কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি।
পিরোজপুরের কাউখালীতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। উপজেলা সদরের দোকান গুলোতে রমজানের মাঝামাঝি থেকে ক্রেতাদের ভিড় লেগেই আছে। কিন্তু দাম নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতাদের। তবে গুণগত মানের কারণে দাম একটু বেশি বলে দাবি করেছেন দোকানদাররা।
জানা গেছে, কাউখালী বন্দর ব্রিটিশ আমল থেকেই ঢাকা সহ বিভাগ ও জেলা শহরের সাথে পাল্লা দিয়ে ঈদের নতুন পোশাক বেচাকেনা করছে ব্যবসায়ীরা। এখানে ঈদ আয়োজনের কমতি নেই। সকল ধরনের পোশাক কাউখালীতে পাওয়া যাচ্ছে।
রমজানের মাঝামাঝির সময় ঈদ বাজারে ঢল নেমেছে। পছন্দের পোশাকের মধ্যে মেয়েদের বিশেষ আকর্ষণ নাহেরা, বাবা ড্রেস, দিল্লি বুুটিজ, জর্জের গ্লাসি। পাশাপাশি সিল্ক ও সুতির থ্রিপিস সহ রংবেরঙের শাড়ির চাহিদা রয়েছে। ছেলেদের পাঞ্জাবি, টি শার্ট, জিন্স প্যান্ট, পায়জামা সহ আকর্ষণীয় পোশাক রয়েছে দোকানগুলোতে।ক্রেতাদের সকল ধরনের পছন্দের পোশাক এই ঐতিহ্যবাহী কাউখালী বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
ক্রেতা মাসুম বিল্লাহ বলেন, গত বছরের চেয়ে দাম একটু বেশি তবে পছন্দের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষেরা ফুটপাত থেকে তাদের পছন্দের পোশাক কেনাকাটা করছে। জামা কাপড়ের সাথে বেড়েছে জুতার বেচাকেনা। তবে এবছর দাম যেন সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে। পছন্দের পোশাকের দাম নাগালের বাইরে থাকলেও ঈদে নতুন পোশাক কিনতে তো হবেই। দেড় হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে আকর্ষণীয় পোশাক। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্রেতা বিক্রেতারা।
উপজেলা শহরের বাসিন্দা মাহফুজ হোসেন বলেন, বাজারে সব ধরনের পোশাক রয়েছে। পছন্দ হচ্ছে কিন্তু দাম নাগালের বাহিরে। বেশি দামের কারণে অনেকেই কেনাকাটা করতে হিমশিম খাচ্ছে।
কচুয়াকাটি গ্রামের বাসিন্দা রাজিন সিকদার বলেন, আগে যে ড্রেস এক হাজার টাকা কিনতাম এখন তা ২ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে।
শহরের নূর বিতানের মালিক নুরুল আমিন বলেন, এ বছর গুণগতভাবে অনেক ভালো ড্রেস আমাদের দোকানে আছে। দাম একটু বেশি হলেও সকলের নাগালের ভিতরে রয়েছে। এখানে কিনতে এসে কেউ ফিরে যাচ্ছে না।