বাংলাদেশ ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ঢাকায় বাল্কহেডে নিহতদের স্বরনে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন দক্ষিন শাখা শ্রমিক দলের দোয়া-মিলাদ ট্রাকে করে গাঁজা পরিবহন কালে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ০৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। সাংবাদিক বাহার উদ্দিন সরকারের ৮ ম মৃত্যু বার্ষিকী পালন। কচুয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মুক্ত হত্যার খুনিদের ফাঁসির দাবিতে কচুয়ায় মানববন্ধন সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চাইলেন রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মু্ক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান মল্লিক নাটোর জেলা কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সভা ও বেসিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ফেন্সিডিলসহ আটক-০৪ হোসেনপুরে গণ অধিকার পরিষদের আনন্দ মিছিল। পোড়াদহের চিথলিয়া রেল ব্রীজ থেকে নিচে পড়ে এক শিশু নিখোঁজ, দীর্ঘ (৫-৬)ঘন্টা পর উদ্ধার ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পুজা উদযাপন পরিষদ গঠন শিক্ষার্থীদের বের করে জবির হল দখল করে কক্ষে তালা দিল ছাত্রদল ধান ক্ষেতের সাথে এ কেমন শত্রুতা লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় ০৩টি শর্টগান, ৯৮ রাউন্ড কার্তুজ ও ০১টি পুলিশ বেল্ট উদ্ধার করেছে র‌্যাব। আল্লামা সাঈদীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে : নাজিরপুরে মাসুদ সাঈদী

লালপুরের ময়না যুদ্ধ দিবস আজ। 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:২২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
  • ১৭২৫ বার পড়া হয়েছে

লালপুরের ময়না যুদ্ধ দিবস আজ। 

মোঃ তুষার ইমরান, বিশেষ প্রতিনিধি। 
নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ঐতিহাসিক ময়না যুদ্ধ দিবস আজ ৩০ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়ে প্রায় ৩৫ জন বাঙালি শহীদ হন। পাক বাহিনীর ২৫ রেজিমেন্ট ধ্বংস করে মুক্তি পাগল জনতা, ইপিআর ও আনসার বাহিনী।
পাক বাহিনীর ২৫ রেজিমেন্টের প্রধান মেজর জেনারেল আসলাম হোসেন খান ওরফে রাজা খান জনতার হাতে ধরা পড়েন। পরদিন ৩১ মার্চ লালপুর শ্রীসুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ পাক হানাদার বাহিনী তিনটি জিপ ও ছয়টি ট্রাক নিয়ে পাবনার নগরবাড়ি থেকে নাটোর হয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে পাবনার দাশুড়িয়া ও রাজাপুরে মুক্তি পাগল জনতার বাধার মুখে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পাক বাহিনীর একটি দল কাচা রাস্তা দিয়ে লালপুর উপজেলার ওয়ালীয়া এলাকার ময়না গ্রামে ঢুকে বেপরোয়া গুলি চালিয়ে প্রায় ৩৫ বাঙালিকে হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্ধুদ্ধ বাঙালিরা আরও সংগঠিত হয়ে চারদিক থেকে ধাওয়া করে পাক সেনাদের। তীর ফালা সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাঁওতালরাও অংশ নেয় যুদ্ধে। মুক্তি পাগল জনতার ধাওয়া খেয়ে জেনারেল টিক্কা খানের ভাগনে মেজর রাজা আসলামসহ তিনজন পাক সেনা আশ্রয় নেন প্রত্যন্ত ময়না গ্রামের নওয়াব আলী মোল্লা ও সৈয়দ আলী মোল্লার বাড়িতে। স্থাানীয় জনতা, ইপিআর ও আনসার বাহিনীর সঙ্গে পাক বাহিনীর লড়াইয়ের পর ধরা পড়েন রাজা আসলামসহ তিন পাক সেনা। বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের হত্যা করে স্থানীয় ভাগারে মরদেহ ফেলে দেন।
ঐতিহাসিক এই দিনটিকে স্মরণে  রাখতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে ময়না গ্রামে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। এলাকার মানুষ তাদের শহীদ স্বজনদের স্মৃতি স্মরণ করতে ছুটে আসে এখানে।
৩০ মার্চ শহীদরা হলেন- ময়না গ্রামের সৈয়দ আলী মোল্লা, শিক মসলেম মোল্লা, আবুল কাশেম, আয়েজ উদ্দিন, খন্দকার নুর নবী মন্টু, নান্দো গ্রামের কিয়ামত আলী শেখ, ওয়ালিয়ার বক্স সরদার, করম আলী, পানঘাটা গ্রামের আবেদন আলী, ডা. নাদের হোসেন, খোরশেদ সরদার, ধুপইল গ্রামের আবুল কালাম আজাদ, টিটিয়ার আস কুদ্দুস, কালু মিয়া, বামন গ্রামের সেকেন্দার আলী, বিজয়পুর গ্রামের আছেন উদ্দিন, ভবানীপুরের জয়নাল আবেদীন, চেরু প্রামানিক, চাঁদপুরের আয়ুব আলী, দুয়ারিয়ার ভবেশ চন্দ্র বিশ্বাস এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নাম না জানা আরও অন্তত ১৫ জন।
স্বাধীনতার পর শহীদদের স্মরণে এখানে স্থানীয়ভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। তবে ৫০ বছরেও ময়না যুদ্ধে শহীদদের সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকায় বাল্কহেডে নিহতদের স্বরনে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন দক্ষিন শাখা শ্রমিক দলের দোয়া-মিলাদ

