নিরেন দাস,জয়পুুরহাট প্রতিনিধিঃ-
গত বুধবার ১১ মে সকালে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে জয়পুুরহাট-১ আসনের সাংসদ এ্যাড. সামসুল আলম দুদু-এমপিকে আমন্ত্রণ না করায় জেলা প্রশাসককে অপসারণের দাবীতে দলীয় নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল এবং বিকেলে ঈদ পুনর্নির্মাণী উপলক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাঃ সম্পাদক, রুকিন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর তার বক্তব্যে কেন্দ্রী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতীয় সংসদের হুইপ ও জয়পুুরহাট – ২ আসনের সাংসদ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন-এমপি কে নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করাসহ অবসর চৌধুরী জয়পুুরহাট-২ আসনের সাংসদ হিসেবে মনোনয়ন চাইবেন বলে সরাসরি বক্তব্য দেয়ার পর থেকেই।
জয়পুরহাট জেলার ৫ টি উপজেলাতে আওয়ামীলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর তীব্র প্রতিবাদ ও জেলা আওয়ামীলীগ থেকে অবসর চৌধুরীকে বহিষ্কারের দাবীতে চলছে দফায় দফায় প্রতিবাদ তারই ধারাবাহিতায় রবিবার জেলা আওয়ামীলীগের জরুরি সভা শেষে রাতে গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর তার ব্যবহারিক ফেইসবুক থেকে একটি আবেগময় স্ট্যাটাস দিয়ে জেলাকে আরও গরম করে তুলেছেন।
তার লেখা স্ট্যাটাস টি নিম্বে হুবহ উল্লেখ করা হইলোঃ-
প্রিয় ভাইবোন, বন্ধুগণ,
সালাম/নমস্কার আমি আপনাদের সন্তান-
❝গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর❞
মুজিব আর্দশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোন নেতার বাবা,বা পরিবার, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কোন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করিনি,অথচ সেই বড় নেতার লেলিয়ে দেওয়া কিছু হাইব্রিড,নব্য, ভাড়াটিয়া কর্মীরা আমার পরিবার,স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে নানা আপত্তিকর মন্তব্য অনবরত করে যাচ্ছে এবং কুৎসা রটাচ্ছে।
এরা কারা? প্রিয় জয়পুরহাট বাসীদের উপরে বিচারের ভার ছেড়ে দিলাম।
সংগ্রামী সাথী ও বন্ধু,
আমি ❝অবসর চৌধুরী❞ একা নয়।
কালাই ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুরের আট/নয়জন বড় নেতা ছাড়া আর জয়পুরহাট জেলার তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীবৃন্দ সহ জয়পুরহাট জেলার সর্বস্তরের জনগণ, সবাই আমাদের সাথেই আছে।
কালাই ক্ষেতলাল আক্কেলপুরের ঐ আট/নয়জন স্পেশাল নেতা কে আর কারা, আপনারা তা সম্পর্কে সকলেই অবগত আছেন।
আমি কখনোই নেতা হতে চাইনি, আমি সর্বদাই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানব, বাংলার ইতিহাসের মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশিক চেতনাকে লালন করে প্রানপ্রিয় রাষ্ট্রনায়ক, দেশরত্ন শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ’কে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে আজীবন ক্ষুদে একজন কর্মী হয়ে কাজ করে যেতে চাই।
অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় করার লক্ষ্যে রাজপথ আর ময়দানের লড়াই করা মানুষদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে চলতে চাই চিরকাল।
আমি শুধু দলের ঐসব নিপীড়িত, লাঞ্ছিত আদি আওয়ামী লীগ কর্মীদের পাশে থাকতে চাই।
যাঁরা এক যুগ ধরে মঞ্চে, সভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে কথিত কিছু নেতার লেবাসধারীদের দ্বারা অপমানিত হয়েছেন, লাঞ্ছিত হয়েছেন, আমি তাঁদের পাশে শুধু একজন কর্মী হয়ে থাকতে চাই।
যাঁরা দুঃসময়ে দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন, নিভৃত-নীরবে মমতাময়ী মা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্য লড়াই করেছেন, অথচ আজ তাঁরাই নব্য আওয়ামী লীগারদের দ্বারা চরমভাবে কোণঠাসা হয়ে আছে।
ত্যাগীদের ছলেবলে, নানা অপকৌশলে দাবিয়ে রাখা হয়েছে।আমি সেই সমস্ত অন্যায়-অপশক্তিকারী কলাকৌশলীর ইতিহাস ও বর্তমান নিয়ে কথা বলেছি।
তখন তাদের টনক নড়ে ওঠার আভাস পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশ বহিঃভূত সিধান্তে তারা তাদের সর্মথিত গোষ্ঠীদের নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিছিল-মিটিং করে আমি সহ আমার পরিবার, ও আমার মরহুম পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা- গোলাম রসুল চৌধুরী’র বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে নানা নোংরামির খেলায় মাতেন।পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগে মিটিংয়ে আমায় কোনো প্রকার আত্নসমর্পণের সুযোগ না দিয়ে তারা তাদের সিধান্তকে চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য করেন।
সংগ্রামী সহযোদ্ধা ও কর্মী ভাইয়েরা নেতা যখন ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করে,তখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রয়োজন।তা হতে পারে আগ্রাসী, কিংবা চোরাস্রোতের মতো!
ইতিহাস নির্বাক হলেও নির্মম। প্রাপ্য মূল্য আদায় করে নেওয়ার বেলা ইতিহাস আপন-পর ভেদাভেদ করে না।
ইতিহাসের স্মরণী বেয়েই আমার পথ চলা।
কিন্তু এই পথ মোটেই সহজ সরল নয়। অত্যন্ত বাঁকা এবং দুর্গম।বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিতর দিয়েই ইতিহাস এক-একটি কালখণ্ডের নেতা নির্বাচন করে। একজন ঐতিহাসিক চরিত্র হিসেবেই জয়পুরহাটের বুক থেকে ৩o বছরের জগদ্দল পাথর উপড়েছিলেন আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা- গোলাম রসুল চৌধুরী।
আমি সেই আর্দশ পিতার সন্তান।অন্যায়-অপশক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও লড়াই আমার নেশা, পেশা। আমার রক্তে মিশে আছে বীর মুক্তিযোদ্ধা- গোলাম রসুল চৌধুরী’র উত্তপ্ত রক্ত।
জয় বাংলা,
জয় বঙ্গবন্ধু!