বাংলাদেশ ১১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
শ্রীমঙ্গলে আড়াই বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যা কালকিনিতে স্ত্রীর জন্য শিক্ষকদের কাছে ভোট চাওয়ার অভিযোগ সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন- ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা নব-নির্বাচিত ময়না চেয়ারম্যানকে গণসংবর্ধনা রাবি শিক্ষার্থী জিসানের শতাধিক নিরীক্ষাধর্মী ছবি নিয়ে একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী রাবি সায়েন্স ক্লাবের ” Win the Career Race” কর্মশালার আয়োজন অনিয়মের অভিযোগে ইটভাটায় অর্থদন্ড করে ভ্রাম্যমাণ আদালত রাবিতে শুরু হল দুই দিনব্যাপী আরিইউসিসি জব ফেয়ার কেন্দ্রীয় ম‌হিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠ‌নিক সৈয়দা রা‌জিয়া মোস্তফা’র পৈত্রিক বসতঘরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড যতদিন বাচবো মুলাদীর মানুষের সাথে থাকবো-মিঠু খান মির্জাগঞ্জের উপজেলা নির্বাচনে, প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা কয়রায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত আট বছরের ঘুমন্ত শিশুকে কোলে করে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা নাগরপুরে নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেতাদের সাথে মতবিনিময় করলেন – পান্না সিলেট আসার পথে দুর্ঘটনায় ব্যান্ড শিল্পী আহসান তানভীর পিয়াল নিহত।

নগরীর ষোলশহর রেল ষ্টেশন এখন কিশোর গ্যাং,মাদকের হটস্পট

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৩৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
  • ১৫৯৩ বার পড়া হয়েছে

নগরীর ষোলশহর রেল ষ্টেশন এখন কিশোর গ্যাং,মাদকের হটস্পট

 

বিশেষ প্রতিবেদক।। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন ষোলশহর রেলষ্টেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এ স্থান পাড়ি দিয়েই প্রতিদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করে এখানকার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বেশকিছু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকায় নগরবাসীর কাছে এলাকাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

অথচ এই স্থানটিই এখন পুরোপুরি পরিনত হয়েছে কিশোর গ্যাং, জুয়া, মাদক সেবন, বেচাকেনা, ছিনতাই চোরের আস্তানা হিসেবে। তাছাড়া জুয়া, ছিনতাই, মাদকের পাশাপাশি প্রকাশ্যে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। প্রাপ্ত বয়স্করাতো আছেই এই এলাকার উঠতি বয়সি যুবকরাও দিন দিন জড়িয়ে পড়ছে সর্বনাশা জুয়া, মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপে।উঠতি বয়সী কিশোররা জড়িয়ে পরছে কিশোর গ্যাং, ছিনতাই ও নেশার জগতে।ফলে এই এলাকাসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে বেড়েছে চুরি,ছিনতাই চাঁদাবাজি সহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড।

মূলত জুয়ার আসরটিকে কেন্দ্র করে আশেপাশে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট টিনের তৈরী ঘর। আর এই ঘরগুলোতে দিনরাত চলে মাদক ও নারী ব্যবসা। বছরখানেক আগেও নিয়মিত পুলিশের অভিযান দেখা গেলেও এখন কোন অদৃশ্য ইশারায় অভিযান নেই বললেই চলে বলছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এদিকে এই এলাকার জুয়ার বোড ও মাদকের স্পটগুলো রীতিমতো এলাকাবাসীর জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এলাকাবাসীরা।

