প্রেস বিজ্ঞপ্তি
র্যাব-৩ এর অভিযানে গাজীপুর জেলার সদর থানা এলাকা হতে বিদেশে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামী মোঃ খলিল মিয়া (৪৫) গ্রেফতার।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এ পর্যন্ত জঙ্গি, সাইবার ক্রাইম, সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী, মানবপাচারকারী, চাঁদা বাজ, নৈরাজ্যকারী, বিভিন্ন মামলার আসামী, অপহরণকারী, জালনোট ব্যবসায়ী, প্রতারক চক্র, চাঞ্চল্যকর অভিযান, ধর্ষক এবং হত্যাকারী ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
https://youtu.be/W1IBZmODt7A
এছাড়াও নারী ও শিশু অধিকার রক্ষার্থে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে। যেখানে নারীর অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে সেখানে র্যাব সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করেছে। সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণের মামলায় মূল আসামীদেরকে গ্রেফতার করে জনসাধারণের প্রত্যাশা পূরণের সক্ষম হয়েছে। গণমাধ্যম কর্মী ও দেশবাসীর পূর্ণ সমর্থন নিয়ে র্যাব নারীর অধিকার রক্ষার্থে সাফল্য ধরে রাখতে বদ্ধ পরিকর।
সুনিদিষ্ট অভিযোগ ও পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানা যায় যে, একজন ভিকটিম সৌদি আরব যাওয়ার জন্য মোঃ খলিল মিয়া (৪৫) নামীয় এক স্থানীয় দালালের নিকট তার পাসপোর্ট হস্তান্তর করে। সে ভিকটিমকে নিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সিতে যায় এবং ভিকটিমের মেডিকেলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করতে ভিকটিমকে সহায়তা করে। গত ২৬/১১/২০২১ খ্রিঃ তারিখ বিকাল ০৪০০ ঘটিকায় উক্ত দালাল ভিকটিমকে তার ভিসা ও পাসপোর্ট নেওয়ার জন্য দালালের ব্যাচেলর মেসে আসতে বলে। ভিকটিম সরল বিশ্বাসে ঝিলপাড়, খিলগাঁও তালতলা সিটি সুপার মার্কেটের পিছনে ব্যাচেলর মেসে পৌঁছালে দালাল খলিল ভিকটিমকে তার রুমের মধ্যে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। মেসে তখন দালাল খলিল ছাড়া কেউ ছিল না। তখন দালাল খলিল খালি রুমে ভিকটিমকে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তারপর উক্ত ঘটনা গোপন রাখার জন্য সে ভিকটিমকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং তার সৌদি আরব যাত্রা বাতিল করার হুমকি দেয়। বিদেশ যাত্রা বাতিল হওয়ার ভয়ে ভিকটিম উক্ত ঘটনা গোপন রাখে।
গত ১৯ ফেব্রæয়ারি ২০২২খ্রিঃ তারিখে ভিকটিম সৌদি আরব গমন করে। সৌদি আরব পৌঁছানোর পর ভিকটিমের আকামার জন্য মালিকপক্ষ সৌদি আরবে ভিকটিমের মেডিকেল টেস্ট করলে ভিকটিম জানতে পারে সে ০৪ মাসের অন্তঃসত্তা। উক্ত বিষয়টি জানার পর মালিকপক্ষ ০৮ এপ্রিল ২০২২খ্রিঃ ভিকটিমকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। ভিকটিম দেশে ফেরত আসার পর সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিকে বিষয়টি জানায় এবং দালাল খলিলের নিকট ভিকটিম তার অনাগত সন্তানের পিতৃত্ব পরিচয় দাবী করে। তখন দালাল খলিল কৌশলে পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। অতঃপর ভিকটিম বাদী হয়ে খিলগাঁও ডিএমপি থানায় মামলা দায়ের করে।
ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে ১০/০৫/২০২২ তারিখ ভোর ০৬১০ ঘটিকার সময় গাজীপুর জেলার সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে খিলগাঁও থানার ধর্ষণ মামলার আসামী ১। মোঃ খলিল মিয়া (৪৫), সাং-ঘোগা, থানা-মুক্তাগাছা, জেলা-ময়মনসিংহকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে ধর্ষনের বিষয়টি স্বীকার করে । ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
—
Staff Officer (Ops)
RAB-3, Tikatuly, Dhaka.