বিশেষ প্রতিনিধি 

নলছিটি উপজেলার নান্দিকাঠী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ রেজাউল চৌধুরী ওরফে বখাটে রেজাউল, ওরফে মাদকসম্রাট রেজাউল ( পিতা- জলিল চৌধুরী) তিনি যুবলীগের সুবিধাবাদী লোভী একজন লোক যার অনিয়ম দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, টিয়ার,কাবিখার কাজ না করেও টাকা উত্তলনের মতো অভিযোগ আছে।

তার চাচা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও এমপির স্নেহভাজন থাকায় তার পরিচয় ভাঙ্গিয়ে সরকারি টেন্ডার, ড্রেজার এর ব্যবসা, বালু বরাট করা,জমি দখল, মাদকের রমরমা ব্যাবসা সহ আরো অনেক লুটপাটের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে নিজেকে জড়িয়ে ঘড়ে তুলেছিলেন অপরাধ সম্রাজ্য, জানা যায় একসময় সে ঢাকায় ছিনতাইকারি চক্রের সাথে ছিলেন যুক্ত, নলছিটি শহরে ও তার নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ অল্পসময়ের মধ্যে!

নান্দিকাঠী ও নলছিটি শহরের স্থানীয় জনগণের কাছে খোজ নিয়ে এসব জানা যায়। গত ৫ আগস্ট দেশ ২য় বারের মতো স্বাধীনতার স্বাদ পায় তখন কিছুদিন গাঢাকা দিয়ে আড়ালে চলে যায়। তারপর কিছু দিন তার তার এই অপকর্ম বন্দ ছিলো, শোনা যাচ্ছে এখন আবার সেই পুরানো মাদক কারবার গোপনে চালিয়ে যাচ্ছে।

২০১৭ সালের মার্চের ৪ তারিখ প্রকাশ্যে আসে এই মানুষ নামের নরপিশাচ রেজাউল চৌধুরীর একটি ভয়ংকর ভিডিও যেটি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছিলো। সেই ভিডিওতে দেখা যায় চিহ্নিত অপরাধী রেজাউল চৌধুরী এক স্কুলছাত্রীকে শাসাচ্ছেন এমন একটি ভয়ার্ত স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রীতিমত ভাইরাল হয়ে ওঠে তখন।

তাছাড়া এই অল্প সময়ের ভেতরে শেয়ারের সংখ্যাও অনেক বেশি হয়ে যায়। বিশেষ করে পোস্টকারী ছবি সাথে ঘটনাটি কয়েক লাইনে তুলে ধরে বলছেন- কলেজে যাওয়ার এক ছাত্রীকে বোরখা খোলার জন্য শ্লীলতাহানি, মেয়েটিকে কান ধরাচ্ছে ও পা ধরাচ্ছে। কিন্ত রেজাউল চৌধুরীর ভয়ে তখন ওই স্কুলছাত্রী শ্লীলতাহানীর পুরো অভিযোগ অস্বীকার করেন।

কিন্তু এই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করলে তখন অভিযুক্ত যুবক মো. রেজাউল চৌধুরী এ সংবাদ প্রকাশ করায় চার সংবাদিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করতে গেলে নিজেই এ্যারেস্ট হন এবং কারাগারে যান।

তখনকার ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক এইচ এম কবির হোসেন বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবক মো. রেজাউল চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন।

ওই ঘটনার বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে আগেই অবগত থাকায় স্বপ্রণোদিত হয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ১৯০ (১) (সি) ধারায় দণ্ডবিধির ২৯৫এ/৩৫৪/৫০৬/৫০৯ ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক এইচ এম কবির হোসেন বাদী হয়ে মামলা (নং ৪১১৭/১৭) দায়ের করে ঘটনায় জড়িত রেজাউলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।

বখাটে রেজাউলের কারাগারে যাবার কথা জানাজানি হলে নলছিটি শহরের সাধারন মানুষ খুশিতে মিস্টি বিতরণ করে ছিলেন। কারন তার ভয়ে সাংবাদিকদেরও ছিলো তখন প্রাননাশের শঙ্কা।

তখনকার অনেক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিলেন এই ভয়ংকর বখাটে মাদককারবারি রেজাউল চৌধুরী। বহুবার জেলে যাবার অভিজ্ঞতা রয়েছে এই সন্ত্রাসী রেজাউল চৌধুরীর।

গত নলছিটি পৌরসভা নির্বাচনে রাতের ভোটে ক্ষমতার জোরে তিনি বনে গেছেন জনপ্রতিনিধি।

নান্দিকাঠী ও শীতলপাড়া সহ পুরো নলছিটি বাসি এই মাদক সম্রাট বখাটে রেজাউলের অতীতের করার সকল অন্যায় অপরাধের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে যাতে তার অপরাধ সম্রাজ্য গড়ে তুলতে না পারে সেই ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন।