বাংলাদেশ ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
এসএসসি (ভোকেশনাল) বোর্ড পরীক্ষার ফলাফলে ধনবাড়ীর শিক্ষার্থী ফাতেমা সারাদেশে দ্বিতীয় ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ কতৃক -৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, ৯ টি ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তি প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরে ঔষধ ও মেডিক্যাল সামগ্রী ক্রয় প্রক্রিয়ায় প্রতারণা ও জালিয়াতির প্রতারক চক্রের মূলহোতা সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। স্কুলে শিক্ষাথীর সংখ্যা ১১,এসএসসিতে অকৃতকার্য ১১ ঠাকুরগাঁওয়ে ভূট্রা ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পাঠাগারের নতুন সভাপতি জহির ও সাধারণ সম্পাদক লিটন এবার চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি। বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ ১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার। অভিনব কায়দায় পাচারের সময় গাঁজাসহ ০১ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। কুবিতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখান হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। আ.লীগের সংস্কৃতি-বিষয়ক উপকমিটির সদস্য হলেন রাবির ড. সুজন সেন দেশে গণমানুষের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে: রাবি উপ-উপাচার্য হিন্দু শিক্ষার্থীকে শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি রাবি ছাত্রলীগ নেতার আবারো তাজা প্রাণ গেল এক যুবকের।

এক মণ ধানের দামের চেয়ে শ্রমিকের মজুরি বেশি:শ্রমিক সংকট :কৃষক বিপাকে।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০৯:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মে ২০২২
  • ১৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

এক মণ ধানের দামের চেয়ে শ্রমিকের মজুরি বেশি:শ্রমিক সংকট :কৃষক বিপাকে।

মাহফুজ হাসান, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে এক মণ ধানের দাম দিয়েও পরিশোধ হচ্ছে না একজন শ্রমিকের পারিশ্রমিক। এবার উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও ধানকাটা শ্রমিকের পারিশ্রমিক কৃষকের নাগালের বাইরে। ফলে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন  কৃষকরা।
এবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় এক সাথে ধান কাটা শুরু হওয়ায় স্থানীয় শ্রমিকদের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে গেছে। ফলে ধান কাটার কাজে আসা শ্রমিকদের প্রতি জনকে ১০০০ টাকায় নিতে বাধ্য হয়েছেন কৃষকরা।
স্থানীয় বাজারে এক মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯শ টাকায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৮হাজার তিনশ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অধিক নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলার দ্বীপেশ্বর গ্রামের কামরুল, চরকাটি হারী গ্রামের রুক্কূন, হেলালসহ বেশ কয়েক জন কৃষক জানান, এলাকায় শ্রমিক সংকট এবং দূর থেকে কোনো শ্রমিক না আসায় এলাকার শ্রমিকদের ১০০০ টাকা করে মজুরি দিতে হচ্ছে তাদের।
উপজেলার চরকাটি হারী গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি তিন একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করেন। ধান কাটতে তিনি ছয় জন শ্রমিক আনেন। প্রতিদিনে তাদের প্রতি জনের মজুরি হিসেবে ১ হাজার টাকা দিতে হয়। এসব শ্রমিকের মাথাপিছু থাকা-খাওয়া বাবদ প্রতিদিন খরচ হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ৩শ টাকা।
উপজেলার কুড়িঘাটে শ্রমিকের হাটে বাকচান্দা থেকে ধান কাটতে আসা হামিদ, লিটন, মাকছুদ, জয়নালসহ কয়েক জন শ্রমিক জানান, ১ হাজার টাকা মজুরি দিয়ে আমাদের যেখানে নিয়ে যায়, সেখানেই কাজ করি। ধান কাটা শেষে টাকা নিয়ে বাড়ি যাই।
বাজারে বিভিন্ন জাতের প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। অথচ এক মণ ধান বিক্রি করেও হচ্ছে না একজন শ্রমিকের মজুরি। এত খরচ পুষিয়ে কাঙ্খিত মুনাফা অর্জন নিয়ে চিন্তিত তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: ইমরুল কায়েস জানান, এবার সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২৭টাকা করে প্রতি মণ ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮০ টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় একটু বেশি। তবে এলাকায় ধান কাটা শ্রমিক সংকট নেই।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

এসএসসি (ভোকেশনাল) বোর্ড পরীক্ষার ফলাফলে ধনবাড়ীর শিক্ষার্থী ফাতেমা সারাদেশে দ্বিতীয়

এক মণ ধানের দামের চেয়ে শ্রমিকের মজুরি বেশি:শ্রমিক সংকট :কৃষক বিপাকে।

আপডেট সময় ০৪:০৯:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মে ২০২২
মাহফুজ হাসান, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে এক মণ ধানের দাম দিয়েও পরিশোধ হচ্ছে না একজন শ্রমিকের পারিশ্রমিক। এবার উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও ধানকাটা শ্রমিকের পারিশ্রমিক কৃষকের নাগালের বাইরে। ফলে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন  কৃষকরা।
এবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় এক সাথে ধান কাটা শুরু হওয়ায় স্থানীয় শ্রমিকদের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে গেছে। ফলে ধান কাটার কাজে আসা শ্রমিকদের প্রতি জনকে ১০০০ টাকায় নিতে বাধ্য হয়েছেন কৃষকরা।
স্থানীয় বাজারে এক মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯শ টাকায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৮হাজার তিনশ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অধিক নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলার দ্বীপেশ্বর গ্রামের কামরুল, চরকাটি হারী গ্রামের রুক্কূন, হেলালসহ বেশ কয়েক জন কৃষক জানান, এলাকায় শ্রমিক সংকট এবং দূর থেকে কোনো শ্রমিক না আসায় এলাকার শ্রমিকদের ১০০০ টাকা করে মজুরি দিতে হচ্ছে তাদের।
উপজেলার চরকাটি হারী গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি তিন একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করেন। ধান কাটতে তিনি ছয় জন শ্রমিক আনেন। প্রতিদিনে তাদের প্রতি জনের মজুরি হিসেবে ১ হাজার টাকা দিতে হয়। এসব শ্রমিকের মাথাপিছু থাকা-খাওয়া বাবদ প্রতিদিন খরচ হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ৩শ টাকা।
উপজেলার কুড়িঘাটে শ্রমিকের হাটে বাকচান্দা থেকে ধান কাটতে আসা হামিদ, লিটন, মাকছুদ, জয়নালসহ কয়েক জন শ্রমিক জানান, ১ হাজার টাকা মজুরি দিয়ে আমাদের যেখানে নিয়ে যায়, সেখানেই কাজ করি। ধান কাটা শেষে টাকা নিয়ে বাড়ি যাই।
বাজারে বিভিন্ন জাতের প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। অথচ এক মণ ধান বিক্রি করেও হচ্ছে না একজন শ্রমিকের মজুরি। এত খরচ পুষিয়ে কাঙ্খিত মুনাফা অর্জন নিয়ে চিন্তিত তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: ইমরুল কায়েস জানান, এবার সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২৭টাকা করে প্রতি মণ ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮০ টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় একটু বেশি। তবে এলাকায় ধান কাটা শ্রমিক সংকট নেই।