বাংলাদেশ ০৮:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জামরুল ফল বিদেশী মদসহ ০৩ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সরকারের অনিচ্ছাতেই উচ্চ শিক্ষায় স্বদেশি ভাষা চালু হয়নি: ড. সলিমুল্লাহ খান রাজশাহীতে ৩০ ছাত্রকে বলাৎকার করে ভিডিও ধারণ করেন শিক্ষক ওয়াকেল ঠাকুরগাঁওয়ে উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে জেলা আওয়ামী রাজনীতিতে বিভক্তি হওয়ার আশঙ্কা রাজশাহীর পুঠিয়ায় তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সম্পদশালী মাসুদ পুঠিয়া উপজেলায় নির্বাচন: চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের কার সম্পদ কত? রাজশাহী মহানগরীতে চেকপোস্টে দুই পুলিশ পিটিয়ে আহত! দুইভাই আটক কাউনিয়ায় লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্ট এর সভা অনুষ্ঠিত ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামী নাজিবুল ইসলাম নাজিমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। উল্লাপাড়ায় সড়ক দূর্ঘনায় ১ জনের মৃত্যু  আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার সড়কে ধান মাড়াই,বিড়াম্বনায় পথচারিরা স্বপ্নীলকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে কুবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি দখলদারিত্ব নিয়ে দুই ই গ্রুপে সংঘর্ষ ছাত্রলীগের দুই নেতা বহিষ্কার। গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফরিয়াদ জানিয়ে এক ব্যবসায়ীর আত্মাহত্যার চেষ্টা 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২
  • ১৮০৮ বার পড়া হয়েছে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফরিয়াদ জানিয়ে এক ব্যবসায়ীর আত্মাহত্যার চেষ্টা 

উজ্জ্বল কুমার দাস (কচুয়া, বাগেরহাট) প্রতিনিধি।।
মোটাদাগে তিনি উল্লেখ্য করেনঃ তাই আমার জোর ফরিয়াদ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে, আমার জীবনের বিনীময় আমাদের মত নির্যাতিত, অত্যাচারিত, অধিকার বঞ্চিত পুরুষদের জন্য নতুন কোন আইন তৈরি হোক যাতে করে আমার মত কোন পুরুষকে জীবন ত্যাগ করার পথ বেছে নিতে না হয়, সমাজে নারী পুরুষ সবাই যোগ্য অধিকার পাক এটা আমি চাই।
বাগেরহাট জেলার কচুয়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ মশিউর রহমান ২৯ এপ্রিল রাত ১ টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবি করে লিখিত একটি পোস্ট ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
আত্মহত্যার চেষ্টাকালে তার লেখা পোস্টটি আমাদের হাতে আসে তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
জীবনের শেষ চিঠি, মানবতার দেশ-আমার সোনার বাংলাদেশের মানুষের কাছে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। আজ আপনাদের কাছে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া ছোট্ট একটা ইতিহাস বলবো, লেখাগুলো একটু বেশি কষ্ট হলেও পরার অনুরোধ থাকলো, আমি মোঃ মশিউর রহমান, পিতাঃ মোঃ মজনু শেখ, মাতাঃ তহমিনা বেগম, গ্রামঃ সহবৎকাঠী, পোস্টঃ মঘিয়া, উপজেলাঃ কচুয়া, জেলাঃ বাগেরহাট। পেশা ব্যবসা, আমার দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাঃ সুমী আক্তার, পিতাঃ এস্কেন্দার শেখ, মাতাঃ মিনারা বেগম, গ্রামঃ খলিশাখালী, পোস্টঃ মঘিয়া, উপজেলাঃ কচুয়া, জেলা বাগেরহাট। আমরা পাশা পাশি গ্রামের মানুষ একে অপরকে সেই ছোট্ট বেলা থেকে চিনি, আজ থেকে অনুমান পাচঁ বৎসর আগে কোন একটা সুত্রে আমাদের ভিতর ভালোবাসার সর্ম্পক তৈরী হয়, আমরা একে অপরকে ভিষন ভালোবাসতাম তখন মনে হইতো কেউ কাউকে ছাড়া বেচেঁ থাকতে পারবোনা, তাই নিজেদের ভিতরে সিদ্ধান্ত হয় আমরা আমাদের সর্ম্পকের কথা আমাদের পরিবারের কাছে জানাবো, কথা অনুযায়ী তা জানানো হয়, আসলে বাস্তবতা বরো কঠিন আমার পরিবার অনেক কষ্টে মেনে নিলেও ওর পরিবার আজও মেনে নিতে পারেনি, সেই প্রথম থেকেই পিছুটান শুরু হয়, হাজারো বাধা থাকলেও কেউ কাউকে ভুলে থাকতে পারিনি, উভয় পরিবারকে জানানোর দীর্ঘ এক বৎসর পর আমরা প্রথমবার কোর্টে এভিডেভিট করি তার ১৫ দিন পর আমরা কাজী অফিসে বিবাহ করি তার এক মাস পর ওর বাড়িতে বিষয়টি জানতে পারে, জানার সঙ্গে সঙ্গে ঐ দিনেই ওকে দিয়ে ডির্ভোস করায়, ওর পরিবার আমাদের কোন কথা শোনেনা, ডিভোর্সের পর ওকে বাড়ির বাহিরে কোন এক আত্মীয়ের বাড়িতে আটকে রাখে প্রায় চার মাস, তার পর হটাৎ একদিন বাড়িতে আসে তার প্রায় ৬ মাস পরে আবারো ও নিজে থেকে আমার সাথে যোগা-যোগ করে, বিভিন্ন মান অভিমানের ভিতর থেকে আবারো সর্ম্পকের জোড়া লাগে, আমরা আবারো সিদ্ধান্ত নেই বিবাহ করার, কিছুদিন পর দ্বিতীয় বারের মত কাউকে না জানিয়ে বিবাহ করি, বিবাহের পর বিষয়টি ও নিজেই পরিবারের কাছে জানায় ওর পরিবার খুব্ধ হয়ে আগের মত আবারো ঐ দিনেই ডিভোর্স করানোর সিদ্ধান্ত নেয় সেদিন শুক্রবার ও কোন ভাবে আমাকে জানিয়ে দেয় ও কিছু করতে পারছেনা, যা করার আমাকে করতে হবে, জুম্মার নামাজ শেষ করে আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরি ওদের বাড়ির উদ্দেশ্য করে, ওদের বাড়ির কিছু দুরে দেখতে পাই ওকে নিয়ে আমার শাশুড়ি মা সহ সাথে আরো দুই খালাতো ভাই নিয়ে যায় ডিভোর্স দিতে, আমি কচুয়া বাজার জিরো পয়েন্টে পৌছেঁ আমার স্ত্রীকে আমার সাথে চলে আসতে বলি তখন আমার শাশুড়ি মা সহ ভাইয়েরা আমার সাথে বেপরোয়া হাতা হাতি করে ওকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং ঐ দিনেই ডিভোর্স দিয়ে দেয়।
ডিভোর্সের ২ থেকে ৩ দিন পর বাড়িতে নিয়ে আসে তার ৩ দিন পর ও কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি ছেড়ে আমার কাছে চলে আসে, আমি ওকে সম্মানের সহিত গ্রহন করি, আমরা বেস সুখে শান্তিতে সংসার শুরু করি, ও আমার কাছে আসার অনুমান ৩ মাস পর আমি ওকে একদিন রাতে ওদের বাড়িতে নিয়ে যাই তার পর ওদের পরিবারের সাথে আত্মিয়োর সাথে যোগা-যোগ করার সুযোগ করে দেই এবং ওর ছোট্ট বোন আমার বাসায় প্রায় আশা যাওয়া করে আমি বিষয়টি ভালো মনে করেছি এবং ভেবেছি এই সুযোগে হয়তো পারিবারিক সর্ম্পকটা ভালো হবে আমাদের কে মেনে নিবে, র্দুভাগ্য আমার, আমার শাশুড়ি-মা আমার স্ত্রীকে আমার বিপক্ষে বুঝিয়ে অথবা কালো যাদু করে আমার স্ত্রীকে আমার বাসা থেকে আবারো নিয়ে যায়, আমার সুখের সংসার ভেঙ্গে দেয়, গত ২১-৩-২০২২ তারিখে আমার স্ত্রী আমাকে কিছু না বলে বাসা থেকে চলে গেলে আমি তাকে তার যত আত্মীয় স্বজন তাদের কাছে খুজঁতে থাকি কোথাও খুজেঁ পাওয়া না গেলে আমার মা বাবা সহ তাদের বাড়িতে যাই বিষয়টি তাদের জানালে তারা কিছুই জানেনা এবং আমাকে দোষারোপ করে পাঠিয়ে দেন, পরের দিন সকালে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি এবং একই দিনে আমার শশুর ও একটি লিখিত অভিযোগ করে, তার পর থেকে পুলিশ আমাদের উভয় পক্ষের কাছে বিষয়টি ভালোভাবে জানার চেষ্টা করে এবং খুঁজে পাওয়ার বিভিন্ন পরামর্শ দেন তার তিনদিন পর আমার শশুর নিজে গিয়ে থানায় ওসি সাহেব কে জানান তার মেয়েকে পাওয়া গেছে এবং তার মেয়ে আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে, আমার পক্ষে বরো ভাই মোল্লা সুমন ওসি সাহেবের সাথে কথা বল্লে ওসি সাহেব বলেন যেখানে মেয়ে ডিভোর্স দিয়েছে সেখানে আমাদের সমাধান করার মত আইনি কোন বিষয় থাকেনা।
তার পর আমি আমার ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে যাই বিষয়টি তাকে খুলে বললে তিনি বলেন দেশের ৯৯% আইন নারীর পক্ষে আইনের মাধ্যমে কোন কিছু করার সুযোগ নেই তুমি সব কিছু ভুলে নতুন করে সব কিছু গুছিয়ে নেও। কি করবো মনকে বুঝাতে পারলাম না তার পর আমি কোর্টে যাই দুজন উকিলের সাথে বিষয়টি আলোচনা করি তারা বললেন উকিল নোটিশ পাঠানো যায় তাদের কথা অনুযায়ী উকিল নোটিশ করি কোন লাভ হয়নি।
বাংলাদেশের আইনে আমি আমার জন্য কোন বিচার খুজে পেলামনা, প্রতিটা পুরুষের কাছে নারী অনেক সম্মানের, একজন নারী একজন পুরুষের মা, একজন বোন, একজন স্ত্রী,  একজন মেয়ে। অতএব নারী সব পুরুষের কাছে সম্মানের তবু একটু ভাবুন তো পুরুষ ছারা নারীর কি অস্তিত্য আছে ? তাই আমার জোর ফরিয়াদ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে, আমার জীবনের বিনীময় আমাদের মত নির্যাতিত, অত্যাচারিত, অধিকার বঞ্চিত পুরুষদের জন্য নতুন কোন আইন তৈরি হোক যাতে করে আমার মত কোন পুরুষকে জীবন ত্যাগ করার পথ বেছে নিতে না হয়, সমাজে নারী পুরুষ সবাই যোগ্য অধিকার পাক এটা আমি চাই।
আমার স্ত্রী আমাকে পর-পর তিনবার ডিভোর্স দিলো, আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারিনা, আমার কোন কলঙ্ক ছিলোনা আমি তার জন্য সব কিছু মেনে নিয়েছি, সে আমার সকল বিষয় জেনে শুনে মেনে নিয়ে আমাকে স্বামী হিসেবে গ্রহন করে কোন রকম অভিযোগ ছাড়া আমাকে ছুরে ফেলে দিলো কেন? তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে কোন আইন ব্যবস্থা নেই! সে বার বার অন্যায় করে আমার কাছে আসে আমি তাকে ক্ষমা করে আপন করে গ্রহন করি আমি ও তো একটা মানুষ, আমার মান সম্মান সুখ শান্তি তার জন্য সব কিছু বির্সজন দিয়েছি, আমি তাকে আমার জীবনের থেকে বেশি ভালোবাসি, আমি বাসার ভিতর গেলে আমার কলিজাটা ছিরে যায় ওর ব্যবহার কৃত সকল জিনিস পত্র গুলো আমাকে ভিষন যন্ত্রনা দেয়, আমরা প্রথম যে রাত এক সাথে থাকি আমরা দু রাকায়াত নামাজ পরে পবিত্র কুরআন শরীফ হাতে নিয়ে শপথ করেছি আমরা কেউ কাউকে ছেড়ে যাবোনা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত, সে একজন মুসলিম হয়ে বিশ্ব সংবিধান লংঘন করেছে।
সে জানে আমি তাকে ছাড়া বাচঁবো না তবুও সে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে, আমি তাকে কখনো তুমি থেকে তুই বলিনি গায়ে একটা নখের আচঁর ও দেইনি সব রকম অধিকার র্মযাদা দিয়ে আপন করে নিয়েছি, আজ আমি জানিনা আমার কি অপরাধ? আমি আমার শশুরের পাঁ জরিয়ে ধরেছি কচুয়া বাজার রুহুল কফি হাউজের সামনে বসে আমার শাশুড়ির কাছে ভীখারির মত কাকুতি-মিনতি করেছি, সব রকম প্রস্তাব করেছি সারাজীবন আমি তাদের গোলাম হয়ে থাকবো সব কথা বলেছি আমার কোন কথাই তারা শোনেনি, তাই দেশের মানুষের কাছে আমার মনের কথাগুলো জানিয়ে গেলাম।
