বাংলাদেশ ১১:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
অভিনব কায়দায় পাচারের সময় গাঁজাসহ ০১ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। কুবিতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখান হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। আ.লীগের সংস্কৃতি-বিষয়ক উপকমিটির সদস্য হলেন রাবির ড. সুজন সেন দেশে গণমানুষের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে: রাবি উপ-উপাচার্য হিন্দু শিক্ষার্থীকে শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি রাবি ছাত্রলীগ নেতার আবারো তাজা প্রাণ গেল এক যুবকের। হত্যাকান্ডের মামলার আসামি শ্যুটার সহ অন্যতম ০৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। মোবাইলে লুডু খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে শাকিব নামে এক তরুণের প্রাণ গেল। কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী চক্রের মূলহোতা লিপু ও তার ০৪ জন সহযোগী’কে ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। ধর্ষণ, অপহরণ ও হত্যার চেষ্টার মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। মির্জাগঞ্জে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নিয়ে ভোটের মাঠে প্রার্থীরা বিপুল পরিমানে ফেন্সিডিল পাঁচারকালে ১জন কুখ্যাত মাদক কারবারী আটক। শরীয়তপুর ২২ বছরের স্বামীর বাড়িতে ৪৩ বছর বয়সী স্ত্রীর অনশন। বাবুগঞ্জে বিদ্যালয় নিয়ে টানাহেঁচড়ায় শিক্ষার্থীর জীবন বিপন্ন ও সংঘাতের আসংখ্যা।

ফুলবাড়ী ঈদ বাজারে শেখ মুহুর্তে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৫৯৯ বার পড়া হয়েছে

ফুলবাড়ী ঈদ বাজারে শেখ মুহুর্তে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।

 

 

মোঃ হারুন-উর-রশীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে:
আর মাত্র দুই তিনদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহুর্তে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জমে উঠছে ঈদ বাজার। উপজেলার মার্কেট ও শপিংমলগুলতে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা। দিনে একটু ফাঁকা থাকলেও ইফতারের পর থেকে বাড়ছে মানুষের আনাগোনা।

ফুলবাড়ী রাজ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কেনাকাটা জমে উঠছে। এখন ক্রেতাদের মধ্যে কেনাকাটার আগ্রহ বেড়েছে।

কেনাকাটার জন্য নারী-পুরুষরা ভিড় করছেন শহরের নিমতলা মোড়ে, বাজার মসজিদ মার্কেট,রাজ মার্কেট, বনানী মার্কেট, গামারগলী কাপড়পট্রি মতো গুরুপ্তপূর্ণ মার্কেট গুলোতে। আর সেখানে দরদামে ব্যস্ত সময় পার করেছেন বিভিন্ন মার্কেটের দোকান মালিক ও কর্মচারীরা।

শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, ইফতারের পর পরই মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। নিজেদের পছন্দ মত কেনাকাটা করতে ব্যস্ত ক্রেতারা। দোকানিরা বলছেন, যেহেতু ঈদের আর বেশি দিন নেই, তাই ক্রেতা বেড়েছে।

চমক ফ্যাশানের মালিক সোহেল বলেন, এবারের ঈদ কালেকশন আগে থেকে স্টক করা রাখা হয়েছে। স্পেশাল কিছু প্রোডাক্ট এনেছি। গত বছর থেকে এ বছর আমাদের সালোয়ার-কামিজের মান ও ডিজাইন আরও উন্নত করা হয়েছে। এ ছাড়া এখানে শার্ট, প্যান্ট, জামদানি শাড়ি, সিল্ক শাড়ি, সুতি শাড়ি এবং মসলিন শাড়ি আছে। এবার মসলিনের সালোয়ার কামিজ পাওয়া যাচ্ছে, যা গতবার ছিল না। ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড় নিয়ে তিনি বলেন, সকালে ক্রেতার আনাগোনা কম থাকলেও  সন্ধ্যা থেকেই ক্রেতা বাড়তে থাকে। সামনে আরও বাড়বে বলে আশা করছি।

রাজ মার্কেটের কবির বোরখা হাউসের মালিক কবির সরকার বলেন, শুরু হয়েছে ঈদের আমেজ। মানুষ এখন ভালোই কেনাকাটা করছে। কারণ পরে যারা কিনতে আসে, তারা ঠিক মতো সাইজ পান না। এটা একটা সমস্যা।

গার্মেন্টস ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, তিন-চার দিন ধরে ক্রেতার উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের বেচা-বিক্রি আগের থেকে বেড়েছে। মার্কেটও জমজমাট হচ্ছে। এ ছাড়া তরুণরা ঈদের কেনাকাটার জন্য মার্কেটে বের হতে শুরু করেছে। কোন মার্কেটে নতুন ডিজাইনের কী আসলো তা নিশ্চিত হয়ে কিনতে চান তারা।

