বাংলাদেশ ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
পিরোজপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা টিভি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ঘোড়া মার্কার প্রার্থীকে জরিমানা রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জামরুল ফল বিদেশী মদসহ ০৩ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সরকারের অনিচ্ছাতেই উচ্চ শিক্ষায় স্বদেশি ভাষা চালু হয়নি: ড. সলিমুল্লাহ খান রাজশাহীতে ৩০ ছাত্রকে বলাৎকার করে ভিডিও ধারণ করেন শিক্ষক ওয়াকেল ঠাকুরগাঁওয়ে উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে জেলা আওয়ামী রাজনীতিতে বিভক্তি হওয়ার আশঙ্কা রাজশাহীর পুঠিয়ায় তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সম্পদশালী মাসুদ পুঠিয়া উপজেলায় নির্বাচন: চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের কার সম্পদ কত? রাজশাহী মহানগরীতে চেকপোস্টে দুই পুলিশ পিটিয়ে আহত! দুইভাই আটক কাউনিয়ায় লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্ট এর সভা অনুষ্ঠিত ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামী নাজিবুল ইসলাম নাজিমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। উল্লাপাড়ায় সড়ক দূর্ঘনায় ১ জনের মৃত্যু  আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার সড়কে ধান মাড়াই,বিড়াম্বনায় পথচারিরা স্বপ্নীলকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে কুবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

জারুলের বেগুনি আভায় সেজেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৪৫:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
  • ১৬০১ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

রাবি প্রতিনিধি:
সবুজ শ্যামল দেশ আমাদের। এ দেশে ঋতুবৈচিত্র্যের পরিবর্তন যে সৌন্দর্য নিয়ে আসে, তা এই প্রকৃতিকে ঘিরেই, এ সবুজকে ঘিরেই। আর এই প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজিয়ে তোলে নানান রকম ফুল। গ্রীষ্মে ফোটা তেমনই একটি ফুল হলো জারুল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অপরুপ সাজে সজ্জিত জারুল ফুলে।

ক্যাম্পাসের পশ্চিম পাশের রাস্তায় দেখতে পাওয়া যায় জারুল গাছ। নির্মানাধীন শেখ হাসিনা হলের সামনের রাস্তা ধরে এক সারি জারুল গাছ। যা সবার নজর কাড়ে। এ ছাড়া অ্যাকাডেমিক ভবন, আবাসিক হল, ডরমিটরির আশপাশে জারুল ফুল মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। শীত ও বসন্তের পরে ভরা গ্রীষ্মেও রাবি ক্যাম্পাসকে ফুলের মায়াবী আবহে আচ্ছন্ন করে রেখেছে এ জারুল।

তেজহীন রৌদ্রদীপ্ত সকাল, তপ্ত দুপুর কিংবা পশ্চিমে এলিয়ে দেওয়া সূর্যহীন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচারীদের দাঁড় করিয়ে নিজের দিকে একপলক দেখার সম্মোহনী শক্তি নিয়ে যেন ফুলগুলো পরিস্ফুটিত হয়েছে

জারুলকে বলা হয় বাংলার চেরি। চোখ ভরে যায় তার রূপ দেখে। গ্রীষ্মের দাবদাহে ধরা যখন উষ্ণ হয়ে ওঠে তখন সেই উষ্ণতাকে ম্লান করে দিয়ে হেসে ওঠে জারুল ফুল।

থোকায় থোকায় জারুল ফুল। পুরো গাছ ভরে যায় ফুলে ফুলে। গাঢ় বেগুনি ও গোলাপি জারুলে চোখ আটকে যায়। মোহনীয় সৌন্দর্যের এ ফুল দেখে চলতে চলতে থমকে যায় না, এমন মানুষ কমই আছে।

জারুল গ্রীষ্মকালে ফোটা শুরু হলেও শরৎকাল পর্যন্ত থাকে। এটি পাতা ঝরা বৃক্ষ। শীতকালে পাতা ঝরে যায়। বসন্তকালে নতুন পাতা গজায়। গ্রীষ্মকালে ফুল আসা শুরু হয়। গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ এই তিন ঋতুকে রাঙিয়ে দেয় জারুল। সুশোভিত এই জারুলের আদি নিবাস শ্রীলঙ্কায় হলেও এটি ভারতীয় উপমহাদেশের নিজস্ব বৃক্ষ। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও চীন, মালয়েশিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে জারুলগাছের দেখা মেলে।