আমি আমার জায়গা থেকে তাকে ফিরে পেতে সব রকম চেষ্টা করেছি আমার শশুর শাশুড়ি সহ তার নিকট সকল আত্মিয়োর সাথে যোগাযোগ করেছি কেউ আমাকে সাহায্য করেনি, আমি আমার স্ত্রীকে প্রায়ই বলতাম আমার জীবনের থেকে তাকে বেশি ভালোবাসি এবং কুরআন শরীফ নিয়ে যে ওয়াদা আমি করেছি মৃত্যুর আগ মুহুর্ত আমি তাকে ভুলবোনা আমি আমার কথা রেখে ওপারে রওনা করলাম, আমার স্ত্রী আমার সাথে প্রতারনা করেছে, আমাকে ঠকিয়েছে, আমি ওকে ছাড়া বাচঁতে পারবোনা, আমার শশুর শাশুড়ি অমানবিক আচারন করেছে, তাই আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলাম। আমার বাবা মা আমাকে ক্ষমা করে দিও পারলাম না তোমাদের কথা রাখতে, বড্ড ভালোবাসি তোমাদের সবাইকে, ভালো থাকবেন সবাই। আল্লাহ হাফেজ।
এমন আবেগ ঘন পোস্ট করে আত্মাহত্যা করতে চেষ্টা করলেও অবশেষে বেঁচে আছেন বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে যাওয়া ব্যবসায়ী। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঘটনার দিন বিভিন্ন মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে ২য় স্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে বিষপান করেন ঐ ব্যবসায়ী। ঘটনাটি তখনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্থানীয়দের নজরে আসে দ্রুত স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনা স্থল থেকে অসুস্থ অবস্থায় এম্বুলেন্স করে কচুয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঐদিন রাত ৩ টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এখন পর্যন্ত সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
আমাদের প্রতিনিধি সরাসরি গিয়ে অসুস্থ যুবকের সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রচন্ড মানষিক চাপে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিলাম। তিনি আরো বলেন আমার সাথে যা হয়েছে তা আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন। আমি এখনো বেঁচে আছি যেটা হওয়ার কথা ছিল না। আমার সাথে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জামরুল ফল

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফরিয়াদ জানিয়ে এক ব্যবসায়ীর আত্মাহত্যার চেষ্টা 

আপডেট সময় ০৭:০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২
উজ্জ্বল কুমার দাস (কচুয়া, বাগেরহাট) প্রতিনিধি।।
মোটাদাগে তিনি উল্লেখ্য করেনঃ তাই আমার জোর ফরিয়াদ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে, আমার জীবনের বিনীময় আমাদের মত নির্যাতিত, অত্যাচারিত, অধিকার বঞ্চিত পুরুষদের জন্য নতুন কোন আইন তৈরি হোক যাতে করে আমার মত কোন পুরুষকে জীবন ত্যাগ করার পথ বেছে নিতে না হয়, সমাজে নারী পুরুষ সবাই যোগ্য অধিকার পাক এটা আমি চাই।
বাগেরহাট জেলার কচুয়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ মশিউর রহমান ২৯ এপ্রিল রাত ১ টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবি করে লিখিত একটি পোস্ট ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
আত্মহত্যার চেষ্টাকালে তার লেখা পোস্টটি আমাদের হাতে আসে তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
জীবনের শেষ চিঠি, মানবতার দেশ-আমার সোনার বাংলাদেশের মানুষের কাছে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। আজ আপনাদের কাছে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া ছোট্ট একটা ইতিহাস বলবো, লেখাগুলো একটু বেশি কষ্ট হলেও পরার অনুরোধ থাকলো, আমি মোঃ মশিউর রহমান, পিতাঃ মোঃ মজনু শেখ, মাতাঃ তহমিনা বেগম, গ্রামঃ সহবৎকাঠী, পোস্টঃ মঘিয়া, উপজেলাঃ কচুয়া, জেলাঃ বাগেরহাট। পেশা ব্যবসা, আমার দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাঃ সুমী আক্তার, পিতাঃ এস্কেন্দার শেখ, মাতাঃ মিনারা বেগম, গ্রামঃ খলিশাখালী, পোস্টঃ মঘিয়া, উপজেলাঃ কচুয়া, জেলা বাগেরহাট। আমরা পাশা পাশি গ্রামের মানুষ একে অপরকে সেই ছোট্ট বেলা থেকে চিনি, আজ থেকে অনুমান পাচঁ বৎসর আগে কোন একটা সুত্রে আমাদের ভিতর ভালোবাসার সর্ম্পক তৈরী হয়, আমরা একে অপরকে ভিষন ভালোবাসতাম তখন মনে হইতো কেউ কাউকে ছাড়া বেচেঁ থাকতে পারবোনা, তাই নিজেদের ভিতরে সিদ্ধান্ত হয় আমরা আমাদের সর্ম্পকের কথা আমাদের পরিবারের কাছে জানাবো, কথা অনুযায়ী তা জানানো হয়, আসলে বাস্তবতা বরো কঠিন আমার পরিবার অনেক কষ্টে মেনে নিলেও ওর পরিবার আজও মেনে নিতে পারেনি, সেই প্রথম থেকেই পিছুটান শুরু হয়, হাজারো বাধা থাকলেও কেউ কাউকে ভুলে থাকতে পারিনি, উভয় পরিবারকে জানানোর দীর্ঘ এক বৎসর পর আমরা প্রথমবার কোর্টে এভিডেভিট করি তার ১৫ দিন পর আমরা কাজী অফিসে বিবাহ করি তার এক মাস পর ওর বাড়িতে বিষয়টি জানতে পারে, জানার সঙ্গে সঙ্গে ঐ দিনেই ওকে দিয়ে ডির্ভোস করায়, ওর পরিবার আমাদের কোন কথা শোনেনা, ডিভোর্সের পর ওকে বাড়ির বাহিরে কোন এক আত্মীয়ের বাড়িতে আটকে রাখে প্রায় চার মাস, তার পর হটাৎ একদিন বাড়িতে আসে তার প্রায় ৬ মাস পরে আবারো ও নিজে থেকে আমার সাথে যোগা-যোগ করে, বিভিন্ন মান অভিমানের ভিতর থেকে আবারো সর্ম্পকের জোড়া লাগে, আমরা আবারো সিদ্ধান্ত নেই বিবাহ করার, কিছুদিন পর দ্বিতীয় বারের মত কাউকে না জানিয়ে বিবাহ করি, বিবাহের পর বিষয়টি ও নিজেই পরিবারের কাছে জানায় ওর পরিবার খুব্ধ হয়ে আগের মত আবারো ঐ দিনেই ডিভোর্স করানোর সিদ্ধান্ত নেয় সেদিন শুক্রবার ও কোন ভাবে আমাকে জানিয়ে দেয় ও কিছু করতে পারছেনা, যা করার আমাকে করতে হবে, জুম্মার নামাজ শেষ করে আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরি ওদের বাড়ির উদ্দেশ্য করে, ওদের বাড়ির কিছু দুরে দেখতে পাই ওকে নিয়ে আমার শাশুড়ি মা সহ সাথে আরো দুই খালাতো ভাই নিয়ে যায় ডিভোর্স দিতে, আমি কচুয়া বাজার জিরো পয়েন্টে পৌছেঁ আমার স্ত্রীকে আমার সাথে চলে আসতে বলি তখন আমার শাশুড়ি মা সহ ভাইয়েরা আমার সাথে বেপরোয়া হাতা হাতি করে ওকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং ঐ দিনেই ডিভোর্স দিয়ে দেয়।