লালপুরের ময়না যুদ্ধ দিবস আজ। 

আপডেট সময় ০৮:২২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
মোঃ তুষার ইমরান, বিশেষ প্রতিনিধি। 
নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ঐতিহাসিক ময়না যুদ্ধ দিবস আজ ৩০ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়ে প্রায় ৩৫ জন বাঙালি শহীদ হন। পাক বাহিনীর ২৫ রেজিমেন্ট ধ্বংস করে মুক্তি পাগল জনতা, ইপিআর ও আনসার বাহিনী।
পাক বাহিনীর ২৫ রেজিমেন্টের প্রধান মেজর জেনারেল আসলাম হোসেন খান ওরফে রাজা খান জনতার হাতে ধরা পড়েন। পরদিন ৩১ মার্চ লালপুর শ্রীসুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ পাক হানাদার বাহিনী তিনটি জিপ ও ছয়টি ট্রাক নিয়ে পাবনার নগরবাড়ি থেকে নাটোর হয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে পাবনার দাশুড়িয়া ও রাজাপুরে মুক্তি পাগল জনতার বাধার মুখে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পাক বাহিনীর একটি দল কাচা রাস্তা দিয়ে লালপুর উপজেলার ওয়ালীয়া এলাকার ময়না গ্রামে ঢুকে বেপরোয়া গুলি চালিয়ে প্রায় ৩৫ বাঙালিকে হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্ধুদ্ধ বাঙালিরা আরও সংগঠিত হয়ে চারদিক থেকে ধাওয়া করে পাক সেনাদের। তীর ফালা সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাঁওতালরাও অংশ নেয় যুদ্ধে। মুক্তি পাগল জনতার ধাওয়া খেয়ে জেনারেল টিক্কা খানের ভাগনে মেজর রাজা আসলামসহ তিনজন পাক সেনা আশ্রয় নেন প্রত্যন্ত ময়না গ্রামের নওয়াব আলী মোল্লা ও সৈয়দ আলী মোল্লার বাড়িতে। স্থাানীয় জনতা, ইপিআর ও আনসার বাহিনীর সঙ্গে পাক বাহিনীর লড়াইয়ের পর ধরা পড়েন রাজা আসলামসহ তিন পাক সেনা। বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের হত্যা করে স্থানীয় ভাগারে মরদেহ ফেলে দেন।
ঐতিহাসিক এই দিনটিকে স্মরণে  রাখতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে ময়না গ্রামে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। এলাকার মানুষ তাদের শহীদ স্বজনদের স্মৃতি স্মরণ করতে ছুটে আসে এখানে।
৩০ মার্চ শহীদরা হলেন- ময়না গ্রামের সৈয়দ আলী মোল্লা, শিক মসলেম মোল্লা, আবুল কাশেম, আয়েজ উদ্দিন, খন্দকার নুর নবী মন্টু, নান্দো গ্রামের কিয়ামত আলী শেখ, ওয়ালিয়ার বক্স সরদার, করম আলী, পানঘাটা গ্রামের আবেদন আলী, ডা. নাদের হোসেন, খোরশেদ সরদার, ধুপইল গ্রামের আবুল কালাম আজাদ, টিটিয়ার আস কুদ্দুস, কালু মিয়া, বামন গ্রামের সেকেন্দার আলী, বিজয়পুর গ্রামের আছেন উদ্দিন, ভবানীপুরের জয়নাল আবেদীন, চেরু প্রামানিক, চাঁদপুরের আয়ুব আলী, দুয়ারিয়ার ভবেশ চন্দ্র বিশ্বাস এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নাম না জানা আরও অন্তত ১৫ জন।
স্বাধীনতার পর শহীদদের স্মরণে এখানে স্থানীয়ভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। তবে ৫০ বছরেও ময়না যুদ্ধে শহীদদের সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি।