বাংলাদেশ ১০:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
অভিযোগের ব্যাপারে যা বললেন অধ্যাপক ড. শরীফুল করিম বাবুগঞ্জে গৃহবধূ আত্ম হত্যা নয়, হত্যা।অভিযোগ গৃহবধু শিউলির পরিবারের দৌলতখানে জয়নুল আবদীন ল্যাবরেটরীতে আড়ম্বরপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন বদলগাছী থানার নবাগত ওসি।  সাবেক এমপির ভাঙচুরকৃত কবর পরিদর্শনে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ গৌরনদীতে চাঁদাবাজি মামলা করে বাদী বিপাকে পরে বসত ভিটা ছাড়ার অভিযোগ অবশেষে শিক্ষক কনিকা মুখার্জির অলিখিত সাদা কাগজে সই দিয়ে পদত্যাগ পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় কয়রায় অনলাইন জুয়া ও পারিবারিক কলহে যুবকের আত্মহত্যা সিলেট বিভাগে নারী আন্দোলনের দামিনামা নিয়ে আলোচনা। বুড়িচংয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হোসেনপুরে ঈদেমিল্লাদুন্নবী উপলক্ষে হামদ নাথ কেরাত গজল প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত ০৮ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পলাতক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন আসামী গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। পিরোজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচনা সভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭

নওগাঁয় মাটি কাটার পরিবর্তে ধান কেটে নিলেন চেয়ারম্যান,

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:১৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
  • ১৬১৪ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু নওগাঁ প্রতিনিধি,

নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় ইজিপিপি প্রকল্পের তালিকাভুক্ত প্রায় ৯৫ জন শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও, মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে প্রায় ৬০ জন শ্রমিক। এই প্রকল্পের বাঁকি প্রায় ৩৫ জন শ্রমিকের টাকা কে বা কারা নিচ্ছে এটাও যেন রহস্য।

 

 

 

 

 

এই প্রকল্পে চলছে ব্যাপক অনিয়ম। জানা গেছে, গত ২৭ শে মে শনিবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সারোয়ার কামাল চঞ্চলের নানা শশুর বাড়ি পত্নীতলা উপজেলায় ধান কাটার জন্য ২৬ জন শ্রমিক কে নিয়ে যায়। পত্নীতলার নজিপুর এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় চেয়ারম্যানের নানা শ্বশুরের জমি নিয়ে চলছিল বিরোধ এই বিরোধ বা মামলা চলাকালীন সম্পত্তির ধান জবরদস্তি করে কাটার জন্যই কর্মসূচির শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

 

 

 

 

 

শ্রমিকদের মধ্যে হেলাল, জেমি সহ বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমাদের ইউনিয়নে এই প্রকল্পে পঁচানব্বই জনের নাম থাকলেও আমরা প্রায় ষাট জন প্রতিদিন কাজ করে থাকি বাঁকীরা কাজে আসে না। আর শনিবার চেয়ারম্যান তার নানা শশুড় বাড়ির ধান কাটার কথা বলে ট্রাকে করে আমাদের নজিপুর নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে জমির অর্ধেক ধান কাটা হলে এলাকার বেশ কিছু লোকজন এসে বাধা প্রদান করে। ঐ এলাকার এক মহিলা বলেন, এই ধান আমরা কষ্ট করে লাগিয়েছি আপনারা কোথা থেকে এসে আমাদরে ধান কাটছেন। তখন আমরা জানতে পারি মামলা চলা জমিতে চেয়ারম্যান জোর করে ধান কাটার জন্য আমাদের নিয়ে গেছেন। আমরা ধান কাটা বন্ধ করি, এক পর্যায়ে পত্নীতলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আমাদের কে চেয়ারম্যান নিয়ে চলে আসেন।

 

 

 

 

 

এ বিষয়ে বক্তারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সারোয়ার কামাল চঞ্চল কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ভূয়া খবর, বাংলাদেশের যেকোন জায়গায় আমার কর্মসূচি প্রকল্পের লোক দিয়ে কাজ করাতে পারি।

 

 

 

 

 

নওগাঁ সদর উপজেলার প্রকল্প অফিসার মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান যা করেছে তা নিয়ম নিতী বহির্ভূত কাজ। আমরা ইতিমধ্যেই তালিকা করেছি প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা বিল বন্ধ করবো এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

 

 

 

 

নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দিন বলেন, ইতিমধ্যেই বিষয়টি আমি জেনেছি তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

অভিযোগের ব্যাপারে যা বললেন অধ্যাপক ড. শরীফুল করিম

নওগাঁয় মাটি কাটার পরিবর্তে ধান কেটে নিলেন চেয়ারম্যান,

আপডেট সময় ০৭:১৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

 

মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু নওগাঁ প্রতিনিধি,

নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় ইজিপিপি প্রকল্পের তালিকাভুক্ত প্রায় ৯৫ জন শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও, মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে প্রায় ৬০ জন শ্রমিক। এই প্রকল্পের বাঁকি প্রায় ৩৫ জন শ্রমিকের টাকা কে বা কারা নিচ্ছে এটাও যেন রহস্য।

 

 

 

 

 

এই প্রকল্পে চলছে ব্যাপক অনিয়ম। জানা গেছে, গত ২৭ শে মে শনিবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সারোয়ার কামাল চঞ্চলের নানা শশুর বাড়ি পত্নীতলা উপজেলায় ধান কাটার জন্য ২৬ জন শ্রমিক কে নিয়ে যায়। পত্নীতলার নজিপুর এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় চেয়ারম্যানের নানা শ্বশুরের জমি নিয়ে চলছিল বিরোধ এই বিরোধ বা মামলা চলাকালীন সম্পত্তির ধান জবরদস্তি করে কাটার জন্যই কর্মসূচির শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

 

 

 

 

 

শ্রমিকদের মধ্যে হেলাল, জেমি সহ বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমাদের ইউনিয়নে এই প্রকল্পে পঁচানব্বই জনের নাম থাকলেও আমরা প্রায় ষাট জন প্রতিদিন কাজ করে থাকি বাঁকীরা কাজে আসে না। আর শনিবার চেয়ারম্যান তার নানা শশুড় বাড়ির ধান কাটার কথা বলে ট্রাকে করে আমাদের নজিপুর নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে জমির অর্ধেক ধান কাটা হলে এলাকার বেশ কিছু লোকজন এসে বাধা প্রদান করে। ঐ এলাকার এক মহিলা বলেন, এই ধান আমরা কষ্ট করে লাগিয়েছি আপনারা কোথা থেকে এসে আমাদরে ধান কাটছেন। তখন আমরা জানতে পারি মামলা চলা জমিতে চেয়ারম্যান জোর করে ধান কাটার জন্য আমাদের নিয়ে গেছেন। আমরা ধান কাটা বন্ধ করি, এক পর্যায়ে পত্নীতলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আমাদের কে চেয়ারম্যান নিয়ে চলে আসেন।

 

 

 

 

 

এ বিষয়ে বক্তারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সারোয়ার কামাল চঞ্চল কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ভূয়া খবর, বাংলাদেশের যেকোন জায়গায় আমার কর্মসূচি প্রকল্পের লোক দিয়ে কাজ করাতে পারি।

 

 

 

 

 

নওগাঁ সদর উপজেলার প্রকল্প অফিসার মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান যা করেছে তা নিয়ম নিতী বহির্ভূত কাজ। আমরা ইতিমধ্যেই তালিকা করেছি প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা বিল বন্ধ করবো এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

 

 

 

 

নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দিন বলেন, ইতিমধ্যেই বিষয়টি আমি জেনেছি তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।