জারুল ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম লেজারস্ট্রমিয়া স্পেসিওসা। নামটির প্রথম অংশ এসেছে সুইডেনের অন্যতম তরু অনুরাগী লেজারস্ট্রমের নাম থেকে। স্পেসিওসা লাতিন শব্দ, যার অর্থ সুন্দর। জারুলের লেজারস্ট্রমিয়া ইনডিকা নামে ছোট একটি প্রজাতি রয়েছে, যা বৃহত্তর সিলেট ও কিশোরগঞ্জে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়।

জারুলগাছ মধ্যমাকৃতির পত্রমোচী বৃক্ষ। ম্লানধূসর মসৃণ কা-বিশিষ্ট জারুল ২০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। এর পাতা বড়, পুরু ও গাঢ় সবুজ। ৬-৮ ইঞ্চি দীর্ঘ, লম্বাটে ও মসৃণ। এর পাতার পিঠের রঙ ঈষৎ ম্লান। গাছের শাখা-প্রশাখা, ডালপালা, খুবই শক্ত। ফুলের বোটাও শক্ত। মঞ্জরি অনিয়ত, শাখায়তি, বহুপৌষ্পিক ও প্রান্তিক। জারুলের ফুলের বেগুনি বর্ণ যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি শোভনীয় তার পাঁপড়ির নমনীয় কোমলতা। জারুলের বেগুনি ও গোলাপি রঙের ফুল থাকলেও আমাদের দেশে বেগুনি রঙ বেশি দেখা যায়। অনেক সময় সাদার কাছাকাছি এসে পৌঁছায় কিছু ফুলের রঙ।

জারুল ফুলগুলো থাকে শাখার ডগায়, পাতার ওপরের স্তরে। প্রতিটি ফুলের থাকে ছটি করে পাপড়ি, মাঝখানে পুংকেশরের সঙ্গে যুক্ত হলুদ পরাগকোষ। থোকায় থোকায় ফোটে ফুল। বোটার গোড়া থেকে ফুল ফোটা শুরু হয়ে ধীরে ধীরে ডগায় যায়। ফুল শেষে গাছে বীজ হয়। বীজ দেখতে গোলাকার ও কালো।

জারুল বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে। জারুল গাছের বীজ, ছাল ও পাতা ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। এ ছাড়াও জ¦র-সর্দি-কাশিতেও বেশ উপকারী। জারুলগাছ থেকে কাঠ করতে চাইলে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ বছর সময় লাগে। এর কাঠের রঙ লালচে ধরনের। জমি চাষের লাঙল, ঘর নির্মাণ, নৌকা ও আসবাবপত্র তৈরিতে এই কাঠ ব্যবহার করা যায়।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা টিভি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

জারুলের বেগুনি আভায় সেজেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

আপডেট সময় ০৩:৪৫:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

 

 

 

রাবি প্রতিনিধি:
সবুজ শ্যামল দেশ আমাদের। এ দেশে ঋতুবৈচিত্র্যের পরিবর্তন যে সৌন্দর্য নিয়ে আসে, তা এই প্রকৃতিকে ঘিরেই, এ সবুজকে ঘিরেই। আর এই প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজিয়ে তোলে নানান রকম ফুল। গ্রীষ্মে ফোটা তেমনই একটি ফুল হলো জারুল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অপরুপ সাজে সজ্জিত জারুল ফুলে।

ক্যাম্পাসের পশ্চিম পাশের রাস্তায় দেখতে পাওয়া যায় জারুল গাছ। নির্মানাধীন শেখ হাসিনা হলের সামনের রাস্তা ধরে এক সারি জারুল গাছ। যা সবার নজর কাড়ে। এ ছাড়া অ্যাকাডেমিক ভবন, আবাসিক হল, ডরমিটরির আশপাশে জারুল ফুল মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। শীত ও বসন্তের পরে ভরা গ্রীষ্মেও রাবি ক্যাম্পাসকে ফুলের মায়াবী আবহে আচ্ছন্ন করে রেখেছে এ জারুল।

