বাংলাদেশ ০৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ভালুকায় ৪০০ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার গ্রেফতার- ২ পীরগঞ্জে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে মুখ খুলছেনা ভোটার সিলেট জেলা বিএনপির বিবৃতি সিসিকের হোল্ডিং ট্যাক্স সাধারণ মানুষের উপর ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ কালকিনিতে বজ্রপাতে প্রতিবন্ধীর নিহতের পরিবার পেল আর্থিক সহায়তা ব্যালট পেপারে প্রতীক ছবি ভুল, নির্বাচন কর্মকর্তা বদলি বিষধর রাসেল’স ভাইপার সাপের কামড়ে প্রাণ গেল রাবি শিক্ষার্থীর ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পেলো সলঙ্গার নাঈম সিংড়ায় ধানবাহী ট্রাক্টরের চাঁপা পড়ে চালক নিহত অজ্ঞাত পরিচয়ে একটি একটি লাশ পাওয়া গিয়েছে। জারুলের বেগুনি আভায় সেজেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কুবি শিক্ষক সমিতির দ্বিতীয়দিনের অবস্থান কর্মসূচী পালন অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে বাবুবাজার হতে ০৩ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। হরিপুর থানা, ঠাকুরগাঁও এর আয়োজনে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ (১ম পর্যায়) উপলক্ষে নিরাপত্তা ফেনসিডিল সহ ০১ জন আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

অসময়ে যমুনায় ভাঙন : অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৪১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • ১৬৩৩ বার পড়া হয়েছে

অসময়ে যমুনায় ভাঙন : অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন

 

 

 

আসাদুর রহমান, এনায়েতপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
যমুনায় পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে যমুনা অধ্যুষিত খুকনী ও জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, ব্রাক্ষণগ্রাম, আড়কান্দি ও পারামোহনপুর এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত ২ সপ্তাহে এসব এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি যমুনার কড়াল গ্রাসে বিলীন হয়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৬শ’ ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এনায়েতপুর স্পার থেকে  হাটপাঁচিল পর্যন্ত প্রাায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার নদীর পাড় জুড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প একেনেকে অনুমোদিত হয়। এরপর টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে ২৬ টি প্যাকেজে ওই বাঁধ নিমাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু ভাঙন রোধে যথাসময়ে কাজ না করায় এসব এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা দিনদিন বাড়ছে। ফলে বদলে যাচ্ছে এনায়েতপুর মানচিত্র। এ কারণে যমুনানদী তীরবর্তী ওইসব এলাকার সাধারন মানুষের বতমানে দিন কাটছে চরম উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায়! দেখার কেউ নেই !
থানার জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের ভাঙন কবলিত এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভাঙন রোধে প্রায় এক বছর হলো বাঁধের কাজ শুররু হলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। যখন ভাঙন শুরু হয়, তখন ভাঙন কবলিত স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হলেও ভাঙনের তান্ডবলীলা থামানো সম্ভব হচ্ছে না। গত বছরও নদী ভাঙনে এলাকার প্রায় তিন শতাধিক বাড়ি ঘর, ফসলি জমি, স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ, নদী গর্ভে বিলীন হয়। বিশেষ করে জালালপুর, আরকান্দি ও ব্রাক্ষণগ্রামে ভাঙনের ভয়াবহতা বেশি পরিলক্ষিত হয়। জালালপুর আবাসন প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামও যমুনায় বিলীন হয়। এলাকাবাসীর দাবি, সময়মতো বাঁধ নির্মাণ করা হলে এসব এলাকা ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেতো ও এলাকাবাসীর ক্ষয়ক্ষতির হারও কমে যেতো।
ভাঙন কবলিত এলাকার শহিদ আলী সিকদার, আব্দুস সালাম, মনিরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, আবু বক্কার, নুরুজ্জামান, গ্যাদনসহ বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, নদীপাড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য গত বছর আমাদের কৃষি জমিতে ঠিকাদাররা বালু স্তুপ করে রাখে। কিন্তু পরে স্তুপকৃত সেই বালু দিয়ে নির্মাণ কাজে ব্যবহার না করে ট্রাকযোগে বিক্রি করা হচ্ছে। যথাসময়ে বাঁধ নির্মাণ না করায় আসন্ন বন্যায় নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারানোর শঙ্কায় বর্তমানে অতি দুঃশ্চিন্তায় আমাদের দিন কাটছে।
জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ জানান, যমুনায় পানি বৃদ্ধিতে খুকনী ও জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, ব্রাক্ষণগ্রাম, আড়কান্দি ও পারামোহনপুর এলাকায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি যমুনায় বিলীন হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো মানবেতর দিনযাপন করছে। গত ২ সপ্তাহে নূর হোসেন, নূর ইসলাম, সিদ্দিক, মনতাজ, হাসমত, হোসেন আলীসহ অনেকেরই ঘরবাড়ি, জমিজমা যমুনায় বিলীন হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রণজিত কুমার সরকার বলেন, গত বছর এনায়েতপুর থেকে হাটপাঁচিল পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু জুন মাসের শুরুতে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধিতে কাজ বন্ধ রাখে ঠিকাদারেরা। তবে ২৬টি প্যাকেজের মধ্যে ৭টি প্যাকেজের কাজ চলমান রয়েছে। অন্যান্য প্যাকেজ গুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্যাকেজের ঠিকাদাররা কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিছুদিন আগে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী প্রকল্পটি পরিদর্শন করে তীব্র ভাঙন প্রবণ এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে নদীপাড় সংরক্ষণের নির্দেশ দেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, এনায়েতপুর থেকে হাটপাঁচিল পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত রয়েছে। সঠিক সময়েই বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন জানান, ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। সেইসাথে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করতেও বলা হয়েছে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ভালুকায় ৪০০ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার গ্রেফতার- ২

