প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ১০, ২০২৪, ১:৪২ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ১৯, ২০২৪, ৫:১৯ এ.এম
নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদী থেকে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে প্রভাবশালীদের হাত থেকে কুশিয়ারা ডাইক রক্ষা করবে কে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে উপজেলাবাসীর মনে। অবৈধভাবে দিনের পর দিন কুশিয়ারা নদী থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে বালি। নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা, রাধাপুর, (ফাতুল্লাহ) এলাকায় কুশিয়ারা নদী থেকে স্থানীয়দের বাধা অমান্য করে প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলনের লঙ্কাকান্ড চোখে পড়ারমত।
একদিক ৭শ কোটি টাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাধ নির্মাণ কাজ চলছে, অন্য দিকে বালু কেকুরা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে, মাসের পর মাস হেমন্ত সিজনে বাল উত্তোলন করছে তাদেরকে ঠেকানো ওই যাচ্ছেনা। স্থানীয় দের কেউ প্রতিবাদ করলেই মারমুকি আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ফাদুল্লা মতুরাপুর নামক স্থানে, কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে ডেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের মহাউৎসব চলছে, অন্য দিকে নদীভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ব্লক বসানো হচ্ছে।
সমাজপতিদের বাধা অমান্য করলেও একটি জিনিস লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাদের মধ্যে একটু হলেও প্রশাসনের বয় কাজ করছে, তারা দিনের বেলায় প্রশাসনের ভয়ে বালু বিক্রি না করলেও রাত ৮ থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ট্রাক প্রতি ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা ধরে নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বালু বিক্রি করা হয়।
যার ফলে বর্ষা মৌসুম আসলে নদীর দুপাড় ভেঙে যায় এবং নদীর তীরবর্তী বসবাসরত মানুষের ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীর পাড় সংরক্ষণ করতে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যায় হচ্ছে।
এসময় বালু উত্তোলনের কাজ করতে আসা নাম প্রকাশে অচ্ছিুক এক শ্রমিক বলেন, আমাদেরকে জনপ্রতি ৬শ টাকা দেওয়া হয় সেইজন্য আমরা বালু উত্তোলনে কাজ করতে এসেছি দিনের বেলায় প্রশাসনের ভয়ে বালু বিক্রি না করে রাত ৮ থেকে ভোর ৯ টা পর্যন্ত ৩০ থেকে ৫০ টি ট্রাক গাড়ি দিয়ে সারারাত বালু বিক্রি করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো এক ব্যক্তি বলেন, ইনাতগঞ্জে ভূমি অফিস রয়েছে অথচ কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বালু উত্তোলন কারী, রাধাপুর গ্রামের ফখরু মিয়া, ফাদুল্লা গ্রামের হাফিজ নজরুল ইসলাম ওরফে পিচ্ছি হাফিজ, কুমারখাদা গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন, দূর্গাপুর গ্রামের রুলামিন সহ তাদের দল।
সরজমিন গিয়ে প্রভাবশালী বালু তুলনকারীদের কে ফোন দিলে তারা বলেন আমরা লিজ এনেছি, কোথা থেকে লিজ এনেছেন এর কোন উত্তর না দিয়েই ফোন কেটে দেন।
এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) শাহিন দেলোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধভাবে কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলন কারিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪,ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]
দৈনিক বাংলার আলো নিউজ জিএমএস বাংলার আলো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।