বাংলাদেশ ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
চান্দিনায় ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত ফুলবাড়ীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে ৮০টি ফলজ গাছ ও ঘর ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ প্রতিক পেয়েই পথসভা করে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুন খান। মোবাইল ফোনে বিয়ের নাটকিয়তায় পরে সর্বস্ব হারালেন টাঙ্গাইলের প্রবাসী জোয়ার্দার মালেক। নিষেধাজ্ঞা আরোপ নির্বাচনী এলাকায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ ফেরতদের পুনরেকত্রিকরণ শীর্ষক কর্মশালা ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর মাধপপুর ইউনিয়নে ব্যাপক গণসংযোগ ও জনসভা মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নিয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত প্রতীক বরাদ্ধের পরপরই চপলের মোটরসাইকেল শোডাউন।  কাউখালীতে রাত পোহালেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটারা অন্ধকারে এই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ। ফুলবাড়ীর আলাদীপুর ইউনিয়নে নিরাপদ সবজি উৎপাদন যুক্ত প্রদর্শনীর মাঠ দিবস রাজশাহীতে পুলিশ কনস্টেবলের নামে দুদকের মামলা আম পরিপক্ব হওয়ার আগে রাসায়নিক ব্যবহার করে বাজারজাত করলে কঠোর ব্যবস্থা- বিভাগীয় কমিশনার

বশেমুরবিপ্রবিতে নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:২০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪
  • ১৫৮৭ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বশেমুরবিপ্রবি) এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এএসভিএম) বিভাগের নিয়োগ বোর্ডের ‘এক্সপার্ট মেম্বার’ হিসেবে আছেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রহমান খান। এএসভিএম বিভাগের নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও একটি জাতীয় পত্রিকায় ‘ধর্ষক ও দুর্নীতিবাজ‘ সাবেক উপাচার্যের আগমন সম্বলিত লেখা প্রচার করা হয়। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিক্ষক – শিক্ষার্থীরা।

দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটে ভুগছে এএসভিএম বিভাগ। শিক্ষক সংকট থেকে বের হওয়ার জন্য একাধিকবার অবস্থান ও আন্দোলন কর্মসূচি করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বানচাল করতেই এ ধরনের প্রচারণা বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।

এএসভিএম বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আর এস মাহমুদ হাসান বলেন, আমাদের শিক্ষক সংকট ও ল্যাব সমস্যা দীর্ঘদিনের। এ সকল সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়া হলে সেশনজটসহ বিভিন্ন একাডেমিক সমস্যায় পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের।

অন্যদিকে আদালতের রায়ের পরে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করার সুযোগ না থাকলেও অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষক-দুর্নীতিবাজ বলায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন খুকৃবির সাবেক এই উপাচার্য। ইতোমধ্যে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ লিপিও ছাপিয়েছে পত্রিকাটি।

তবে দেখা গেছে, আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়ে নি, উলটো আদালত কর্তৃক বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে খুকৃবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রহমান খানকে।

এ ধরনের প্রচারণাকে আদালতের রায়ের উপর মিথ্যাচার করে আদালত অবমাননার পাশাপাশি মানহানি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য।

তিনি এ বিষয়ে বলেন, বশেমুরবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের নিয়োগ বোর্ডে আমি অনেক আগে থেকেই সদস্য। শুধু বশেমুরবিপ্রবি না, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ডের আমি সদস্য। উপাচার্য থাকাকালীন সাধারণত সবার বিরুদ্ধেই কিছু না কিছু অভিযোগ উঠে। কিন্তু একজন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে যেখানে তাকে দোষী বলার সুযোগ নেই, সেখানে আদালত প্রমাণ না পেয়ে বেকসুর খালাস দেয়া স্বত্বেও আমাকে ধর্ষক বলা হয়েছে, দুর্নীতিবাজ বলা হয়েছে। যা সরাসরি দেশের প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন ও আদালত অবমাননার মধ্যে পড়ে।

বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. হুর-ই-জান্নাত জ্যোতি বলেন, শহীদুর রহমান স্যার খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য হলেও উনি দেশের একজন নামকরা কৃষিবিদ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র অধ্যাপক। বশেমুরবিপ্রবির নিয়োগ বোর্ডের আগেই হঠাৎ করে তাকে নিয়ে লেখালেখি দেখতে পাই। তবে আমি বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ার অনেক আগে থেকেই তিনি নিয়োগ বোর্ডের সদস্য।

উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল শিক্ষকদের আপগ্রেডেশনকে কেন্দ্র করে এএসভিএম বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিল হয়।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

চান্দিনায় ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত

বশেমুরবিপ্রবিতে নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৭:২০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

 

 

 

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বশেমুরবিপ্রবি) এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এএসভিএম) বিভাগের নিয়োগ বোর্ডের ‘এক্সপার্ট মেম্বার’ হিসেবে আছেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রহমান খান। এএসভিএম বিভাগের নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও একটি জাতীয় পত্রিকায় ‘ধর্ষক ও দুর্নীতিবাজ‘ সাবেক উপাচার্যের আগমন সম্বলিত লেখা প্রচার করা হয়। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিক্ষক – শিক্ষার্থীরা।

দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটে ভুগছে এএসভিএম বিভাগ। শিক্ষক সংকট থেকে বের হওয়ার জন্য একাধিকবার অবস্থান ও আন্দোলন কর্মসূচি করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বানচাল করতেই এ ধরনের প্রচারণা বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।

এএসভিএম বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আর এস মাহমুদ হাসান বলেন, আমাদের শিক্ষক সংকট ও ল্যাব সমস্যা দীর্ঘদিনের। এ সকল সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়া হলে সেশনজটসহ বিভিন্ন একাডেমিক সমস্যায় পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের।

অন্যদিকে আদালতের রায়ের পরে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করার সুযোগ না থাকলেও অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষক-দুর্নীতিবাজ বলায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন খুকৃবির সাবেক এই উপাচার্য। ইতোমধ্যে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ লিপিও ছাপিয়েছে পত্রিকাটি।

তবে দেখা গেছে, আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়ে নি, উলটো আদালত কর্তৃক বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে খুকৃবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রহমান খানকে।

এ ধরনের প্রচারণাকে আদালতের রায়ের উপর মিথ্যাচার করে আদালত অবমাননার পাশাপাশি মানহানি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য।

তিনি এ বিষয়ে বলেন, বশেমুরবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের নিয়োগ বোর্ডে আমি অনেক আগে থেকেই সদস্য। শুধু বশেমুরবিপ্রবি না, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ডের আমি সদস্য। উপাচার্য থাকাকালীন সাধারণত সবার বিরুদ্ধেই কিছু না কিছু অভিযোগ উঠে। কিন্তু একজন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে যেখানে তাকে দোষী বলার সুযোগ নেই, সেখানে আদালত প্রমাণ না পেয়ে বেকসুর খালাস দেয়া স্বত্বেও আমাকে ধর্ষক বলা হয়েছে, দুর্নীতিবাজ বলা হয়েছে। যা সরাসরি দেশের প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন ও আদালত অবমাননার মধ্যে পড়ে।

বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. হুর-ই-জান্নাত জ্যোতি বলেন, শহীদুর রহমান স্যার খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য হলেও উনি দেশের একজন নামকরা কৃষিবিদ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র অধ্যাপক। বশেমুরবিপ্রবির নিয়োগ বোর্ডের আগেই হঠাৎ করে তাকে নিয়ে লেখালেখি দেখতে পাই। তবে আমি বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ার অনেক আগে থেকেই তিনি নিয়োগ বোর্ডের সদস্য।

উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল শিক্ষকদের আপগ্রেডেশনকে কেন্দ্র করে এএসভিএম বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিল হয়।