অসময়ে যমুনায় ভাঙন : অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন

আপডেট সময় ১১:৪১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

 

 

 

আসাদুর রহমান, এনায়েতপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
যমুনায় পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে যমুনা অধ্যুষিত খুকনী ও জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, ব্রাক্ষণগ্রাম, আড়কান্দি ও পারামোহনপুর এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত ২ সপ্তাহে এসব এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি যমুনার কড়াল গ্রাসে বিলীন হয়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৬শ’ ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এনায়েতপুর স্পার থেকে  হাটপাঁচিল পর্যন্ত প্রাায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার নদীর পাড় জুড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প একেনেকে অনুমোদিত হয়। এরপর টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে ২৬ টি প্যাকেজে ওই বাঁধ নিমাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু ভাঙন রোধে যথাসময়ে কাজ না করায় এসব এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা দিনদিন বাড়ছে। ফলে বদলে যাচ্ছে এনায়েতপুর মানচিত্র। এ কারণে যমুনানদী তীরবর্তী ওইসব এলাকার সাধারন মানুষের বতমানে দিন কাটছে চরম উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায়! দেখার কেউ নেই !
থানার জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের ভাঙন কবলিত এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভাঙন রোধে প্রায় এক বছর হলো বাঁধের কাজ শুররু হলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। যখন ভাঙন শুরু হয়, তখন ভাঙন কবলিত স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হলেও ভাঙনের তান্ডবলীলা থামানো সম্ভব হচ্ছে না। গত বছরও নদী ভাঙনে এলাকার প্রায় তিন শতাধিক বাড়ি ঘর, ফসলি জমি, স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ, নদী গর্ভে বিলীন হয়। বিশেষ করে জালালপুর, আরকান্দি ও ব্রাক্ষণগ্রামে ভাঙনের ভয়াবহতা বেশি পরিলক্ষিত হয়। জালালপুর আবাসন প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামও যমুনায় বিলীন হয়। এলাকাবাসীর দাবি, সময়মতো বাঁধ নির্মাণ করা হলে এসব এলাকা ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেতো ও এলাকাবাসীর ক্ষয়ক্ষতির হারও কমে যেতো।
ভাঙন কবলিত এলাকার শহিদ আলী সিকদার, আব্দুস সালাম, মনিরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, আবু বক্কার, নুরুজ্জামান, গ্যাদনসহ বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, নদীপাড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য গত বছর আমাদের কৃষি জমিতে ঠিকাদাররা বালু স্তুপ করে রাখে। কিন্তু পরে স্তুপকৃত সেই বালু দিয়ে নির্মাণ কাজে ব্যবহার না করে ট্রাকযোগে বিক্রি করা হচ্ছে। যথাসময়ে বাঁধ নির্মাণ না করায় আসন্ন বন্যায় নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারানোর শঙ্কায় বর্তমানে অতি দুঃশ্চিন্তায় আমাদের দিন কাটছে।
জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ জানান, যমুনায় পানি বৃদ্ধিতে খুকনী ও জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, ব্রাক্ষণগ্রাম, আড়কান্দি ও পারামোহনপুর এলাকায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি যমুনায় বিলীন হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো মানবেতর দিনযাপন করছে। গত ২ সপ্তাহে নূর হোসেন, নূর ইসলাম, সিদ্দিক, মনতাজ, হাসমত, হোসেন আলীসহ অনেকেরই ঘরবাড়ি, জমিজমা যমুনায় বিলীন হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রণজিত কুমার সরকার বলেন, গত বছর এনায়েতপুর থেকে হাটপাঁচিল পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু জুন মাসের শুরুতে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধিতে কাজ বন্ধ রাখে ঠিকাদারেরা। তবে ২৬টি প্যাকেজের মধ্যে ৭টি প্যাকেজের কাজ চলমান রয়েছে। অন্যান্য প্যাকেজ গুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্যাকেজের ঠিকাদাররা কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিছুদিন আগে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী প্রকল্পটি পরিদর্শন করে তীব্র ভাঙন প্রবণ এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে নদীপাড় সংরক্ষণের নির্দেশ দেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, এনায়েতপুর থেকে হাটপাঁচিল পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত রয়েছে। সঠিক সময়েই বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন জানান, ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। সেইসাথে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করতেও বলা হয়েছে।