শিবগঞ্জ (বগুড়া) সংবাদদাতা, শিবগঞ্জ উপজেলার সোমবার রাত ১০টার দিকে বিবাহিত এক কলেজছাত্রী ও তার প্রেমিক আধা ঘণ্টার ব্যবধানে নিজ নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
তারা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়নের মাসিমপুর চালুঞ্জা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে কলেজছাত্রী আজমেরি খাতুন (২০) ও একই ইউনিয়নের দামগারা কারিগরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে সবুজ মিয়া (২২)। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে দু’জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। আজমেরি খাতুন বগুড়া সদরের নামুজা ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আজমেরি খাতুনের সঙ্গে সবুজ মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আজমেরিদের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল। পক্ষান্তরে সবুজ সড়ক মেরামত কাজে নিয়োজিত একজন শ্রমিক ছিলেন। যে কারণে আজমেরিদের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি। মাঝিহট্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসকেন্দার আলী শাহানা বলেন, প্রায় এক মাস আগে আজমেরিকে মোবাইল ফোনে ভিডিও কলের মাধ্যমে একই ইউনিয়নের খেউনি বিন্নাচাঁপড় গ্রামের বাসিন্দা মালয়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে দেয়।
এ বিয়ে মানতে পারেনি আজমেরি। তিনি স্বামী বিদেশে অবস্থান করলেও আজমেরি তার শ্বশুর বাড়িতে যাতায়াত করতো বলে শুনেছি। তবে বিয়ের পরেও আজমেরি যে সবুজের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিল সেটা হয়তো পরিবারের সদস্যরা জানতো না।
শিবগঞ্জ থানার ওসি দীপক কুমার দাস জানান, সোমবার রাতে আজমেরির সঙ্গে সবুজের কথা হয়। তখনই হয়তো তারা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রথমে আজমেরি তার ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে রাত ১০টার দিকে সবুজ তার ঘরে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে জেনেছি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে- প্রচন্ড আবেগের কারণে তারা দু’জন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। এই ঘটনায় পৃথক ২টি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।