ডিভোর্সের ২ থেকে ৩ দিন পর বাড়িতে নিয়ে আসে তার ৩ দিন পর ও কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি ছেড়ে আমার কাছে চলে আসে, আমি ওকে সম্মানের সহিত গ্রহন করি, আমরা বেস সুখে শান্তিতে সংসার শুরু করি, ও আমার কাছে আসার অনুমান ৩ মাস পর আমি ওকে একদিন রাতে ওদের বাড়িতে নিয়ে যাই তার পর ওদের পরিবারের সাথে আত্মিয়োর সাথে যোগা-যোগ করার সুযোগ করে দেই এবং ওর ছোট্ট বোন আমার বাসায় প্রায় আশা যাওয়া করে আমি বিষয়টি ভালো মনে করেছি এবং ভেবেছি এই সুযোগে হয়তো পারিবারিক সর্ম্পকটা ভালো হবে আমাদের কে মেনে নিবে, র্দুভাগ্য আমার, আমার শাশুড়ি-মা আমার স্ত্রীকে আমার বিপক্ষে বুঝিয়ে অথবা কালো যাদু করে আমার স্ত্রীকে আমার বাসা থেকে আবারো নিয়ে যায়, আমার সুখের সংসার ভেঙ্গে দেয়, গত ২১-৩-২০২২ তারিখে আমার স্ত্রী আমাকে কিছু না বলে বাসা থেকে চলে গেলে আমি তাকে তার যত আত্মীয় স্বজন তাদের কাছে খুজঁতে থাকি কোথাও খুজেঁ পাওয়া না গেলে আমার মা বাবা সহ তাদের বাড়িতে যাই বিষয়টি তাদের জানালে তারা কিছুই জানেনা এবং আমাকে দোষারোপ করে পাঠিয়ে দেন, পরের দিন সকালে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি এবং একই দিনে আমার শশুর ও একটি লিখিত অভিযোগ করে, তার পর থেকে পুলিশ আমাদের উভয় পক্ষের কাছে বিষয়টি ভালোভাবে জানার চেষ্টা করে এবং খুঁজে পাওয়ার বিভিন্ন পরামর্শ দেন তার তিনদিন পর আমার শশুর নিজে গিয়ে থানায় ওসি সাহেব কে জানান তার মেয়েকে পাওয়া গেছে এবং তার মেয়ে আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে, আমার পক্ষে বরো ভাই মোল্লা সুমন ওসি সাহেবের সাথে কথা বল্লে ওসি সাহেব বলেন যেখানে মেয়ে ডিভোর্স দিয়েছে সেখানে আমাদের সমাধান করার মত আইনি কোন বিষয় থাকেনা।
তার পর আমি আমার ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে যাই বিষয়টি তাকে খুলে বললে তিনি বলেন দেশের ৯৯% আইন নারীর পক্ষে আইনের মাধ্যমে কোন কিছু করার সুযোগ নেই তুমি সব কিছু ভুলে নতুন করে সব কিছু গুছিয়ে নেও। কি করবো মনকে বুঝাতে পারলাম না তার পর আমি কোর্টে যাই দুজন উকিলের সাথে বিষয়টি আলোচনা করি তারা বললেন উকিল নোটিশ পাঠানো যায় তাদের কথা অনুযায়ী উকিল নোটিশ করি কোন লাভ হয়নি।
বাংলাদেশের আইনে আমি আমার জন্য কোন বিচার খুজে পেলামনা, প্রতিটা পুরুষের কাছে নারী অনেক সম্মানের, একজন নারী একজন পুরুষের মা, একজন বোন, একজন স্ত্রী,  একজন মেয়ে। অতএব নারী সব পুরুষের কাছে সম্মানের তবু একটু ভাবুন তো পুরুষ ছারা নারীর কি অস্তিত্য আছে ? তাই আমার জোর ফরিয়াদ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে, আমার জীবনের বিনীময় আমাদের মত নির্যাতিত, অত্যাচারিত, অধিকার বঞ্চিত পুরুষদের জন্য নতুন কোন আইন তৈরি হোক যাতে করে আমার মত কোন পুরুষকে জীবন ত্যাগ করার পথ বেছে নিতে না হয়, সমাজে নারী পুরুষ সবাই যোগ্য অধিকার পাক এটা আমি চাই।
আমার স্ত্রী আমাকে পর-পর তিনবার ডিভোর্স দিলো, আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারিনা, আমার কোন কলঙ্ক ছিলোনা আমি তার জন্য সব কিছু মেনে নিয়েছি, সে আমার সকল বিষয় জেনে শুনে মেনে নিয়ে আমাকে স্বামী হিসেবে গ্রহন করে কোন রকম অভিযোগ ছাড়া আমাকে ছুরে ফেলে দিলো কেন? তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে কোন আইন ব্যবস্থা নেই! সে বার বার অন্যায় করে আমার কাছে আসে আমি তাকে ক্ষমা করে আপন করে গ্রহন করি আমি ও তো একটা মানুষ, আমার মান