স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশের অভিযান না থাকায় দিনের পর দিন বেড়েই চলছে এই অপরাধ। স্থানীয়দের অভিযোগ, জুয়ার বোড যারা নিয়ন্ত্রণ করেন, প্রশাসনের সাথে তাদের রয়েছে দারুন সখ্যতা। এলাকাবাসী আরো জানান নিয়মিত জুয়া ও মাদকের স্পটগুলো থেকে রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় আদায় কৃত অর্থ প্রশাসনকে মাসোহারা হিসেবে দিয়ে থাকে নিয়ন্ত্রণকারীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ষোলশহর রেলস্টেশন বিপরীতে বেশ কয়েকটি ঘরে হরদমে চলছে জুয়া। আবার এই ঘরগুলোর পাশেই চলছে নারী ব্যবসা আবার কিছু কিছু ঘরে বসেছে ইয়াবার আসর। গোধুলী বিকেলের পর সন্ধ্যা নেমে আসলেই মাদক, জুয়ার আসরগুলো জমজমাট হতে শুরু করে। বলতে গেলে তখন অনেকটাই প্রকাশ্যে চলে এই অপরাধ৷ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এইসব মাদক, জুয়া নিয়ন্ত্রণ করে রমজান প্রকাশ জুয়ারি রমজান এবং দেখভাল করে সাজেদুল ওরফে জামাই নামক জনৈক ব্যাক্তি।

রমজান এলাকার চিহ্নিত অপরাধী হিসেবে এলাকাবাসী ও পুলিশের কাছে বেশ পরিচিত। নগরীর বেশ কয়েকটি থানায় একাধিক মামলাও আছে তার বিরুদ্ধে। ফলে জুয়ার ও মাদকের বিষয়ে এখানকার কেউ সরাসরি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনা। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান রমজান ও কথিত জামাই অনেক ক্ষমতাধর।

তাদের বিভিন্ন অপরাধ নিয়ে যদি কেউ মুখ খোলে তাকে গুনতে হবে মিথ্যা মামলা হামলা এবং কি মৃত্যুর দুয়ারে পর্যন্ত পৌঁছার সম্ভাবনা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের আরো কয়েকজন এই প্রতিবেদক কে জানান, এই জুয়ার বোর্ডটির কারনে এলাকায় বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। চুরি, ছিনতাই, ইভজিটিং বেড়ে গেছে। শুধু সন্ধ্যা, রাতে নয় দিনদুপুরেও চলাফেরা করতে পারছিনা। আর এলাকার উঠতি বয়সি ছেলেরাতো দিন দিন অধঃপতনে যাচ্ছে, জড়িয়ে পরছে কিশোর গ্যাং কালচারে।

এই প্রতিবেদক স্থানীয় দের কাছে জানতে চাইলে “আপনারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন না কেন”? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে তারা বলেন, পুলিশকে কি বলবো? “পুলিশকে অভিযোগ দিলে পুলিশ নিজেই যেই নাম্বার থেকে অভিযোগ করেছে, সে নাম্বারটিও তাদের কাছে দিয়ে দেয় আর পরে অভিযোগকারীর উপর চলে রমজান ও তার দলবলের অত্যাচার”।

আর তাই রমজানের ভয়ে শুধু আমরা কয়েকজন কাকে বিচার দিব কাকে বলব, আমরা ছাড়া তো এখানে কেউই মুখ খুলেনা।আমরা প্রশাসনের ও সরকারের সংশ্লিষ্ট উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গলে আড়াই বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যা

নগরীর ষোলশহর রেল ষ্টেশন এখন কিশোর গ্যাং,মাদকের হটস্পট

আপডেট সময় ০৪:৩৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

 

বিশেষ প্রতিবেদক।। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন ষোলশহর রেলষ্টেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এ স্থান পাড়ি দিয়েই প্রতিদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করে এখানকার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বেশকিছু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকায় নগরবাসীর কাছে এলাকাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

অথচ এই স্থানটিই এখন পুরোপুরি পরিনত হয়েছে কিশোর গ্যাং, জুয়া, মাদক সেবন, বেচাকেনা, ছিনতাই চোরের আস্তানা হিসেবে। তাছাড়া জুয়া, ছিনতাই, মাদকের পাশাপাশি প্রকাশ্যে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। প্রাপ্ত বয়স্করাতো আছেই এই এলাকার উঠতি বয়সি যুবকরাও দিন দিন জড়িয়ে পড়ছে সর্বনাশা জুয়া, মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপে।উঠতি বয়সী কিশোররা জড়িয়ে পরছে কিশোর গ্যাং, ছিনতাই ও নেশার জগতে।ফলে এই এলাকাসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে বেড়েছে চুরি,ছিনতাই চাঁদাবাজি সহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড।

