মোঃ নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় বিয়ের দাবিতে আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের বানগাঁও এলাকায় বদিরুজ্জামানের ছেলে বিজিবি প্রেমিক আঃ রহমানের বাড়িতে অনশন করতে গিয়ে প্রেমিকের বাড়ির লোকজনের বেধরক মারধরে লাঞ্চিত হয়েছে প্রেমিকা। পরে তার এক দূর সম্পর্কের চাচা প্রেমিকাকে একই ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের হলদিপাড়ায় আলাউদ্দিনের মেয়ে আশা আক্তার (১৮) কে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার পর প্রেমিকা গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) দুপুরে গোবিন্দপুরের হলদিপাড়ার নিজ বাসায় প্রেমিকা ফাঁকা বাড়ি পেয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্নহত্যা করে। বাড়ির লোকজন টের পেলে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক উন্নতি চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আঃ রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
পরিবার ও বন্ধুবান্ধব সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সাল থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। বর্তমানে প্রেমিক হোসেনপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে বিজিবিতে যোগদান করে। আর প্রেমিকা খানসামা মহিলা বিষয়ক কলেজে এইচএসসি ১ম বর্ষে পড়াশোনা করছে। প্রেমের এই ৪ বছরে প্রেমিক তাকে বিয়ের প্রলোভনে তারা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। কিন্তু সম্প্রতি প্রেমিকের বিজিবিতে চাকুরি হওয়ার পর গোপনে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেও প্রেমিকার সাথে মিথ্যাচারভাবে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যায়। তবে গত ৭/৮ দিন ধরে প্রেমিক যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশনে বসেন। প্রেমিকের পরিবারের মারধর ও লাঞ্চনার স্বীকার হয়ে এক দূর সম্পর্কের চাচা প্রেমিকা আশাকে তার নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেয়। বাড়ির লোকজনও তাকে বকাবকি করলে শুক্রবার নামাজের সময় ফাঁকা বাড়ি পেয়ে শয়নকক্ষে গলায় ওড়না পেচিয়ে প্রেমিকা আত্নহত্যা করে।
এ বিষয়ে খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, এখনো কোন এ ধরনের অভিযোগ পাই নি। তবে লিখিতনঅভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।