বাংলাদেশ ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ৬ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

লালপুরের ময়না যুদ্ধ দিবস আজ। 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:২২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
  • ১৭১৮ বার পড়া হয়েছে

লালপুরের ময়না যুদ্ধ দিবস আজ। 

মোঃ তুষার ইমরান, বিশেষ প্রতিনিধি। 
নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ঐতিহাসিক ময়না যুদ্ধ দিবস আজ ৩০ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়ে প্রায় ৩৫ জন বাঙালি শহীদ হন। পাক বাহিনীর ২৫ রেজিমেন্ট ধ্বংস করে মুক্তি পাগল জনতা, ইপিআর ও আনসার বাহিনী।
পাক বাহিনীর ২৫ রেজিমেন্টের প্রধান মেজর জেনারেল আসলাম হোসেন খান ওরফে রাজা খান জনতার হাতে ধরা পড়েন। পরদিন ৩১ মার্চ লালপুর শ্রীসুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ পাক হানাদার বাহিনী তিনটি জিপ ও ছয়টি ট্রাক নিয়ে পাবনার নগরবাড়ি থেকে নাটোর হয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে পাবনার দাশুড়িয়া ও রাজাপুরে মুক্তি পাগল জনতার বাধার মুখে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পাক বাহিনীর একটি দল কাচা রাস্তা দিয়ে লালপুর উপজেলার ওয়ালীয়া এলাকার ময়না গ্রামে ঢুকে বেপরোয়া গুলি চালিয়ে প্রায় ৩৫ বাঙালিকে হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্ধুদ্ধ বাঙালিরা আরও সংগঠিত হয়ে চারদিক থেকে ধাওয়া করে পাক সেনাদের। তীর ফালা সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাঁওতালরাও অংশ নেয় যুদ্ধে। মুক্তি পাগল জনতার ধাওয়া খেয়ে জেনারেল টিক্কা খানের ভাগনে মেজর রাজা আসলামসহ তিনজন পাক সেনা আশ্রয় নেন প্রত্যন্ত ময়না গ্রামের নওয়াব আলী মোল্লা ও সৈয়দ আলী মোল্লার বাড়িতে। স্থাানীয় জনতা, ইপিআর ও আনসার বাহিনীর সঙ্গে পাক বাহিনীর লড়াইয়ের পর ধরা পড়েন রাজা আসলামসহ তিন পাক সেনা। বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের হত্যা করে স্থানীয় ভাগারে মরদেহ ফেলে দেন।
ঐতিহাসিক এই দিনটিকে স্মরণে  রাখতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে ময়না গ্রামে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। এলাকার মানুষ তাদের শহীদ স্বজনদের স্মৃতি স্মরণ করতে ছুটে আসে এখানে।
৩০ মার্চ শহীদরা হলেন- ময়না গ্রামের সৈয়দ আলী মোল্লা, শিক মসলেম মোল্লা, আবুল কাশেম, আয়েজ উদ্দিন, খন্দকার নুর নবী মন্টু, নান্দো গ্রামের কিয়ামত আলী শেখ, ওয়ালিয়ার বক্স সরদার, করম আলী, পানঘাটা গ্রামের আবেদন আলী, ডা. নাদের হোসেন, খোরশেদ সরদার, ধুপইল গ্রামের আবুল কালাম আজাদ, টিটিয়ার আস কুদ্দুস, কালু মিয়া, বামন গ্রামের সেকেন্দার আলী, বিজয়পুর গ্রামের আছেন উদ্দিন, ভবানীপুরের জয়নাল আবেদীন, চেরু প্রামানিক, চাঁদপুরের আয়ুব আলী, দুয়ারিয়ার ভবেশ চন্দ্র বিশ্বাস এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নাম না জানা আরও অন্তত ১৫ জন।
স্বাধীনতার পর শহীদদের স্মরণে এখানে স্থানীয়ভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। তবে ৫০ বছরেও ময়না যুদ্ধে শহীদদের সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

