কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের উলিপুরে রেজিয়া বেগম (৫০) নামের এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় স্বামী বাড়িতে না থাকায় রহস্যজনক এ মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রাজাল। ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার (৩১ মে) উপজেলার যমুনা ফকিরপাড়া গ্রামে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের যমুনা ফকিরপাড়া গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে নুর জামাল (৪৫) প্রায় দেড় বছর পূর্বে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোঘলবাসা ইউনিয়নের দামদারপাড় এলাকার রেজিয়া বেগম (৫০) এর সাথে সম্পর্ক করে বিয়ে করেন। উভয়ের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রী সন্তানসহ পিতার বাড়িতে চলে যান। তখন থেকে নুর জামাল ও রেজিয়া বেগম বাড়িতে থাকতেন। বুধবার সকালে স্থানীয়রা নুর জামালের শয়ন ঘরের বাহিরে এক কোনায় রেজিয়া বেগমের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় নুর জামাল বাড়িতে না থাকায় মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রাজাল। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করেন। নুর জামালের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর তিন সন্তান রয়েছে।
দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে স্ত্রী রেজিয়া বেগমকে স্বামী নুর জামাল বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতেন বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। এদিকে স্বামী নুর জামাল পলাতক থাকায় স্থানীয়দের ধারনা, ওই গৃহবধুকে হত্যা করে ঘরের বাহিরে লাশ ফেলে রেখে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য আনিছুর রহমান ফাঁকা বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন, মরদেহ উদ্ধারের সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।