বাংলাদেশ ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
শ্রীমঙ্গলে আড়াই বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যা কালকিনিতে স্ত্রীর জন্য শিক্ষকদের কাছে ভোট চাওয়ার অভিযোগ সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন- ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা নব-নির্বাচিত ময়না চেয়ারম্যানকে গণসংবর্ধনা রাবি শিক্ষার্থী জিসানের শতাধিক নিরীক্ষাধর্মী ছবি নিয়ে একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী রাবি সায়েন্স ক্লাবের ” Win the Career Race” কর্মশালার আয়োজন অনিয়মের অভিযোগে ইটভাটায় অর্থদন্ড করে ভ্রাম্যমাণ আদালত রাবিতে শুরু হল দুই দিনব্যাপী আরিইউসিসি জব ফেয়ার কেন্দ্রীয় ম‌হিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠ‌নিক সৈয়দা রা‌জিয়া মোস্তফা’র পৈত্রিক বসতঘরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড যতদিন বাচবো মুলাদীর মানুষের সাথে থাকবো-মিঠু খান মির্জাগঞ্জের উপজেলা নির্বাচনে, প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা কয়রায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত আট বছরের ঘুমন্ত শিশুকে কোলে করে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা নাগরপুরে নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেতাদের সাথে মতবিনিময় করলেন – পান্না সিলেট আসার পথে দুর্ঘটনায় ব্যান্ড শিল্পী আহসান তানভীর পিয়াল নিহত।

২১ রমজান : আমীরুল মুমিনীন আলী রা.-এর শাহাদাত দিবস

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২
  • ১৭৩৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মুকিম রাজু, পঞ্চগড় প্রতিনিধি 

হজরত উসমান রা.-এর আকস্মিক শাহাদাতের পর মুসলিম বিশ্বে এক বিরাট সংকট দেখা দেয়। ওই সময় মদিনার সকলেই আলী রা.-কে খেলাফতের দায়িত্ব নিতে বলেন। হজরত আলী রা. প্রথমে অসম্মতি জানিয়ে ছিলেন। কারণ তাকে যারা সমর্থন করে খলিফার দায়িত্ব নিতে বল ছিলেন, এদের অনেকেই উসমান রা.-এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহেও জড়িত ছিলেন। নেতৃত্বশূন্য মুসলিম বিশ্বের ভবিষ্যতের কথা ভেবে, মদিনার সকল সম্মানিত সাহাবির রা. একরকম জোরা জুরিতে খেলাফতের দায়িত্ব নিতে রাজি হন হজরত আলী রা.। এরপরই শুরু হয় আরেক সমস্যা। সিরিয়ার গভর্নর মুয়াবিয়া রা. জানান, উসমান রা.-এর হত্যাকারীদের শাস্তি দেয়া পরই তিনি আলী রা.-এর কাছে আনুগত্য জ্ঞাপন করবেন এবং তাকে খলিফা হিসেবে মেনে নিবেন।

 

 

কিন্তু ওই পরিস্থিতিতে উসমান রা.-এর ঘাতকদের বিচারের আওতায় আনা ছিল কঠিন ব্যপার। কারণ মদিনায় তখন পর্যন্ত আলী রা. বিদ্রোহীদের তুলনায় অধিক ক্ষমতাবান ছিলেন না। এছাড়াও ঠিক কারা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল তা খুঁজে বের করাও ছিল সময় সাপেক্ষ।

 

এমতাবস্থায় আলী রা. মদিনা থেকে ইরাকের কুফায় খিলাফতের কেন্দ্র স্থানান্তরিত করেন, যেখানে তিনি বেশি জনপ্রিয় ছিলেন। এদিকে মুয়াবিয়া রা. আগের কথাতে অটল থেকে সিরিয়ায় নিজের শাসনকাজ পরিচালনা করছিলেন।সিরিয়া ছিল মুসলিম খেলাফতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এই ভূখণ্ড খিলাফতের নিয়ন্ত্রণে না থাকায় আলী (রা.) কে বেশ সমস্যা পোহাতে হচ্ছিল। ফলে মুয়াবিয়া রা. ও আলী রা.-এর মাঝে একটি সমঝোতা জরুরি হয়ে পড়ে। একটি খণ্ড যুদ্ধের পর আলোচনায় বসেন তারা।

ওই আলোচনায় ঠিক কী সিদ্ধান্ত হয়েছিল ইতিহাসের বয়ানে তা স্পষ্ট নয়। তবে বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতে বলা যায় যে সিরিয়া খেলাফতের নিয়ন্ত্রণে আসেনি এবং ওই অঞ্চলে মুয়াবিয়া রা.-এর নিয়ন্ত্রণেই থাকবে তা মেনে নিয়েছিলেন আলী রা.।

 

ইতিহাসের পাতায় তথ্যবিভ্রান্তি থাকলেও এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, মুয়াবিয়া রা.-এর সাথে আলী রা. সর্বোচ্চ নমনীয়তা অবলম্বন করেছিলেন। কিন্তু তার এরূপ সমঝোতা মানতে অস্বীকৃতি জানান কিছু সংখ্যক অনুসারী। তারা ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে আলী রা.-কে খলিফা হিসেবে অযোগ্য বলে প্রচার করতে থাকেন এবং পৃথক আরও একটি দল গঠন করেন, যারা খারেজি নামে পরিচিত। খারেজিদের ধারণা ছিল, তৎকালীন মুসলিম বিশ্বের যে দুরাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল তার সমাধান হতে পারে কেবল আলী রা. ও মুয়াবিয়া রা.-কে হত্যার মাধ্যমে।

