সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থেকে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে সই-সুতা দিয়ে হাতে বানানো গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ কাঁথা। এক সময় দেখা যেতো উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের খেটে খাওয়া পরিবারের গৃহবধূ ও কিশোরীদের হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হতো নিত্য-নতুন এই গ্রামীণ কাঁথা। এই কাঁথায় তাদের হাতের ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তোলা হতো নানা রঙের নকশা। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে প্রায়।
তবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সৌখিন হিসাবে গ্রামের কিছু গৃহিণী ও কিশোরীদের হাতের বিভিন্ন ছাপ দেওয়ার মাধ্যমে সুই-সূতা দিয়ে নিত্য-নতুন কাঁথা বানানোর কাজ। অথচ এক সময় এই গ্রামীণ কাঁথা সেলাই করে সংসারও চালাতেন অনেকেই। আবার অনেকেই গ্রামের বিয়েতে কন্যার শ্বশুর বাড়িতে পাঠানোর জন্য গ্রামীণ কাঁথা সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাতো গ্রামাঞ্চলের নারীরা। সেই গ্রামীণ ঐতিহ্যকে পূনরায় ফিরিয়ে আনার চেস্টা করছেন উপজেলার অধিকাংশ গৃহিণী ও কিশোরীরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মনের মাধূরী মেশানো অনুভূতিতে কাঁথা সেলাই করছেন তারা। সুই আর লাল, নীল, সবুজ, হলুদসহ কয়েক রঙের সুতায় নান্দনিকতার মাধ্যমে বিভিন্ন নকশায় ফুটিয়ে তুলছেন এই কাঁথা। এ যেনো শিল্পী, রুপকার এবং কারিগর তারা নিজেরাই। উপজেলার নিমগাছি, ধানঘড়া, ভ্রম্যগাছা ও পাঙ্গাসী এলাকার নাম প্রকাশে কয়েকজন গৃহিণী জানান, আগে এক সময় এই কাঁথা সেলাই করে সংসার চালানোর পাশাপাশি বাড়তি আয় করা যেতো। এখন দেশি বিদেশি কম্বল, লেপ-তোশক আশায় এসব কাঁথা প্রায় হারিয়ে গেছে।
এখন এসব কাঁথা সংসারের কাজের ফাকে ও সখের বসে আমরা সেলাই করছি। তবে এখনো অর্থনৈতিক কর্মকান্ড হিসেবে উৎপাদন, আয় বৃদ্ধি ও নতুন কর্মসংস্হান তৈরির ক্ষেত্র হিসেবে এই খাতের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সংস্হা এগিয়ে আসলে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী এ কাঁথাকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন উপজেলার গৃহিণী ও কিশোরীরা।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]