তেজহীন রৌদ্রদীপ্ত সকাল, তপ্ত দুপুর কিংবা পশ্চিমে এলিয়ে দেওয়া সূর্যহীন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচারীদের দাঁড় করিয়ে নিজের দিকে একপলক দেখার সম্মোহনী শক্তি নিয়ে যেন ফুলগুলো পরিস্ফুটিত হয়েছে

জারুলকে বলা হয় বাংলার চেরি। চোখ ভরে যায় তার রূপ দেখে। গ্রীষ্মের দাবদাহে ধরা যখন উষ্ণ হয়ে ওঠে তখন সেই উষ্ণতাকে ম্লান করে দিয়ে হেসে ওঠে জারুল ফুল।

থোকায় থোকায় জারুল ফুল। পুরো গাছ ভরে যায় ফুলে ফুলে। গাঢ় বেগুনি ও গোলাপি জারুলে চোখ আটকে যায়। মোহনীয় সৌন্দর্যের এ ফুল দেখে চলতে চলতে থমকে যায় না, এমন মানুষ কমই আছে।

জারুল গ্রীষ্মকালে ফোটা শুরু হলেও শরৎকাল পর্যন্ত থাকে। এটি পাতা ঝরা বৃক্ষ। শীতকালে পাতা ঝরে যায়। বসন্তকালে নতুন পাতা গজায়। গ্রীষ্মকালে ফুল আসা শুরু হয়। গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ এই তিন ঋতুকে রাঙিয়ে দেয় জারুল। সুশোভিত এই জারুলের আদি নিবাস শ্রীলঙ্কায় হলেও এটি ভারতীয় উপমহাদেশের নিজস্ব বৃক্ষ। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও চীন, মালয়েশিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে জারুলগাছের দেখা মেলে।

জারুল ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম লেজারস্ট্রমিয়া স্পেসিওসা। নামটির প্রথম অংশ এসেছে সুইডেনের অন্যতম তরু অনুরাগী লেজারস্ট্রমের নাম থেকে। স্পেসিওসা লাতিন শব্দ, যার অর্থ সুন্দর। জারুলের লেজারস্ট্রমিয়া ইনডিকা নামে ছোট একটি প্রজাতি রয়েছে, যা বৃহত্তর সিলেট ও কিশোরগঞ্জে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়।

জারুলগাছ মধ্যমাকৃতির পত্রমোচী বৃক্ষ। ম্লানধূসর মসৃণ কা-বিশিষ্ট জারুল ২০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। এর পাতা বড়, পুরু ও গাঢ় সবুজ। ৬-৮ ইঞ্চি দীর্ঘ, লম্বাটে ও মসৃণ। এর পাতার পিঠের রঙ ঈষৎ ম্লান। গাছের শাখা-প্রশাখা, ডালপালা, খুবই শক্ত। ফুলের বোটাও শক্ত। মঞ্জরি অনিয়ত, শাখায়তি, বহুপৌষ্পিক ও প্রান্তিক। জারুলের ফুলের বেগুনি বর্ণ যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি শোভনীয় তার পাঁপড়ির নমনীয় কোমলতা। জারুলের বেগুনি ও গোলাপি রঙের ফুল থাকলেও আমাদের দেশে বেগুনি রঙ বেশি দেখা যায়। অনেক সময় সাদার কাছাকাছি এসে পৌঁছায় কিছু ফুলের রঙ।

জারুল ফুলগুলো থাকে শাখার ডগায়, পাতার ওপরের স্তরে। প্রতিটি ফুলের থাকে ছটি করে পাপড়ি, মাঝখানে পুংকেশরের সঙ্গে যুক্ত হলুদ পরাগকোষ। থোকায় থোকায় ফোটে ফুল। বোটার গোড়া থেকে ফুল ফোটা শুরু হয়ে ধীরে ধীরে ডগায় যায়। ফুল শেষে গাছে বীজ হয়। বীজ দেখতে গোলাকার ও কালো।

জারুল বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে। জারুল গাছের বীজ, ছাল ও পাতা ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। এ ছাড়াও জ¦র-সর্দি-কাশিতেও বেশ উপকারী। জারুলগাছ থেকে কাঠ করতে চাইলে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ বছর সময় লাগে। এর কাঠের রঙ লালচে ধরনের। জমি চাষের লাঙল, ঘর নির্মাণ, নৌকা ও আসবাবপত্র তৈরিতে এই কাঠ ব্যবহার করা যায়।