বাংলাদেশ ০৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামী নাজিবুল ইসলাম নাজিমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। উল্লাপাড়ায় সড়ক দূর্ঘনায় ১ জনের মৃত্যু  আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার সড়কে ধান মাড়াই,বিড়াম্বনায় পথচারিরা স্বপ্নীলকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে কুবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি দখলদারিত্ব নিয়ে দুই ই গ্রুপে সংঘর্ষ ছাত্রলীগের দুই নেতা বহিষ্কার। গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। কাউখালীর ঐহিত্যবাহী শীতল পাটির কদর দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে বাতিল নয় !হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে আপত্তি থাকলে ভুক্তভোগীরা আপত্তি জানাতে পারবেন। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে শোকজ কোন রক্ত চক্ষুকে ভয় পাই না- আপনাদেরকে অভয় দিচ্ছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হবে জনগনের ভালবাসায় এগিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী চায়না খানম কালকিনিতে প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম নন্দীগ্রামে মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন বানচাল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ভ্রাম্যমাণ যৌন কর্মীদের কাছ থেকে সাংবাদিক ও পুলিশ চাঁদা আদায়-১

রাবিতে হলরুমে আটকে তিনঘণ্টা যাবৎ নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:১৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
  • ১৫৯০ বার পড়া হয়েছে

রাবিতে হলরুমে আটকে তিনঘণ্টা যাবৎ নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

 

 

রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের এক নেতাকে ক্যাম্পাস থেকে ধরে নিয়ে হলকক্ষে তিনঘণ্টা আটকে রেখে মারধর, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এসময় পিস্তল ঠেকিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ তুলেন ওই ছাত্রদল নেতা।

গতকাল সোমবার (৬ মে) রাত ১০টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে তুলে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ভুক্তভোগী হলেন, নাফিউল ইসলাম জীবন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক। তিনি আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।

এদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। তার অনুসারীরা হলেন, সহ-সভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ শেখ, সাদিকুল ইসলাম সাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ ও মাদার বখ্শ হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিশকাত হাসান।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নির্দেশনা মোতাবেক তাদের কর্মী সভা থাকায় সোমবার রাত ৯টার দিকে নাফিউল তার এক বন্ধুর সাথে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানাতে আসেন। এক পর্যায়ে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা তাকে অনুসরণ করলে বিষয়টি তিনি বুঝতে পারেন। ফলে নাফিউলের সাথে থাকা মোটর সাইকেল করে রোকেয়া হলের পশ্চিম পাশের রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় ছাত্রলীগ নেতারা তাদেরকে পথরোধ করে আটক করেন। এরপর তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে আসেন।

তার কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন পর্যায়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় তাকে মারধর করেন গালিব। এক পর্যায়ে পিস্তল দেখিয়ে ওই ছাত্রদল নেতাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন তিনি। পরে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদের কাছে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করতে বলেন নাফিউলকে। পরে রাত দেড়টার দিকে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে তুলে দেন ছাত্রলীগ নেতারা।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতারা বলছেন, এর আগেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা মেরেছে। গতকাল ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে পারেন এমন সন্দেহ থেকে তাকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি। পরে তার কাছে কোনো তথ্য প্রমাণ না পাওয়ায় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা নাফিউল ইসলাম বলেন, আমাকে রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত জোর করে তুলে নিয়ে আমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় আমাকে মারধরও করা হয়। এসময় গালিব তার পিস্তল দিয়ে আমাকে ভয় দেখাচ্ছিলেন। তিনি আমার পায়ে গুলি চালান, কিন্তু পিস্তলে বুলেট ছিল না। এছাড়াও প্রায় তিন ঘন্টা আমাকে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করেন। এছাড়াও সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলতে বাধ্য করান।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, একা পেয়ে আমাদের সংগঠনের এক নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কাপুরুষের পরিচয় দিয়েছে ছাত্রলীগ। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’ এছাড়া প্রক্টরকে বারবার কল দিয়েও আমরা তাকে পাইনি। ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, কিছুদিন আগেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। তারা বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে চেয়েছিল। গতকাল আবারও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করছে সেই সন্দেহ থেকে তাকে নিয়ে এসে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তবে সন্দেহ মোতাবেক কোনোকিছু তার কাছে পাওয়া যায়নি। পরে আমরা তাকে পুলিশের কাছে না দিয়ে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে তুলে দিয়েছি। তার মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল সকলের সামনেই আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। তার গায়ে আমি বা আমার কোনো নেতাকর্মী হাত তুলেনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ঘটনা জানতে পেরে আমি রাতেই মাদার বখ্শ হলে দুজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠিয়েছি। তাদের প্রক্টরিয়াল অফিসে এনে তাদেরকে মারধর করা হয়েছে কিনা জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়। মারধর বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের কোনো অভিযোগ করেননি ভুক্তভোগীরা। কিছুক্ষণ পর তাদেরকে আমরা ছেড়ে দেই।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামী নাজিবুল ইসলাম নাজিমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