গৌরপাড়া গ্রাম থেকে আসা ক্রেতা সুজন বলেন, বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখছি পছন্দ হলে কিনে নেব। তাছাড়া প্রতিদিনই নতুন নতুন ড্রেস আসে, সেগুলো দেখে যাচ্ছি সিন্ধান্ত নিবো।

কাটাবাড়ী গ্রামের নাজমুন নাহার বলেন, সময় বের করে অল্প অল্প করে কিনে রেখেছি। পরিবারের সবার জন্যই কিনেছি। শেষ দিন মার্কেটে ভিড় বেশি হয়। তাই আগে ভাগে সব কেনাকাটা শেষ করেছি।

এদিকে অল্প আয়ের মানুষেরা জুতা কেনাকাটার জন্য ফুলবাড়ী সৌখিন সু-হাউস ভিড় করেছে সৌখিন সু-হাউসের মালিক সাবেক মেয়র মানিক সরকার তার জুতার দোকানে ৫০ ভাগ ছাড়ে জুতা বিক্রয়ের ব্যবস্থা করেছে। যেখানে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।

লিলি বস্ত্রালয়ের মালিক কাপড় ব্যবসায়ী গোলাম কুদ্দুস বলেন, আমাদের এখানে ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০ টাকা পর্যন্ত জামাকাপড় পাওয়া যায়। মূলত নিম্ন আয়ের মানুষরাই আমাদের ত্রেতা। তাদের কাছে আমরা বেশি লাভ করি না।

গামারগলী কাপড় পট্রিতে কেনাকাট করতে আসেন গড় ইসলামপুরের রিকশাচালক আঙ্গুর মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। ভালো কোনো মার্কেটে যেতে পারি না। এই মার্কেটে অনেক কম দামে কাপড়-চোপড় কিনতে পারি। এতেই আমরা খুশি।

আটপুকুর থেকে আসা নুর বানু বলেন, হামরা গরিব মানুষ ভাই। এই ফুটপাতের দোকানে কেনাকাটা করি। এখানে কম দামে ভালো জিনিস পাওয়া যায়। দোকানদার আমিনুর মিয়া বলেন, আমরা এখানে বেশি দামের কাপড় উঠাই না। কারণ এখানে বড় লোকেরা আসে না। তবুও ঈদে ভালো ব্যবসা হচ্ছে।“

ফুলবাড়ী পৌর মেয়র আলহাজ¦ মোঃ মাহমুদ আলম লিটন বলেন, ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা যেন নির্ভিগ্নে চেকাকেনা করতে পারেন, সেজন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহয়তা আমরা চেয়েছি। ইতমধ্যে শহরের জনবহুল যায়গায় আনসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং পৌরসভা সর্বদা তৎপর রয়েছে।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পৌরশহরের পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। যেকোনো ধারণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মার্কেটগুলোতে পুলিশি নজরদারী চালানো হচ্ছে।

 

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

অভিনব কায়দায় পাচারের সময় গাঁজাসহ ০১ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

ফুলবাড়ী ঈদ বাজারে শেখ মুহুর্তে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।

আপডেট সময় ০৮:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

 

 

মোঃ হারুন-উর-রশীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে:
আর মাত্র দুই তিনদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহুর্তে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জমে উঠছে ঈদ বাজার। উপজেলার মার্কেট ও শপিংমলগুলতে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা। দিনে একটু ফাঁকা থাকলেও ইফতারের পর থেকে বাড়ছে মানুষের আনাগোনা।

ফুলবাড়ী রাজ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কেনাকাটা জমে উঠছে। এখন ক্রেতাদের মধ্যে কেনাকাটার আগ্রহ বেড়েছে।

কেনাকাটার জন্য নারী-পুরুষরা ভিড় করছেন শহরের নিমতলা মোড়ে, বাজার মসজিদ মার্কেট,রাজ মার্কেট, বনানী মার্কেট, গামারগলী কাপড়পট্রি মতো গুরুপ্তপূর্ণ মার্কেট গুলোতে। আর সেখানে দরদামে ব্যস্ত সময় পার করেছেন বিভিন্ন মার্কেটের দোকান মালিক ও কর্মচারীরা।

শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, ইফতারের পর পরই মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। নিজেদের পছন্দ মত কেনাকাটা করতে ব্যস্ত ক্রেতারা। দোকানিরা বলছেন, যেহেতু ঈদের আর বেশি দিন নেই, তাই ক্রেতা বেড়েছে।

