মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সাহেবের চর গ্রামের তিন সহোদর খাইরুল ইসলাম (৪০) আব্দুল হামিদ (৩৫) ও সারোয়ার হোসেন সাহিদ (৩০)চাকরি করেন সৌদি আরবের দাম্মাম আল হাচা শহরে। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা সামিম আহমেদ হলিবির প্রতিষ্ঠানে।খাইরুল ২০ বছর মাজ্রা (বাগানে) হামিদ ৭ বছর মাজ্রায় ও সাহিদ ৭ বছর ধরে গাড়ী চালকের কাজ করছেন সেখানে। তিন জনই উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের সাহেবের চর গ্রামের মৃত. চান মিয়ার ছেলে। দীর্ঘদিন একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবাদে কপিল (মালিক) সামিম আহমেদ হলিবির সঙ্গে একটা সখ্যতা গড়ে উঠে তাদের। অর্জন করেছেন সৌদি মালিকের আস্থা ও ভালবাসা। সন্তানের ন্যায় যত্ন করেন তাদের। তাইতো সেই সম্পর্কের টানে বাংলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার আগ্রহ নিয়ে কর্মচারীদের বাড়ী। ছুটে এসেছেন বাংলাদেশে।
গত সোমবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সৌদি আরবের একটি ফ্লাইটে করে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন ভোর ৪ টায়। সৌদি নাগরিক সামিম আহমেদ হলিবি ও তার ছেলে আব্দুল লিলা হলিবি এবং সাথে ছিলেন বাংলাদেশি কর্মচারী খাইরুল।
পরে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে উপজেলার পৌর এলাকার ঢেকিয়া খেলার মাঠে এসে নামেন তারা সকাল ১০ টায়। সেখানে সৌদি মালিক ও তার ছেলেকে দেখতে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানান গ্রামবাসী। পরে প্রাইভেট কারে চড়ে কর্মচারীদের পৌর এলার বাসায় যান। তিন দিন থেকে ঘুরে ঘুরে দেখবেন বাংলাদেশের গ্রাম গুলি।
বাংলাদেশে এসে কেমন লাগলো এমন প্রশ্নে সামিম আহমেদ হলিবি বলেন, আমার খুবই ভালো লেগেছে। বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি সবচেয়ে খুশি। তারা (খাইরুল, হামিদ, সাহিদ) শুধু আমার কর্মচারী না আমার সন্তানের মতো।
তিনি আরও বলেন, সততা ও বিনয়ীর জন্য এবং আমার প্রতিষ্ঠানের সম্মান বজায় রাখার জন্য তাদের ওপর আমি অনেক বেশি নির্ভরশীল।
প্রবাসী কর্মচারী আব্দুল হামিদ বলেন, আমাদের বাড়ীতে আমাদের কপিল (মালিক) আসছে আমরা আনন্দিত। উনারা (মালিক ও তার ছেলে) কয়েকদিন থেকে আমাদের গ্রাম শহর ঘুরে দেখবেন, আমাদের দেশীয় কৃষ্টি -সংস্কৃতি সম্পর্কে জানবে, বাঙগালী খাবারেরর স্বাদ নিতে চান। আমি এক সপ্তাহ আগে দেশে আসছি, আমার বড় ভাই আসছে সৌদি মেহমানদের সাথে।