল টাকা তৈরি করে আসছে।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে জালনোট তৈরী ও ব্যবসায়ী চক্রের সক্রিয় সদস্য ১) মোঃ রমজান হোসেন টুটুল (২২), পিতা-মোহাম্মদ আলী, মাতা-ঝর্না বেগম, সাং- রনি মার্কেট সংলগ্ন, মুসার বাসা, বাজারের গলি, ৫৬নং ওয়ার্ড, থানা- কামরাঙ্গীরচর, ডিএমপি, ঢাকা এবং ২) আব্দুল মালেক (৩৭), পিতা-আব্দুস সালাম, মাতা-মোছাঃ ছকিনা বেগম, সাং-মেলাভাঙ্গা, পোঃ উজিরপুর, থানা-নাচোল, জেলা- চাপাইনবাবগঞ্জ এ/পি হোটেল টিউলিপ, নবাবপুর রোড, থানা-বংশাল, ডিএমপি, ঢাকা’দেরকে গ্রেফতার করে।
এসময় ধৃত আসামীদ্বয়ের নিকট হতে ২,০৯,০০০ টাকা মূল্যমানের জালনোট, ০১ টি সিপিইউ, ০১ টি মনিটর, ০১ টি প্রিন্টার এবং ০৩ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। ধৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ জালনোট তৈরি করে আসছিল। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে জালনোট তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করে জালনোট তৈরী করে।
তারা জালনোট প্যাকেট আকারে সুনির্দিষ্ট কিছু লোককে সরবরাহের নিমিত্তে বিপুল পরিমান জালনোট তৈরী এবং বাজারে সরবরাহ করে আসছিল বলে মর্মে স্বীকার করে। উদ্ধারকৃত জাল টাকা, সরঞ্জামাদি ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। স্বাক্ষরিত/- নোমান আহমদ সহকারী পুলিশ সুপার সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) অধিনায়কের পক্ষে মোবাইলঃ ০১৭৭৭৭১০১০৩।