লালপুরের ময়না যুদ্ধ দিবস আজ। 

আপডেট সময় ০৮:২২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
মোঃ তুষার ইমরান, বিশেষ প্রতিনিধি। 
নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ঐতিহাসিক ময়না যুদ্ধ দিবস আজ ৩০ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়ে প্রায় ৩৫ জন বাঙালি শহীদ হন। পাক বাহিনীর ২৫ রেজিমেন্ট ধ্বংস করে মুক্তি পাগল জনতা, ইপিআর ও আনসার বাহিনী।
পাক বাহিনীর ২৫ রেজিমেন্টের প্রধান মেজর জেনারেল আসলাম হোসেন খান ওরফে রাজা খান জনতার হাতে ধরা পড়েন। পরদিন ৩১ মার্চ লালপুর শ্রীসুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ পাক হানাদার বাহিনী তিনটি জিপ ও ছয়টি ট্রাক নিয়ে পাবনার নগরবাড়ি থেকে নাটোর হয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে পাবনার দাশুড়িয়া ও রাজাপুরে মুক্তি পাগল জনতার বাধার মুখে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পাক বাহিনীর একটি দল কাচা রাস্তা দিয়ে লালপুর উপজেলার ওয়ালীয়া এলাকার ময়না গ্রামে ঢুকে বেপরোয়া গুলি চালিয়ে প্রায় ৩৫ বাঙালিকে হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্ধুদ্ধ বাঙালিরা আরও সংগঠিত হয়ে চারদিক থেকে ধাওয়া করে পাক সেনাদের। তীর ফালা সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাঁওতালরাও অংশ নেয় যুদ্ধে। মুক্তি পাগল জনতার ধাওয়া খেয়ে জেনারেল টিক্কা খানের ভাগনে মেজর রাজা আসলামসহ তিনজন পাক সেনা আশ্রয় নেন প্রত্যন্ত ময়না গ্রামের নওয়াব আলী মোল্লা ও সৈয়দ আলী মোল্লার বাড়িতে। স্থাানীয় জনতা, ইপিআর ও আনসার বাহিনীর সঙ্গে পাক বাহিনীর লড়াইয়ের পর ধরা পড়েন রাজা আসলামসহ তিন পাক সেনা। বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের হত্যা করে স্থানীয় ভাগারে মরদেহ ফেলে দেন।
ঐতিহাসিক এই দিনটিকে স্মরণে  রাখতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে ময়না গ্রামে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। এলাকার মানুষ তাদের শহীদ স্বজনদের স্মৃতি স্মরণ করতে ছুটে আসে এখানে।
৩০ মার্চ শহীদরা হলেন- ময়না গ্রামের সৈয়দ আলী মোল্লা, শিক মসলেম মোল্লা, আবুল কাশেম, আয়েজ উদ্দিন, খন্দকার নুর নবী মন্টু, নান্দো গ্রামের কিয়ামত আলী শেখ, ওয়ালিয়ার বক্স সরদার, করম আলী, পানঘাটা গ্রামের আবেদন আলী, ডা. নাদের হোসেন, খোরশেদ সরদার, ধুপইল গ্রামের আবুল কালাম আজাদ, টিটিয়ার আস কুদ্দুস, কালু মিয়া, বামন গ্রামের সেকেন্দার আলী, বিজয়পুর গ্রামের আছেন উদ্দিন, ভবানীপুরের জয়নাল আবেদীন, চেরু প্রামানিক, চাঁদপুরের আয়ুব আলী, দুয়ারিয়ার ভবেশ চন্দ্র বিশ্বাস এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নাম না জানা আরও অন্তত ১৫ জন।
স্বাধীনতার পর শহীদদের স্মরণে এখানে স্থানীয়ভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। তবে ৫০ বছরেও ময়না যুদ্ধে শহীদদের সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি।