নিজস্ব প্রতিবেদক
২য় কিস্তির পর
জমি বন্ধক ও রেজিস্ট্রি :
জানাগেছে, টাকা দিয়ে জমি বন্ধক রাখা বা রেজিষ্ট্রি করে রাখার অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। শর্তসাপেক্ষে ব্যবসার জন্য কিছু টাকা দিয়ে জমি লিখে নিয়ে (জমি ফেরত দেওয়ার শর্তে) বেকায়দায় ফেলেন বেলাল। চরা সুদে এক সময় জমি ছেড়ে দিয়েও হয় না আরো সুদের টাকা গুনতে হয়। অনেকেই তার অত্যাচারে বাড়ীঘর ছেড়ে এলাকার বাহিরে চলে গেছেন।
ঈষিতা হোটেলের মালিক ইউনুস ও তার স্ত্রী আকলিমা জানান, বাড়ীর জমি কেনার সময় আমার কিছু টাকার দরকার হয়।আমি সমিতির লোনের জন্য গেলে তিনি শর্ত সাপেক্ষে টাকা দিতে রাজি হয়। শর্ত হচ্ছে অর্ধেক জমি তাঁর নামে এবং অর্ধেক জমি আমার নামে রেজিষ্ট্রি দিতে হবে।সুদসহ টাকা ফেরৎ দিলে আমাকে জমি ফেরত দিবে। এতে আমি রাজী হয়ে স্বল্প সুদে টাকা নিলেও পরে চরা সুদের কারণে আমি আমার অর্ধেক জমি দিয়েও রেহায় পায়নি। দোকান পার্ট বন্ধ করে এলাকা ছাড়তে হয়েছে। এরকম ইন্জিনিয়ার জাকির, আনিস চায়ের দোকানদার, মনজুর আলম, দারাজ মেকারসহ অসংখ্য মানুষের সংগে জমি বন্ধকের ঘটনা রয়েছে। আনিস বাদে কেহই জমি ফেরত পাননি বলে জানা গেছে।
চেক জালিয়াতি:
সমিতি থেকে চাকুরি ছেড়ে দেওয়া ছোট সিংগিয়া গ্রামের এক মাঠকর্মী জানান, সমিতি ও সুদের ব্যবসার পাশাপাশি চেক কিনে মানুষকে বিপদে ফেলা তার কাছে এখন চুটকির ব্যপার। কুড়িয়ে পাওয়া সই স্বাক্ষর করা চেক পাইলেই তিনি কিনে নেন। এর পরে শুরু হয় হয়রানী।
আরাজী সরলিয়া গ্রামের শিক্ষক এরশাদ আলী শিক্ষকসহ সাধারণ মানুষের কাছে চেক ও স্ট্যাম্প জমা নিয়ে সুদের ব্যবসা করতো। কয়েক বছর আগে এরশাদ ক্যানসারে আক্রান্ত হলে সমিতির বেলালউদ্দিনের নিকট বিভিন্ন শিক্ষকের চেক ও স্ট্যাম্প গুলো জমা রেখে কিছু টাকা নেন। এখন অসংখ্য শিক্ষক বেলালের কাছে জিম্মি হয়ে পরেছে। মামলাও দিচ্ছে অনেক মানুষের বিরুদ্ধে।
চেকের মামলা :
সমিতির বেলালউদ্দিন অসংখ্য মানুষের বিরুদ্ধে চেক ডিজ অর্নার ও স্ট্যাম্পের মামলা করে হয়রানী করেছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। অনেক মানুষকে চেকের মামলার ভয়,আবার অনেককে উকিল নোটিশ দিয়ে ভয় ভিতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করা হচ্ছে। এসব মামলা বেলাল নিজে অথবা তার বাবা, ভাই, সমিতির কমিটির লোক ও মাঠকর্মীদের বাদী করে আদালতে মামলা ও মামলার নাটকও করা হচ্ছে।চেক জমা দিয়ে তিন লক্ষ টাকা নিয়ে চার লক্ষ টাকা সুদের দিয়েও আবার ৩০ লক্ষ টাকার মামলা হয়েছে বলে জানান এক ভুক্তভোগি। চলবে।