![](https://banglaralonews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
দ্বীপজয় সরকার :
সারাদেশের মত ত্রিশালেও আজ শনিবার ২৬ মার্চ ছিল স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। এদিন ত্রিশাল মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে টানানো হয়নি জাতীয় পতাকা। এই কমপ্লেক্সে কমপক্ষে একমাস ধরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়না বলেও অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও ইউএনও মো. আক্তারুজ্জামানের কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের ধারক বাহক এবং সাধারণ মানুষ বলেন, জাতীয় পতাকার গুরুত্ব মানুষের মর্মে-ধর্মে এবং অস্তিত্বে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় পতাকা রাষ্ট্রের পরিচয়, জাতীয়তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতীক বহন করে।
লাল সবুজ পতাকা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের নিদর্শন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা বাধ্যতামূলক।
মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের পক্ষ থেকে পতাকা উত্তোলন না করায় শহীদদের প্রতি অশ্রদ্ধা করা হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই। তারা এটি খুবই দু:খজনক বলে মন্তব্য করেন।
এদিকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ত্রিশালে ইউএনও নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। চিঠি দিয়ে মিল কল কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে নির্ধারিত হারে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইট ভাটা, ক্লিনিক, ডায়গনস্টিক সেন্টার, এনজিও, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা নেয়া হয়। মিল কারখানা থেকেই কমপক্ষে ৮০ লাখ টাকা নেয়া হয়েছে। তন্মদ্যে খুবই সামান্য খরচ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নামে এইসব অর্থ আদায় করা হয়।
এহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস সুবর্ণ জয়ন্তীতে ব্যাপক চাঁদাবাজি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জাতীয় অনুষ্ঠান করার জন্য সরকারি তহবিল থেকে টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে। তারপরও চাঁদাবাজি কেন এমন প্রশ্নও উঠেছে। এ বিষয়ে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ আক্তারুজ্জামানের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি রিসিভ করেননি।