 

কয়েক বছর পর কুফার মসজিদে ফজরের সালাত আদায়ের সময় এক খারেজি যুবক ইসলামের চতুর্থ খলিফা হজরত আলী রা.-কে বিষমাখা ছুরি দিয়ে আঘাত করলে শাহাদাত বরণ করেন তিনি।

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গলে আড়াই বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যা

২১ রমজান : আমীরুল মুমিনীন আলী রা.-এর শাহাদাত দিবস

আপডেট সময় ০২:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মুকিম রাজু, পঞ্চগড় প্রতিনিধি 

হজরত উসমান রা.-এর আকস্মিক শাহাদাতের পর মুসলিম বিশ্বে এক বিরাট সংকট দেখা দেয়। ওই সময় মদিনার সকলেই আলী রা.-কে খেলাফতের দায়িত্ব নিতে বলেন। হজরত আলী রা. প্রথমে অসম্মতি জানিয়ে ছিলেন। কারণ তাকে যারা সমর্থন করে খলিফার দায়িত্ব নিতে বল ছিলেন, এদের অনেকেই উসমান রা.-এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহেও জড়িত ছিলেন। নেতৃত্বশূন্য মুসলিম বিশ্বের ভবিষ্যতের কথা ভেবে, মদিনার সকল সম্মানিত সাহাবির রা. একরকম জোরা জুরিতে খেলাফতের দায়িত্ব নিতে রাজি হন হজরত আলী রা.। এরপরই শুরু হয় আরেক সমস্যা। সিরিয়ার গভর্নর মুয়াবিয়া রা. জানান, উসমান রা.-এর হত্যাকারীদের শাস্তি দেয়া পরই তিনি আলী রা.-এর কাছে আনুগত্য জ্ঞাপন করবেন এবং তাকে খলিফা হিসেবে মেনে নিবেন।

 

 

কিন্তু ওই পরিস্থিতিতে উসমান রা.-এর ঘাতকদের বিচারের আওতায় আনা ছিল কঠিন ব্যপার। কারণ মদিনায় তখন পর্যন্ত আলী রা. বিদ্রোহীদের তুলনায় অধিক ক্ষমতাবান ছিলেন না। এছাড়াও ঠিক কারা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল তা খুঁজে বের করাও ছিল সময় সাপেক্ষ।

 

এমতাবস্থায় আলী রা. মদিনা থেকে ইরাকের কুফায় খিলাফতের কেন্দ্র স্থানান্তরিত করেন, যেখানে তিনি বেশি জনপ্রিয় ছিলেন। এদিকে মুয়াবিয়া রা. আগের কথাতে অটল থেকে সিরিয়ায় নিজের শাসনকাজ পরিচালনা করছিলেন।সিরিয়া ছিল মুসলিম খেলাফতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এই ভূখণ্ড খিলাফতের নিয়ন্ত্রণে না থাকায় আলী (রা.) কে বেশ সমস্যা পোহাতে হচ্ছিল। ফলে মুয়াবিয়া রা. ও আলী রা.-এর মাঝে একটি সমঝোতা জরুরি হয়ে পড়ে। একটি খণ্ড যুদ্ধের পর আলোচনায় বসেন তারা।

ওই আলোচনায় ঠিক কী সিদ্ধান্ত হয়েছিল ইতিহাসের বয়ানে তা স্পষ্ট নয়। তবে বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতে বলা যায় যে সিরিয়া খেলাফতের নিয়ন্ত্রণে আসেনি এবং ওই অঞ্চলে মুয়াবিয়া রা.-এর নিয়ন্ত্রণেই থাকবে তা মেনে নিয়েছিলেন আলী রা.।

 

ইতিহাসের পাতায় তথ্যবিভ্রান্তি থাকলেও এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, মুয়াবিয়া রা.-এর সাথে আলী রা. সর্বোচ্চ নমনীয়তা অবলম্বন করেছিলেন। কিন্তু তার এরূপ সমঝোতা মানতে অস্বীকৃতি জানান কিছু সংখ্যক অনুসারী। তারা ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে আলী রা.-কে খলিফা হিসেবে অযোগ্য বলে প্রচার করতে থাকেন এবং পৃথক আরও একটি দল গঠন করেন, যারা খারেজি নামে পরিচিত। খারেজিদের ধারণা ছিল, তৎকালীন মুসলিম বিশ্বের যে দুরাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল তার সমাধান হতে পারে কেবল আলী রা. ও মুয়াবিয়া রা.-কে হত্যার মাধ্যমে।

 

কয়েক বছর পর কুফার মসজিদে ফজরের সালাত আদায়ের সময় এক খারেজি যুবক ইসলামের চতুর্থ খলিফা হজরত আলী রা.-কে বিষমাখা ছুরি দিয়ে আঘাত করলে শাহাদাত বরণ করেন তিনি।