বাংলাদেশ ০৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
রাজশাহীতে পা দিলে তোর লাশও খুজে পাওয়া যাবে না’ -ছাত্রলীগ নেতার হুমকি নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের বড় বাধা মাধ্যমিকের সাথে প্রাথমিক শাখা সংযুক্ত থাকা, ডাবল শিফট নয়! মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’। পঞ্চগড়ে ভারত থেকে আসা বিলুপ্ত প্রজাতির মদনটাক পাখি উদ্ধার শিকল অবমুক্তের সময় ৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা, প্রত্যাহারের দাবিতে পাথরঘাটায় মানববন্ধন পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ কুবি ধনবাড়ীতে মাটিবাহী ট্রাক ও অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ পটুয়াখালীতে ১৬ বছরেও সেনাপল্লীর প্লট বরাদ্দ বুঝে পায়ইনি ৪৬৭ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা। ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো অপশক্তি যড়যন্ত্র করে সফল হতে পারবে না- এমপি হিরো নরসিংদীতে গুলি করে ৬০ লাখ টাকা ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় টাকাসহ আটক-৩ পাথরঘাটায় ৩ দিন ধরে মাদরাসা ছাত্র নিখোঁজ প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য বিভাগের ন্যায় শিক্ষা বিভাগে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার মধ্যে সমতা থাকা বাঞ্ছনীয় কুবিতে প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করলো তিন শিক্ষক হত্যা মামলার ১২ আসামিকে গ্রেপ্তার করল র‌্যাব।

পাঁচ মাস পর পঞ্চগড় জেলায় বৃষ্টি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
  • ১৬০৭ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

মোঃ আব্দল্লাহ আল মুকিম রাজু, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ

দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পঞ্চগড়ে ফসল আবাদ করতে কৃষকদের সমস্যা হচ্ছিল। গত মঙ্গলবার পাঁচ মাস পর জেলায় প্রথম বৃষ্টি হয়।

দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দীর্ঘ পাঁচ মাস পর স্বস্তির বৃষ্টিতে কৃষক আর চা-চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার দিনভর থেমে থেমে হওয়া এই বৃষ্টির মধ্যে কৃষকদের ফসলের খেতে সার ছিটাতে দেখা গেছে। গত মঙ্গলবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত জেলার পাঁচটি উপজেলায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে।

গতকাল বিকেলে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ দৈনিক বাংলার আলো নিউজ কে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় তেঁতুলিয়ায় ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে জেলার অন্য এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবেশি হতে পারে। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ১৪ অক্টোবর তেঁতুলিয়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। এরপর গত পাঁচ মাসে পঞ্চগড়ে আর বৃষ্টি হয়নি।

কৃষকেরা জানিয়েছেন, উত্তরের এই জেলার বেশির ভাগ মানুষই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া এখানে সমতল ভূমিতে চায়ের চাষ হয়। বর্তমানে জমিতে কৃষকেরা বাদাম, মরিচ, ভুট্টা, বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করেছেন। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় এসব ফসলের খেতে সেচ দিয়ে

কুলাতে পারছিলেন না কৃষকেরা। এ ছাড়া বৃষ্টি না হওয়ায় রাস্তাঘাট আর গাছের পাতায় ধুলা জমে বিবর্ণ হতে শুরু করেছিল। অবশেষে মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিকে আশীর্বাদ বলছেন কৃষকেরা।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের সরকারপাড়া এলাকার কৃষক মো. আলমগীর বলেন, মেলা দিন (অনেক দিন) তকা (থেকে) পানি (বৃষ্টি) নাই ভাই। মুই (আমি) চাইর (চার) বিঘা জমিত বাদাম, এক বিঘা জমিত ভুট্টা আর এক বিঘা জমিত মরিচ আবাদ কাইছু। এইবার পানি (বৃষ্টি) না হওয়াতে আবাদ লা ভাল হয়নি। একবার মেশিন (স্যালো মেশিন) দিয়ে পানি দিছু, কুনো লাভ হয়নি। পানির অভাবে সার দিবা পারু না। আইজকার পানিখান হয়ে খুপে উপকার হইল। আজি সকাল সকাল ইউরিয়া সার ছিটায় দিছু। এ্যালা আবাদের চেহারা ভালো হবে।

সদর উপজেলার চা-চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর মার্চ মাসেই বাগান থেকে কাঁচা চা-পাতা সংগ্রহ শুরু হয়। কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়ায় চা-বাগানগুলোতে বেশি সেচ দিতে হয়েছে। তারপরও তেমন পাতা হয়নি। তবে এবার বৃষ্টি হওয়াতে আমাদের চাষিদের মনে স্বস্তি ফিরেছে। এই বৃষ্টিতে চায়ের নতুন পাতা বৃদ্ধি পাবে।

পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুল মতিন বলেন, দীর্ঘদিন পরের এই বৃষ্টি কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে। জেলায় চাষ হওয়া বাদাম, ভুট্টা, মরিচ, বোরো ধানসহ সব আবাদের জন্যই এই বৃষ্টি উপকারী। বৃষ্টির পর কৃষকেরা ফসলের খেতে সার দিচ্ছেন। তবে যেসব গম পাকতে শুরু করেছে, বৃষ্টির কারণে সেগুলো কাটতে হয়তো কয়েক দিন দেরি হবে। এই বৃষ্টিতে বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি চা-চাষিরাও উপকৃত হবেন।

 

 

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello

রাজশাহীতে পা দিলে তোর লাশও খুজে পাওয়া যাবে না’ -ছাত্রলীগ নেতার হুমকি

পাঁচ মাস পর পঞ্চগড় জেলায় বৃষ্টি

আপডেট সময় ০৯:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

 

 

 

 

মোঃ আব্দল্লাহ আল মুকিম রাজু, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ

দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পঞ্চগড়ে ফসল আবাদ করতে কৃষকদের সমস্যা হচ্ছিল। গত মঙ্গলবার পাঁচ মাস পর জেলায় প্রথম বৃষ্টি হয়।

দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দীর্ঘ পাঁচ মাস পর স্বস্তির বৃষ্টিতে কৃষক আর চা-চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার দিনভর থেমে থেমে হওয়া এই বৃষ্টির মধ্যে কৃষকদের ফসলের খেতে সার ছিটাতে দেখা গেছে। গত মঙ্গলবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত জেলার পাঁচটি উপজেলায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে।

গতকাল বিকেলে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ দৈনিক বাংলার আলো নিউজ কে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় তেঁতুলিয়ায় ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে জেলার অন্য এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবেশি হতে পারে। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ১৪ অক্টোবর তেঁতুলিয়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। এরপর গত পাঁচ মাসে পঞ্চগড়ে আর বৃষ্টি হয়নি।

কৃষকেরা জানিয়েছেন, উত্তরের এই জেলার বেশির ভাগ মানুষই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া এখানে সমতল ভূমিতে চায়ের চাষ হয়। বর্তমানে জমিতে কৃষকেরা বাদাম, মরিচ, ভুট্টা, বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করেছেন। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় এসব ফসলের খেতে সেচ দিয়ে

কুলাতে পারছিলেন না কৃষকেরা। এ ছাড়া বৃষ্টি না হওয়ায় রাস্তাঘাট আর গাছের পাতায় ধুলা জমে বিবর্ণ হতে শুরু করেছিল। অবশেষে মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিকে আশীর্বাদ বলছেন কৃষকেরা।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের সরকারপাড়া এলাকার কৃষক মো. আলমগীর বলেন, মেলা দিন (অনেক দিন) তকা (থেকে) পানি (বৃষ্টি) নাই ভাই। মুই (আমি) চাইর (চার) বিঘা জমিত বাদাম, এক বিঘা জমিত ভুট্টা আর এক বিঘা জমিত মরিচ আবাদ কাইছু। এইবার পানি (বৃষ্টি) না হওয়াতে আবাদ লা ভাল হয়নি। একবার মেশিন (স্যালো মেশিন) দিয়ে পানি দিছু, কুনো লাভ হয়নি। পানির অভাবে সার দিবা পারু না। আইজকার পানিখান হয়ে খুপে উপকার হইল। আজি সকাল সকাল ইউরিয়া সার ছিটায় দিছু। এ্যালা আবাদের চেহারা ভালো হবে।

সদর উপজেলার চা-চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর মার্চ মাসেই বাগান থেকে কাঁচা চা-পাতা সংগ্রহ শুরু হয়। কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়ায় চা-বাগানগুলোতে বেশি সেচ দিতে হয়েছে। তারপরও তেমন পাতা হয়নি। তবে এবার বৃষ্টি হওয়াতে আমাদের চাষিদের মনে স্বস্তি ফিরেছে। এই বৃষ্টিতে চায়ের নতুন পাতা বৃদ্ধি পাবে।

পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুল মতিন বলেন, দীর্ঘদিন পরের এই বৃষ্টি কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে। জেলায় চাষ হওয়া বাদাম, ভুট্টা, মরিচ, বোরো ধানসহ সব আবাদের জন্যই এই বৃষ্টি উপকারী। বৃষ্টির পর কৃষকেরা ফসলের খেতে সার দিচ্ছেন। তবে যেসব গম পাকতে শুরু করেছে, বৃষ্টির কারণে সেগুলো কাটতে হয়তো কয়েক দিন দেরি হবে। এই বৃষ্টিতে বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি চা-চাষিরাও উপকৃত হবেন।