সম্মান সুখ শান্তি তার জন্য সব কিছু বির্সজন দিয়েছি, আমি তাকে আমার জীবনের থেকে বেশি ভালোবাসি, আমি বাসার ভিতর গেলে আমার কলিজাটা ছিরে যায় ওর ব্যবহার কৃত সকল জিনিস পত্র গুলো আমাকে ভিষন যন্ত্রনা দেয়, আমরা প্রথম যে রাত এক সাথে থাকি আমরা দু রাকায়াত নামাজ পরে পবিত্র কুরআন শরীফ হাতে নিয়ে শপথ করেছি আমরা কেউ কাউকে ছেড়ে যাবোনা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত, সে একজন মুসলিম হয়ে বিশ্ব সংবিধান লংঘন করেছে।
সে জানে আমি তাকে ছাড়া বাচঁবো না তবুও সে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে, আমি তাকে কখনো তুমি থেকে তুই বলিনি গায়ে একটা নখের আচঁর ও দেইনি সব রকম অধিকার র্মযাদা দিয়ে আপন করে নিয়েছি, আজ আমি জানিনা আমার কি অপরাধ? আমি আমার শশুরের পাঁ জরিয়ে ধরেছি কচুয়া বাজার রুহুল কফি হাউজের সামনে বসে আমার শাশুড়ির কাছে ভীখারির মত কাকুতি-মিনতি করেছি, সব রকম প্রস্তাব করেছি সারাজীবন আমি তাদের গোলাম হয়ে থাকবো সব কথা বলেছি আমার কোন কথাই তারা শোনেনি, তাই দেশের মানুষের কাছে আমার মনের কথাগুলো জানিয়ে গেলাম।
আমি আমার জায়গা থেকে তাকে ফিরে পেতে সব রকম চেষ্টা করেছি আমার শশুর শাশুড়ি সহ তার নিকট সকল আত্মিয়োর সাথে যোগাযোগ করেছি কেউ আমাকে সাহায্য করেনি, আমি আমার স্ত্রীকে প্রায়ই বলতাম আমার জীবনের থেকে তাকে বেশি ভালোবাসি এবং কুরআন শরীফ নিয়ে যে ওয়াদা আমি করেছি মৃত্যুর আগ মুহুর্ত আমি তাকে ভুলবোনা আমি আমার কথা রেখে ওপারে রওনা করলাম, আমার স্ত্রী আমার সাথে প্রতারনা করেছে, আমাকে ঠকিয়েছে, আমি ওকে ছাড়া বাচঁতে পারবোনা, আমার শশুর শাশুড়ি অমানবিক আচারন করেছে, তাই আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলাম। আমার বাবা মা আমাকে ক্ষমা করে দিও পারলাম না তোমাদের কথা রাখতে, বড্ড ভালোবাসি তোমাদের সবাইকে, ভালো থাকবেন সবাই। আল্লাহ হাফেজ।
এমন আবেগ ঘন পোস্ট করে আত্মাহত্যা করতে চেষ্টা করলেও অবশেষে বেঁচে আছেন বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে যাওয়া ব্যবসায়ী। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঘটনার দিন বিভিন্ন মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে ২য় স্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে বিষপান করেন ঐ ব্যবসায়ী। ঘটনাটি তখনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্থানীয়দের নজরে আসে দ্রুত স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনা স্থল থেকে অসুস্থ অবস্থায় এম্বুলেন্স করে কচুয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঐদিন রাত ৩ টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এখন পর্যন্ত সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
আমাদের প্রতিনিধি সরাসরি গিয়ে অসুস্থ যুবকের সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রচন্ড মানষিক চাপে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিলাম। তিনি আরো বলেন আমার সাথে যা হয়েছে তা আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন। আমি এখনো বেঁচে আছি যেটা হওয়ার কথা ছিল না। আমার সাথে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনার সঠিক বিচার চাই।