রাবিতে হলরুমে আটকে তিনঘণ্টা যাবৎ নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ০৯:১৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

 

 

রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের এক নেতাকে ক্যাম্পাস থেকে ধরে নিয়ে হলকক্ষে তিনঘণ্টা আটকে রেখে মারধর, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এসময় পিস্তল ঠেকিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ তুলেন ওই ছাত্রদল নেতা।

গতকাল সোমবার (৬ মে) রাত ১০টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে তুলে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ভুক্তভোগী হলেন, নাফিউল ইসলাম জীবন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক। তিনি আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।

এদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। তার অনুসারীরা হলেন, সহ-সভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ শেখ, সাদিকুল ইসলাম সাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ ও মাদার বখ্শ হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিশকাত হাসান।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নির্দেশনা মোতাবেক তাদের কর্মী সভা থাকায় সোমবার রাত ৯টার দিকে নাফিউল তার এক বন্ধুর সাথে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানাতে আসেন। এক পর্যায়ে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা তাকে অনুসরণ করলে বিষয়টি তিনি বুঝতে পারেন। ফলে নাফিউলের সাথে থাকা মোটর সাইকেল করে রোকেয়া হলের পশ্চিম পাশের রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় ছাত্রলীগ নেতারা তাদেরকে পথরোধ করে আটক করেন। এরপর তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে আসেন।

তার কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন পর্যায়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় তাকে মারধর করেন গালিব। এক পর্যায়ে পিস্তল দেখিয়ে ওই ছাত্রদল নেতাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন তিনি। পরে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদের কাছে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করতে বলেন নাফিউলকে। পরে রাত দেড়টার দিকে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে তুলে দেন ছাত্রলীগ নেতারা।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতারা বলছেন, এর আগেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা মেরেছে। গতকাল ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে পারেন এমন সন্দেহ থেকে তাকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি। পরে তার কাছে কোনো তথ্য প্রমাণ না পাওয়ায় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা নাফিউল ইসলাম বলেন, আমাকে রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত জোর করে তুলে নিয়ে আমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় আমাকে মারধরও করা হয়। এসময় গালিব তার পিস্তল দিয়ে আমাকে ভয় দেখাচ্ছিলেন। তিনি আমার পায়ে গুলি চালান, কিন্তু পিস্তলে বুলেট ছিল না। এছাড়াও প্রায় তিন ঘন্টা আমাকে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করেন। এছাড়াও সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলতে বাধ্য করান।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, একা পেয়ে আমাদের সংগঠনের এক নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কাপুরুষের পরিচয় দিয়েছে ছাত্রলীগ। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’ এছাড়া প্রক্টরকে বারবার কল দিয়েও আমরা তাকে পাইনি। ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, কিছুদিন আগেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। তারা বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে চেয়েছিল। গতকাল আবারও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করছে সেই সন্দেহ থেকে তাকে নিয়ে এসে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তবে সন্দেহ মোতাবেক কোনোকিছু তার কাছে পাওয়া যায়নি। পরে আমরা তাকে পুলিশের কাছে না দিয়ে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে তুলে দিয়েছি। তার মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল সকলের সামনেই আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। তার গায়ে আমি বা আমার কোনো নেতাকর্মী হাত তুলেনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ঘটনা জানতে পেরে আমি রাতেই মাদার বখ্শ হলে দুজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠিয়েছি। তাদের প্রক্টরিয়াল অফিসে এনে তাদেরকে মারধর করা হয়েছে কিনা জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়। মারধর বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের কোনো অভিযোগ করেননি ভুক্তভোগীরা। কিছুক্ষণ পর তাদেরকে আমরা ছেড়ে দেই।