বাংলাদেশ ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের প্ররোচনায় বেসরকারি শিক্ষকদেরকে মাঠে নামিয়ে সরকারকে বিব্রত করা পতিত স্বৈরাচারী সরকারকে পুনর্বাসনের নতুন কোনো অপচেষ্টা নয়তো? বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রাহুল হত্যা মামলার আসামী ইমাম আবু জাফর রজ্জবকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। বিপুল পরিমাণে ফেনসিডিলসহ ০২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। ভান্ডারিয়ায় সংবাদকর্মী বেলায়েত মুন্সীর ইন্তেকাল বোয়ালখালীতে ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলন নদীভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে: পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান শরীয়তপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি আমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল। মান্দায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত সিংগাইরে বড় ভাইয়ের বসতভিটায় জোরপূর্বক বিল্ডিং করার অভিযোগ রায়পুরায় ২০ কেজি গাঁজাসহ ২ নারী আটক বিসিএ শেফ অব দ্যা ইয়ার প্রতিযোগিতায় ৭৫ জন উদিয়মান শেফ এর অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত শলী বনানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ চাহিদা অনুযায়ী নেই বিদ্যুৎ; তবু গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি বিল ধনবাড়ীতে উপ‌জেলা বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ

গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য কাঁথাকে ফিরিয়ে আনার চেস্টা করছেন রায়গঞ্জের গৃহিণী ও কিশোরীরা

গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য কাঁথাকে ফিরিয়ে আনার চেস্টা করছেন রায়গঞ্জের গৃহিণী ও কিশোরীরা

 
মোঃ মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জঃ

সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থেকে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে সই-সুতা দিয়ে হাতে বানানো গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ কাঁথা। এক সময় দেখা যেতো উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের খেটে খাওয়া পরিবারের গৃহবধূ ও কিশোরীদের হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হতো নিত্য-নতুন এই গ্রামীণ কাঁথা। এই কাঁথায় তাদের হাতের ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তোলা হতো নানা রঙের নকশা। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে প্রায়।

 

তবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সৌখিন হিসাবে গ্রামের কিছু গৃহিণী ও কিশোরীদের হাতের বিভিন্ন ছাপ দেওয়ার মাধ্যমে সুই-সূতা দিয়ে নিত্য-নতুন কাঁথা বানানোর কাজ। অথচ এক সময় এই গ্রামীণ কাঁথা সেলাই করে সংসারও চালাতেন অনেকেই। আবার অনেকেই গ্রামের বিয়েতে কন্যার শ্বশুর বাড়িতে পাঠানোর জন্য গ্রামীণ কাঁথা সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাতো গ্রামাঞ্চলের নারীরা। সেই গ্রামীণ ঐতিহ্যকে পূনরায় ফিরিয়ে আনার চেস্টা করছেন উপজেলার অধিকাংশ গৃহিণী ও কিশোরীরা।

 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মনের মাধূরী মেশানো অনুভূতিতে কাঁথা সেলাই করছেন তারা। সুই আর লাল, নীল, সবুজ, হলুদসহ কয়েক রঙের সুতায় নান্দনিকতার মাধ্যমে বিভিন্ন নকশায় ফুটিয়ে তুলছেন এই কাঁথা। এ যেনো শিল্পী,  রুপকার এবং কারিগর তারা নিজেরাই। উপজেলার নিমগাছি, ধানঘড়া, ভ্রম্যগাছা ও পাঙ্গাসী এলাকার নাম প্রকাশে কয়েকজন গৃহিণী জানান, আগে এক সময় এই কাঁথা সেলাই করে সংসার চালানোর পাশাপাশি বাড়তি আয় করা যেতো। এখন দেশি  বিদেশি কম্বল, লেপ-তোশক আশায় এসব কাঁথা প্রায় হারিয়ে গেছে।

 

এখন এসব কাঁথা সংসারের কাজের ফাকে ও সখের বসে আমরা সেলাই করছি। তবে এখনো অর্থনৈতিক কর্মকান্ড হিসেবে উৎপাদন, আয় বৃদ্ধি ও নতুন কর্মসংস্হান তৈরির ক্ষেত্র হিসেবে এই খাতের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সংস্হা এগিয়ে আসলে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী এ কাঁথাকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন উপজেলার গৃহিণী ও কিশোরীরা।

জনপ্রিয় সংবাদ

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের প্ররোচনায় বেসরকারি শিক্ষকদেরকে মাঠে নামিয়ে সরকারকে বিব্রত করা পতিত স্বৈরাচারী সরকারকে পুনর্বাসনের নতুন কোনো অপচেষ্টা নয়তো?

গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য কাঁথাকে ফিরিয়ে আনার চেস্টা করছেন রায়গঞ্জের গৃহিণী ও কিশোরীরা

আপডেট সময় ০১:০২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২

 
মোঃ মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জঃ

সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থেকে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে সই-সুতা দিয়ে হাতে বানানো গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ কাঁথা। এক সময় দেখা যেতো উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের খেটে খাওয়া পরিবারের গৃহবধূ ও কিশোরীদের হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হতো নিত্য-নতুন এই গ্রামীণ কাঁথা। এই কাঁথায় তাদের হাতের ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তোলা হতো নানা রঙের নকশা। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে প্রায়।

 

তবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সৌখিন হিসাবে গ্রামের কিছু গৃহিণী ও কিশোরীদের হাতের বিভিন্ন ছাপ দেওয়ার মাধ্যমে সুই-সূতা দিয়ে নিত্য-নতুন কাঁথা বানানোর কাজ। অথচ এক সময় এই গ্রামীণ কাঁথা সেলাই করে সংসারও চালাতেন অনেকেই। আবার অনেকেই গ্রামের বিয়েতে কন্যার শ্বশুর বাড়িতে পাঠানোর জন্য গ্রামীণ কাঁথা সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাতো গ্রামাঞ্চলের নারীরা। সেই গ্রামীণ ঐতিহ্যকে পূনরায় ফিরিয়ে আনার চেস্টা করছেন উপজেলার অধিকাংশ গৃহিণী ও কিশোরীরা।

 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মনের মাধূরী মেশানো অনুভূতিতে কাঁথা সেলাই করছেন তারা। সুই আর লাল, নীল, সবুজ, হলুদসহ কয়েক রঙের সুতায় নান্দনিকতার মাধ্যমে বিভিন্ন নকশায় ফুটিয়ে তুলছেন এই কাঁথা। এ যেনো শিল্পী,  রুপকার এবং কারিগর তারা নিজেরাই। উপজেলার নিমগাছি, ধানঘড়া, ভ্রম্যগাছা ও পাঙ্গাসী এলাকার নাম প্রকাশে কয়েকজন গৃহিণী জানান, আগে এক সময় এই কাঁথা সেলাই করে সংসার চালানোর পাশাপাশি বাড়তি আয় করা যেতো। এখন দেশি  বিদেশি কম্বল, লেপ-তোশক আশায় এসব কাঁথা প্রায় হারিয়ে গেছে।

 

এখন এসব কাঁথা সংসারের কাজের ফাকে ও সখের বসে আমরা সেলাই করছি। তবে এখনো অর্থনৈতিক কর্মকান্ড হিসেবে উৎপাদন, আয় বৃদ্ধি ও নতুন কর্মসংস্হান তৈরির ক্ষেত্র হিসেবে এই খাতের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সংস্হা এগিয়ে আসলে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী এ কাঁথাকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন উপজেলার গৃহিণী ও কিশোরীরা।