বাংলাদেশ ০১:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধে প্রাণ গেল তিন জনের। ব্রাহ্মণপাড়ায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হাছান শরীফের পক্ষে দীর্ঘভূমি গ্রামে একাত্নতা ঘোষণা মোবাইল ফোন কলের মাধ্যমে ছাত্রকে ফাঁসানোর চেস্টা আপিলে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন ব্রাহ্মণপাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তাহমিনা হক পপি ভালুকায় সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  মুলাদীর আরিয়াল-খাঁ নদীতে অভিযান পরিচালনা করে বিষ প্রয়োগ মাছ ধরা ও অবৈধ কারেন্ট জাল সহ আটক-৩ পিস্তল দিয়ে ভয় দেখানোর ঘটনা বানোয়াট-মিথ্যাচার: গালিব ভান্ডারিয়ায় সার্বজনীন পেনশন স্কিম মেলার উদ্বোধন ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ পিরোজপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামানাত বাতিল হচ্ছে ১০ প্রার্থীর নওগাঁয় বজ্রপাতে এক ধানকাটা কৃষকের মৃত্যু  ফুলবাড়ী জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ দিবসের শুভ উদ্বোধন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রলীগ দখল করে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করেছে: ছাত্রদল সভাপতি ঝালকাঠিতে স্কুল ছাত্রীধর্ষণের ঘটনায় শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৮ হোসেনপুরে আবারো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হলেন সোহেল। 

নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদী থেকে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১৯:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • ১৬০৪ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে প্রভাবশালীদের হাত থেকে কুশিয়ারা ডাইক রক্ষা করবে কে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে উপজেলাবাসীর মনে। অবৈধভাবে দিনের পর দিন কুশিয়ারা নদী থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে বালি। নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা, রাধাপুর, (ফাতুল্লাহ) এলাকায় কুশিয়ারা নদী থেকে স্থানীয়দের বাধা অমান্য করে প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলনের লঙ্কাকান্ড চোখে পড়ারমত।
একদিক ৭শ কোটি টাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাধ নির্মাণ কাজ চলছে, অন্য দিকে বালু কেকুরা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে, মাসের পর মাস হেমন্ত সিজনে বাল উত্তোলন করছে তাদেরকে ঠেকানো ওই যাচ্ছেনা। স্থানীয় দের কেউ প্রতিবাদ করলেই মারমুকি আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ফাদুল্লা মতুরাপুর নামক স্থানে, কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে ডেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের মহাউৎসব চলছে, অন্য দিকে নদীভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ব্লক বসানো হচ্ছে।
সমাজপতিদের বাধা অমান্য করলেও একটি জিনিস লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাদের মধ্যে একটু হলেও প্রশাসনের বয় কাজ করছে, তারা দিনের বেলায় প্রশাসনের ভয়ে বালু বিক্রি না করলেও রাত ৮ থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ট্রাক প্রতি ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা ধরে নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বালু বিক্রি করা হয়।
যার ফলে বর্ষা মৌসুম আসলে নদীর দুপাড় ভেঙে যায় এবং নদীর তীরবর্তী বসবাসরত মানুষের ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীর পাড় সংরক্ষণ করতে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যায় হচ্ছে।
এসময় বালু উত্তোলনের কাজ করতে আসা নাম প্রকাশে অচ্ছিুক এক শ্রমিক বলেন, আমাদেরকে জনপ্রতি ৬শ টাকা দেওয়া হয় সেইজন্য আমরা বালু উত্তোলনে কাজ করতে এসেছি দিনের বেলায় প্রশাসনের ভয়ে বালু বিক্রি না করে রাত ৮ থেকে ভোর ৯ টা পর্যন্ত ৩০ থেকে ৫০ টি ট্রাক গাড়ি দিয়ে সারারাত বালু বিক্রি করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো এক ব্যক্তি বলেন, ইনাতগঞ্জে ভূমি অফিস রয়েছে অথচ কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বালু উত্তোলন কারী, রাধাপুর গ্রামের ফখরু মিয়া, ফাদুল্লা গ্রামের হাফিজ নজরুল ইসলাম ওরফে পিচ্ছি হাফিজ, কুমারখাদা গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন, দূর্গাপুর গ্রামের রুলামিন সহ তাদের দল।
সরজমিন গিয়ে প্রভাবশালী বালু তুলনকারীদের কে ফোন দিলে তারা বলেন আমরা লিজ এনেছি, কোথা থেকে লিজ এনেছেন এর কোন উত্তর না দিয়েই ফোন কেটে দেন।
এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) শাহিন দেলোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধভাবে কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলন কারিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অভিযান অব্যাহত আছে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধে প্রাণ গেল তিন জনের।

নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদী থেকে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

আপডেট সময় ০৫:১৯:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

 

 

 

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে প্রভাবশালীদের হাত থেকে কুশিয়ারা ডাইক রক্ষা করবে কে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে উপজেলাবাসীর মনে। অবৈধভাবে দিনের পর দিন কুশিয়ারা নদী থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে বালি। নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা, রাধাপুর, (ফাতুল্লাহ) এলাকায় কুশিয়ারা নদী থেকে স্থানীয়দের বাধা অমান্য করে প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলনের লঙ্কাকান্ড চোখে পড়ারমত।
একদিক ৭শ কোটি টাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাধ নির্মাণ কাজ চলছে, অন্য দিকে বালু কেকুরা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে, মাসের পর মাস হেমন্ত সিজনে বাল উত্তোলন করছে তাদেরকে ঠেকানো ওই যাচ্ছেনা। স্থানীয় দের কেউ প্রতিবাদ করলেই মারমুকি আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ফাদুল্লা মতুরাপুর নামক স্থানে, কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে ডেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের মহাউৎসব চলছে, অন্য দিকে নদীভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ব্লক বসানো হচ্ছে।
সমাজপতিদের বাধা অমান্য করলেও একটি জিনিস লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাদের মধ্যে একটু হলেও প্রশাসনের বয় কাজ করছে, তারা দিনের বেলায় প্রশাসনের ভয়ে বালু বিক্রি না করলেও রাত ৮ থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ট্রাক প্রতি ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা ধরে নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বালু বিক্রি করা হয়।
যার ফলে বর্ষা মৌসুম আসলে নদীর দুপাড় ভেঙে যায় এবং নদীর তীরবর্তী বসবাসরত মানুষের ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীর পাড় সংরক্ষণ করতে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যায় হচ্ছে।
এসময় বালু উত্তোলনের কাজ করতে আসা নাম প্রকাশে অচ্ছিুক এক শ্রমিক বলেন, আমাদেরকে জনপ্রতি ৬শ টাকা দেওয়া হয় সেইজন্য আমরা বালু উত্তোলনে কাজ করতে এসেছি দিনের বেলায় প্রশাসনের ভয়ে বালু বিক্রি না করে রাত ৮ থেকে ভোর ৯ টা পর্যন্ত ৩০ থেকে ৫০ টি ট্রাক গাড়ি দিয়ে সারারাত বালু বিক্রি করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো এক ব্যক্তি বলেন, ইনাতগঞ্জে ভূমি অফিস রয়েছে অথচ কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বালু উত্তোলন কারী, রাধাপুর গ্রামের ফখরু মিয়া, ফাদুল্লা গ্রামের হাফিজ নজরুল ইসলাম ওরফে পিচ্ছি হাফিজ, কুমারখাদা গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন, দূর্গাপুর গ্রামের রুলামিন সহ তাদের দল।
সরজমিন গিয়ে প্রভাবশালী বালু তুলনকারীদের কে ফোন দিলে তারা বলেন আমরা লিজ এনেছি, কোথা থেকে লিজ এনেছেন এর কোন উত্তর না দিয়েই ফোন কেটে দেন।
এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) শাহিন দেলোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধভাবে কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলন কারিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অভিযান অব্যাহত আছে।