বাংলাদেশ ১১:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
শরীয়তপুর ২২ বছরের স্বামীর বাড়িতে ৪৩ বছর বয়সী স্ত্রীর অনশন। রাজশাহীতে সক্রিয় আমের সিন্ডিকেট, দাম হবে দ্বিগুন আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকাজ। সরকারী সফরে আসছেন পুলিশ প্রধান বৃহত্তর সি‌লে‌টের কৃতি সন্তান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ইসলাম অবমাননায় সাময়িক বহিষ্কার কুবি শিক্ষার্থী স্বপ্নীল ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় তার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল নাইক্ষংছড়িতে নির্বাচন হবে স্বচ্ছ-সুষ্ঠ-অবাধ-নিরপেক্ষ ব্যতায় ঘটলে দায়ী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রাঙ্গাবালী থানার কর্মকর্তার সাথে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সৌজন্য সাক্ষাৎ ড. সজীবকে সমর্থন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ালেন গিয়াস উদ্দিন  ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর পক্ষে নাইঘর বাসীর একাত্মতা প্রকাশ প্লাস্টিক বর্জ্যের বিনিময়ে পরিবেশ বান্ধব গাছ উপহার দিলো ঐক্য-বন্ধন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক সেবন নিয়ে মারামারি সালথার তরুণ কবি নাইমের কবিতা, আমিও মানুষ। রাজশাহীতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার শীর্ষক অ্যাডভোকেসী সম্মেলন রাঙ্গাবালীতে চেয়াম্যান প্রার্থীর ভাইয়ের মৃতুতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে নির্বাচনী প্রচারণা

পাঁচ মাস পর পঞ্চগড় জেলায় বৃষ্টি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
  • ১৬০৯ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

মোঃ আব্দল্লাহ আল মুকিম রাজু, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ

দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পঞ্চগড়ে ফসল আবাদ করতে কৃষকদের সমস্যা হচ্ছিল। গত মঙ্গলবার পাঁচ মাস পর জেলায় প্রথম বৃষ্টি হয়।

দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দীর্ঘ পাঁচ মাস পর স্বস্তির বৃষ্টিতে কৃষক আর চা-চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার দিনভর থেমে থেমে হওয়া এই বৃষ্টির মধ্যে কৃষকদের ফসলের খেতে সার ছিটাতে দেখা গেছে। গত মঙ্গলবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত জেলার পাঁচটি উপজেলায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে।

গতকাল বিকেলে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ দৈনিক বাংলার আলো নিউজ কে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় তেঁতুলিয়ায় ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে জেলার অন্য এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবেশি হতে পারে। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ১৪ অক্টোবর তেঁতুলিয়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। এরপর গত পাঁচ মাসে পঞ্চগড়ে আর বৃষ্টি হয়নি।

কৃষকেরা জানিয়েছেন, উত্তরের এই জেলার বেশির ভাগ মানুষই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া এখানে সমতল ভূমিতে চায়ের চাষ হয়। বর্তমানে জমিতে কৃষকেরা বাদাম, মরিচ, ভুট্টা, বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করেছেন। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় এসব ফসলের খেতে সেচ দিয়ে

কুলাতে পারছিলেন না কৃষকেরা। এ ছাড়া বৃষ্টি না হওয়ায় রাস্তাঘাট আর গাছের পাতায় ধুলা জমে বিবর্ণ হতে শুরু করেছিল। অবশেষে মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিকে আশীর্বাদ বলছেন কৃষকেরা।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের সরকারপাড়া এলাকার কৃষক মো. আলমগীর বলেন, মেলা দিন (অনেক দিন) তকা (থেকে) পানি (বৃষ্টি) নাই ভাই। মুই (আমি) চাইর (চার) বিঘা জমিত বাদাম, এক বিঘা জমিত ভুট্টা আর এক বিঘা জমিত মরিচ আবাদ কাইছু। এইবার পানি (বৃষ্টি) না হওয়াতে আবাদ লা ভাল হয়নি। একবার মেশিন (স্যালো মেশিন) দিয়ে পানি দিছু, কুনো লাভ হয়নি। পানির অভাবে সার দিবা পারু না। আইজকার পানিখান হয়ে খুপে উপকার হইল। আজি সকাল সকাল ইউরিয়া সার ছিটায় দিছু। এ্যালা আবাদের চেহারা ভালো হবে।

সদর উপজেলার চা-চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর মার্চ মাসেই বাগান থেকে কাঁচা চা-পাতা সংগ্রহ শুরু হয়। কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়ায় চা-বাগানগুলোতে বেশি সেচ দিতে হয়েছে। তারপরও তেমন পাতা হয়নি। তবে এবার বৃষ্টি হওয়াতে আমাদের চাষিদের মনে স্বস্তি ফিরেছে। এই বৃষ্টিতে চায়ের নতুন পাতা বৃদ্ধি পাবে।

পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুল মতিন বলেন, দীর্ঘদিন পরের এই বৃষ্টি কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে। জেলায় চাষ হওয়া বাদাম, ভুট্টা, মরিচ, বোরো ধানসহ সব আবাদের জন্যই এই বৃষ্টি উপকারী। বৃষ্টির পর কৃষকেরা ফসলের খেতে সার দিচ্ছেন। তবে যেসব গম পাকতে শুরু করেছে, বৃষ্টির কারণে সেগুলো কাটতে হয়তো কয়েক দিন দেরি হবে। এই বৃষ্টিতে বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি চা-চাষিরাও উপকৃত হবেন।

 

 

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

শরীয়তপুর ২২ বছরের স্বামীর বাড়িতে ৪৩ বছর বয়সী স্ত্রীর অনশন।

পাঁচ মাস পর পঞ্চগড় জেলায় বৃষ্টি

আপডেট সময় ০৯:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

 

 

 

 

মোঃ আব্দল্লাহ আল মুকিম রাজু, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ

দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পঞ্চগড়ে ফসল আবাদ করতে কৃষকদের সমস্যা হচ্ছিল। গত মঙ্গলবার পাঁচ মাস পর জেলায় প্রথম বৃষ্টি হয়।

দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দীর্ঘ পাঁচ মাস পর স্বস্তির বৃষ্টিতে কৃষক আর চা-চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার দিনভর থেমে থেমে হওয়া এই বৃষ্টির মধ্যে কৃষকদের ফসলের খেতে সার ছিটাতে দেখা গেছে। গত মঙ্গলবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত জেলার পাঁচটি উপজেলায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে।

গতকাল বিকেলে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ দৈনিক বাংলার আলো নিউজ কে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় তেঁতুলিয়ায় ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে জেলার অন্য এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবেশি হতে পারে। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ১৪ অক্টোবর তেঁতুলিয়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। এরপর গত পাঁচ মাসে পঞ্চগড়ে আর বৃষ্টি হয়নি।

কৃষকেরা জানিয়েছেন, উত্তরের এই জেলার বেশির ভাগ মানুষই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া এখানে সমতল ভূমিতে চায়ের চাষ হয়। বর্তমানে জমিতে কৃষকেরা বাদাম, মরিচ, ভুট্টা, বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করেছেন। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় এসব ফসলের খেতে সেচ দিয়ে

কুলাতে পারছিলেন না কৃষকেরা। এ ছাড়া বৃষ্টি না হওয়ায় রাস্তাঘাট আর গাছের পাতায় ধুলা জমে বিবর্ণ হতে শুরু করেছিল। অবশেষে মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিকে আশীর্বাদ বলছেন কৃষকেরা।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের সরকারপাড়া এলাকার কৃষক মো. আলমগীর বলেন, মেলা দিন (অনেক দিন) তকা (থেকে) পানি (বৃষ্টি) নাই ভাই। মুই (আমি) চাইর (চার) বিঘা জমিত বাদাম, এক বিঘা জমিত ভুট্টা আর এক বিঘা জমিত মরিচ আবাদ কাইছু। এইবার পানি (বৃষ্টি) না হওয়াতে আবাদ লা ভাল হয়নি। একবার মেশিন (স্যালো মেশিন) দিয়ে পানি দিছু, কুনো লাভ হয়নি। পানির অভাবে সার দিবা পারু না। আইজকার পানিখান হয়ে খুপে উপকার হইল। আজি সকাল সকাল ইউরিয়া সার ছিটায় দিছু। এ্যালা আবাদের চেহারা ভালো হবে।

সদর উপজেলার চা-চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর মার্চ মাসেই বাগান থেকে কাঁচা চা-পাতা সংগ্রহ শুরু হয়। কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়ায় চা-বাগানগুলোতে বেশি সেচ দিতে হয়েছে। তারপরও তেমন পাতা হয়নি। তবে এবার বৃষ্টি হওয়াতে আমাদের চাষিদের মনে স্বস্তি ফিরেছে। এই বৃষ্টিতে চায়ের নতুন পাতা বৃদ্ধি পাবে।

পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুল মতিন বলেন, দীর্ঘদিন পরের এই বৃষ্টি কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে। জেলায় চাষ হওয়া বাদাম, ভুট্টা, মরিচ, বোরো ধানসহ সব আবাদের জন্যই এই বৃষ্টি উপকারী। বৃষ্টির পর কৃষকেরা ফসলের খেতে সার দিচ্ছেন। তবে যেসব গম পাকতে শুরু করেছে, বৃষ্টির কারণে সেগুলো কাটতে হয়তো কয়েক দিন দেরি হবে। এই বৃষ্টিতে বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি চা-চাষিরাও উপকৃত হবেন।