![](https://banglaralonews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়া, মুন্সিপাড়া, খাগড়াবন্দের মৌলভীর ডাঙ্গা, কোটওয়াল পাড়া, খয়ের পুকুর হাট এর উপর দিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীর তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, নিহত ১। মুন্সিপাড়ায় উম্মে কুলসুম (১৩) নামক মাদ্রাসা ছাত্রী ঘর চাপা পড়ে নিহত হয়েছে। সে শওকত আলীর মেয়ে এবং গুড়গুড়ী বাহারুল-উম মাদ্রাসার ছাত্রী। এসময় নারী-পুরুষ সহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। গত বুধবার সকালে ক্ষতি গ্রস্থ এলাকা গুলো পরিদর্শন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এ্যাডঃ মোস্তাফিজার রহমান ফিজার (এমপি)।
এদিকে ঝড়ের পরেই রাত ১ টায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। হরিরামপুর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ছুটে আসেন পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইসমাঈল হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ হাফিজুল ইসলাম প্রমাণিক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রনেতা আমিরুল মোমেনীন মোমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ আমজাদ হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রিতম সাহা, পার্বতীপুর মডেল থানা ওসি ঈমাম জাফর এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন ১০নং হরিরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহিদুল ইসলাম সোহাগ ও অন্যান্য ইউপি সদস্য গণ।
পরে নিহত ছাত্রীর বাবার হাতে ২৫ হাজার টাকা তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইসমাঈল। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে খাগড়াবন্দ গ্রামের কোটওয়াল পাড়া, লালকুড়া, মৌলভীর ডাঙ্গা, শাহপাড়া, নয়াপাড়া এলাকার পাচঁ শতাধিক কাচা ও আধা পাকা বাড়ি বিধস্ত হয়েছে। অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে রাত্রী যাপন করছে। অনেক গবাদি পশু নিহত ও আহত হয়েছে। ৫০ জনের মত আহত ব্যাক্তিকে রংপুর ও ফুলবাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মৌলভীর ডাঙ্গার ছকবাদ আলী, আকবার আলী, ফরমান আলী, কারজেবান, ইয়াছিন আলীর বাড়ি ঘর সম্পূর্ণ রুপে বিধস্ত হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে তারা অবস্খান করছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় তান্ডবে মৌলভীর ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের গাছ সমূহ উপড়ে পড়েছে এবং ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঐ মহল্লার বাসিন্দা ও প্রধান শিক্ষক খন্দকার হাবিবুর রহমান জানান, আমার জীবনে এত বড় ভয়াবহ কালবৈশাখীর তান্ডব আর কখনো দেখিনি। তিনি দাবি করেন ঘর্ণিঝড়ের কারণে তার তিন লক্ষ টাকার লিচু নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে লিচু বাগান উপড়ে পড়েছে এবং পার্শ্ববর্তি আমবাগানের শত শত গাছ উপড়ে পড়ায় আবু তাহের সহ অনেকের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। অপরদিকে মধ্যপাড়া পাথরখনির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌছে নি বলে এলাকাবাসী জানান।