চমক ফ্যাশানের মালিক সোহেল বলেন, এবারের ঈদ কালেকশন আগে থেকে স্টক করা রাখা হয়েছে। স্পেশাল কিছু প্রোডাক্ট এনেছি। গত বছর থেকে এ বছর আমাদের সালোয়ার-কামিজের মান ও ডিজাইন আরও উন্নত করা হয়েছে। এ ছাড়া এখানে শার্ট, প্যান্ট, জামদানি শাড়ি, সিল্ক শাড়ি, সুতি শাড়ি এবং মসলিন শাড়ি আছে। এবার মসলিনের সালোয়ার কামিজ পাওয়া যাচ্ছে, যা গতবার ছিল না। ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড় নিয়ে তিনি বলেন, সকালে ক্রেতার আনাগোনা কম থাকলেও  সন্ধ্যা থেকেই ক্রেতা বাড়তে থাকে। সামনে আরও বাড়বে বলে আশা করছি।

রাজ মার্কেটের কবির বোরখা হাউসের মালিক কবির সরকার বলেন, শুরু হয়েছে ঈদের আমেজ। মানুষ এখন ভালোই কেনাকাটা করছে। কারণ পরে যারা কিনতে আসে, তারা ঠিক মতো সাইজ পান না। এটা একটা সমস্যা।

গার্মেন্টস ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, তিন-চার দিন ধরে ক্রেতার উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের বেচা-বিক্রি আগের থেকে বেড়েছে। মার্কেটও জমজমাট হচ্ছে। এ ছাড়া তরুণরা ঈদের কেনাকাটার জন্য মার্কেটে বের হতে শুরু করেছে। কোন মার্কেটে নতুন ডিজাইনের কী আসলো তা নিশ্চিত হয়ে কিনতে চান তারা।

গৌরপাড়া গ্রাম থেকে আসা ক্রেতা সুজন বলেন, বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখছি পছন্দ হলে কিনে নেব। তাছাড়া প্রতিদিনই নতুন নতুন ড্রেস আসে, সেগুলো দেখে যাচ্ছি সিন্ধান্ত নিবো।

কাটাবাড়ী গ্রামের নাজমুন নাহার বলেন, সময় বের করে অল্প অল্প করে কিনে রেখেছি। পরিবারের সবার জন্যই কিনেছি। শেষ দিন মার্কেটে ভিড় বেশি হয়। তাই আগে ভাগে সব কেনাকাটা শেষ করেছি।

এদিকে অল্প আয়ের মানুষেরা জুতা কেনাকাটার জন্য ফুলবাড়ী সৌখিন সু-হাউস ভিড় করেছে সৌখিন সু-হাউসের মালিক সাবেক মেয়র মানিক সরকার তার জুতার দোকানে ৫০ ভাগ ছাড়ে জুতা বিক্রয়ের ব্যবস্থা করেছে। যেখানে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।

লিলি বস্ত্রালয়ের মালিক কাপড় ব্যবসায়ী গোলাম কুদ্দুস বলেন, আমাদের এখানে ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০ টাকা পর্যন্ত জামাকাপড় পাওয়া যায়। মূলত নিম্ন আয়ের মানুষরাই আমাদের ত্রেতা। তাদের কাছে আমরা বেশি লাভ করি না।

গামারগলী কাপড় পট্রিতে কেনাকাট করতে আসেন গড় ইসলামপুরের রিকশাচালক আঙ্গুর মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। ভালো কোনো মার্কেটে যেতে পারি না। এই মার্কেটে অনেক কম দামে কাপড়-চোপড় কিনতে পারি। এতেই আমরা খুশি।

আটপুকুর থেকে আসা নুর বানু বলেন, হামরা গরিব মানুষ ভাই। এই ফুটপাতের দোকানে কেনাকাটা করি। এখানে কম দামে ভালো জিনিস পাওয়া যায়। দোকানদার আমিনুর মিয়া বলেন, আমরা এখানে বেশি দামের কাপড় উঠাই না। কারণ এখানে বড় লোকেরা আসে না। তবুও ঈদে ভালো ব্যবসা হচ্ছে।“

ফুলবাড়ী পৌর মেয়র আলহাজ¦ মোঃ মাহমুদ আলম লিটন বলেন, ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা যেন নির্ভিগ্নে চেকাকেনা করতে পারেন, সেজন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহয়তা আমরা চেয়েছি। ইতমধ্যে শহরের জনবহুল যায়গায় আনসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং পৌরসভা সর্বদা তৎপর রয়েছে।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পৌরশহরের পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। যেকোনো ধারণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মার্কেটগুলোতে পুলিশি নজরদারী চালানো হচ্ছে।