মূলত জুয়ার আসরটিকে কেন্দ্র করে আশেপাশে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট টিনের তৈরী ঘর। আর এই ঘরগুলোতে দিনরাত চলে মাদক ও নারী ব্যবসা। বছরখানেক আগেও নিয়মিত পুলিশের অভিযান দেখা গেলেও এখন কোন অদৃশ্য ইশারায় অভিযান নেই বললেই চলে বলছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এদিকে এই এলাকার জুয়ার বোড ও মাদকের স্পটগুলো রীতিমতো এলাকাবাসীর জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এলাকাবাসীরা।

স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশের অভিযান না থাকায় দিনের পর দিন বেড়েই চলছে এই অপরাধ। স্থানীয়দের অভিযোগ, জুয়ার বোড যারা নিয়ন্ত্রণ করেন, প্রশাসনের সাথে তাদের রয়েছে দারুন সখ্যতা। এলাকাবাসী আরো জানান নিয়মিত জুয়া ও মাদকের স্পটগুলো থেকে রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় আদায় কৃত অর্থ প্রশাসনকে মাসোহারা হিসেবে দিয়ে থাকে নিয়ন্ত্রণকারীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ষোলশহর রেলস্টেশন বিপরীতে বেশ কয়েকটি ঘরে হরদমে চলছে জুয়া। আবার এই ঘরগুলোর পাশেই চলছে নারী ব্যবসা আবার কিছু কিছু ঘরে বসেছে ইয়াবার আসর। গোধুলী বিকেলের পর সন্ধ্যা নেমে আসলেই মাদক, জুয়ার আসরগুলো জমজমাট হতে শুরু করে। বলতে গেলে তখন অনেকটাই প্রকাশ্যে চলে এই অপরাধ৷ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এইসব মাদক, জুয়া নিয়ন্ত্রণ করে রমজান প্রকাশ জুয়ারি রমজান এবং দেখভাল করে সাজেদুল ওরফে জামাই নামক জনৈক ব্যাক্তি।

রমজান এলাকার চিহ্নিত অপরাধী হিসেবে এলাকাবাসী ও পুলিশের কাছে বেশ পরিচিত। নগরীর বেশ কয়েকটি থানায় একাধিক মামলাও আছে তার বিরুদ্ধে। ফলে জুয়ার ও মাদকের বিষয়ে এখানকার কেউ সরাসরি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনা। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান রমজান ও কথিত জামাই অনেক ক্ষমতাধর।

তাদের বিভিন্ন অপরাধ নিয়ে যদি কেউ মুখ খোলে তাকে গুনতে হবে মিথ্যা মামলা হামলা এবং কি মৃত্যুর দুয়ারে পর্যন্ত পৌঁছার সম্ভাবনা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের আরো কয়েকজন এই প্রতিবেদক কে জানান, এই জুয়ার বোর্ডটির কারনে এলাকায় বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। চুরি, ছিনতাই, ইভজিটিং বেড়ে গেছে। শুধু সন্ধ্যা, রাতে নয় দিনদুপুরেও চলাফেরা করতে পারছিনা। আর এলাকার উঠতি বয়সি ছেলেরাতো দিন দিন অধঃপতনে যাচ্ছে, জড়িয়ে পরছে কিশোর গ্যাং কালচারে।

এই প্রতিবেদক স্থানীয় দের কাছে জানতে চাইলে “আপনারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন না কেন”? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে তারা বলেন, পুলিশকে কি বলবো? “পুলিশকে অভিযোগ দিলে পুলিশ নিজেই যেই নাম্বার থেকে অভিযোগ করেছে, সে নাম্বারটিও তাদের কাছে দিয়ে দেয় আর পরে অভিযোগকারীর উপর চলে রমজান ও তার দলবলের অত্যাচার”।

আর তাই রমজানের ভয়ে শুধু আমরা কয়েকজন কাকে বিচার দিব কাকে বলব, আমরা ছাড়া তো এখানে কেউই মুখ খুলেনা।আমরা প্রশাসনের ও সরকারের সংশ্লিষ্ট উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।