রাবি প্রতিনিধি:
উপমহাদেশের বরেণ্য কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের স্মরণে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী ‘আজিজুল হক সাহিত্য উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডের পাশে রাজশাহী লেখক পরিষদের উদ্যোগে এই উৎসব আয়োজিত হয়।
এই উৎসব উপলক্ষ্যে ‘ফিল্ম অ্যান্ড কালচালার আর্কাইভ’ কর্তৃক ৯০ দশকের ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন বিখ্যাত কবি সাহিত্যিকদের লেখা ফ্রেম আকারে প্রদর্শন করা হয়। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরতে ছিল বাইস্কোপে চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত লেখকদের নিয়ে আয়োজন করা হয় কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বাইস্কোপে চিত্র প্রদর্শন খুব আনন্দের সাথে উপভোগ করেছেন।
ফিল্ম অ্যান্ড কালচারাল আর্কাইভ প্রদর্শনীতে ছিল পুরানো রেডিও, টেপ রেকর্ডার, বিভিন্ন রকম ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, গ্রামোফোন, প্রিন্টার, টাইপ রাইটার, টেলিফোনসহ কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া অনেক বস্তু। আয়োজক কমিটির এক সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায়, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরতে এ আয়োজন করা হয়েছে। আগেরকার মানুষ কী কী জিনিস ব্যবহার করত তা নতুন প্রজন্মের তরুণদের কাছে তুলে ধরাই এর মূল উদ্দেশ্য।
তিনি আরো বলেন, রাবিতে প্রথমবারের মতো এ আয়োজন করা হয়েছে। পরেরবার থেকে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে হাসান আজিজুল হকের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এই উৎসব করা হবে।
সাহিত্য উৎসবে ঘুরতে আসা এক প্রবীণ সাহিত্যপ্রেমী মো. শাহাদাত হোসেন স্মৃতি কাতর হয়ে বলেন, সব সবকিছু যেন স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে সেই পুরনো যুগের ফিরে এসেছি। এখনকার তরুণরা তো এসব কখনো দেখেনি, আমরা দেখেছি আমাদের বাবারা এসব ব্যবহার করত। এসব দেখে আমার খুবই ভালো লাগছে পুরনো দিনের কথা মনে পড়ছে। এছাড়া বিভিন্ন কবি-সাহিত্যিকের লেখা প্রদর্শন করা হয়েছে এটাও আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
উৎসবে ঘুরতে আসা আরাফাত সানি নামের আরেকজন বলেন, মনে হচ্ছে আমি সেই পুরনো যুগে ফিরে এসেছি। আমার মনে হয় প্রতিবছর যদি এরকম আয়োজন করা যায় তাহলে বর্তমান প্রজন্মের তরুণরা অনেক কিছু জানতে পারবে শিখতে পারবে। এসব তো এখন প্রায় বিলুপ্ত দেখা যায় না বললেই চলে। অনেকদিন পর এসব দেখে খুবই ভালো লাগলো। যারা এ আয়োজন করেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আমি খুবই খুশি হয়েছি।