ফেনী জেলা প্রতিনিধি:
মধুখালিতে উগ্রবাদি সন্ত্রাসীদের পিটুনিতে দুই সহোদর হাফেজ শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী জেলার বিক্ষোভ মিছিল বাদ জুমা শহরের জহিরিয়া মসজিদ চত্বরে জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল করিম এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আলহাজ্ব মাওলানা একরামুল হক ভুইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ পুর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফরিদপুরের দুই শ্রমিকের হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে না পারাটা রহস্যজনক। নৃতৃবৃন্দ বলেন,সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা হয়ে ভারতের গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ হয়েছে। উগ্রবাদিরা শ্মশান পূজার নামে নাঙ্গা তলোয়ার হাতে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে। শ্মশান পূজায় নাঙ্গা তলোয়ারের শাস্ত্রীয় ব্যাখা দিতে হবে। মন্দিরে আগুন দেয়ার অজুহাতে কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই দুই সহোদর হাফেজে কুরআন শ্রমিক হত্যাকান্ডের ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে।
এ ঘটনা দেশ ও মুসলিম উম্মাহর জন্য অশনিসংকেত বর্তমান সরকারের কর্মকান্ডে প্রতীয়মান হয় যে, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি ভারতের কাছে ইজারা দিয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পূজা পার্বণ, হোলি খেলার নামে বেহায়াপনা হয়, কিন্তু নামাজ, ইফতার ও কুরআনের ক্লাসে নিষেধাজ্ঞা জারি করে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠছে। স্যার সলিমুল্লাহ ঢাবি প্রতিষ্ঠা করেছেন মুসলামনদের নামাজ, ইফতার ও ইসলাম চর্চার জন্য, নাস্তিক-মুরতাদদের আখড়া বানানোর জন্য নয়। অতিসম্প্রতি হিন্দুপন্ডিতদের উস্কানিমূলক বক্তব্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের শামিল সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। শিক্ষায় ভারতের আদলে ক্লাসে নাচ-গানসহ হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি শিক্ষা দিচ্ছে। নৃতৃবৃন্দ বলেন, জেল-জুলুমসহ যে কোন নির্যাতন বরণ করতে প্রস্তুত, তবুও ভারতের গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ হবো না।
সভাপতির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল করিম বলেন বলেন, মধুখালির ঘটনা দেশের জন্য একটি অশনিসংকেত। গণপিটুনিতে দুই সহোদরকে হত্যা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। সরকার ও প্রশাসনের ইন্ধনেই এই হত্যাকান্ড ঘটেছে। তিনি বলেন, একটি অশুভ শক্তি ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে দেশকে গভীর সঙ্কটে ঠেলে দিচ্ছে। ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও প্রশাসন অপরাধীদের কাউকে গ্রেফতার না করা রহস্যজনক। তিনি দাবি করেন, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে কঠোর বিচার করতে হবে। মন্দিরে হামলাকারীদের পরিচয় জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে।
পরে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জহিহিয়া মসজিদের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আন্দোলনের সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা গাজী এনামুল হক ভুঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আবদুর রহমান ফরহাদ,ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আলাউদ্দিন সাবেরী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি হাবিবুর রহমান, যুব আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাহিদ হাসান চৌধুরী, ছাত্র আন্দোলন জেলা সহ সভাপতি আলী ফোরকান সহ জেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ।