ঢাকা ০৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
বরিশালের কাজিরহাট থানায় মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়ারুদের আড্ডা, প্রশাসন নিরব।  নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু মেম্বারকে টাকা না দিলে মিলছে না ভাতার কার্ড! চাখারে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ জগন্নাথপুরে মোটরসাইকেলের নিচে চাপা পড়ে ৭ বছর বয়সী এক শিশু নিহত  ধর্ষণ মামলায় পলাতক আসামী ফারুককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩। ভালুকায় রাতের অধাঁরে কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ বালাগঞ্জ বাজারে ব্যবসায়ীদের অর্থায়নে টিউবওয়েল পুনঃস্থাপন নাটোরের নলডাঙ্গায় যৌন নিপীড়নের চেষ্টার অভিযোগে একজন আটক। বৈদেশিক মুদ্রা চোরাচালান চক্রের ০২ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলায় আসামী মজনু মিয়া র‍্যাব-১৩ ও র‍্যাব-১ এর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার কাউখালীতে মৎস্য কার্ডধারী জেলেদের মধ্যে ছাগল বিতরণ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শাস্তির দাবি ভালুকায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন 

অসময়ে যমুনায় ভাঙন : অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৪১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • ১৫৮৫ বার পড়া হয়েছে

অসময়ে যমুনায় ভাঙন : অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

 

 

 

আসাদুর রহমান, এনায়েতপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
যমুনায় পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে যমুনা অধ্যুষিত খুকনী ও জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, ব্রাক্ষণগ্রাম, আড়কান্দি ও পারামোহনপুর এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত ২ সপ্তাহে এসব এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি যমুনার কড়াল গ্রাসে বিলীন হয়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৬শ’ ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এনায়েতপুর স্পার থেকে  হাটপাঁচিল পর্যন্ত প্রাায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার নদীর পাড় জুড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প একেনেকে অনুমোদিত হয়। এরপর টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে ২৬ টি প্যাকেজে ওই বাঁধ নিমাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু ভাঙন রোধে যথাসময়ে কাজ না করায় এসব এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা দিনদিন বাড়ছে। ফলে বদলে যাচ্ছে এনায়েতপুর মানচিত্র। এ কারণে যমুনানদী তীরবর্তী ওইসব এলাকার সাধারন মানুষের বতমানে দিন কাটছে চরম উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায়! দেখার কেউ নেই !
থানার জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের ভাঙন কবলিত এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভাঙন রোধে প্রায় এক বছর হলো বাঁধের কাজ শুররু হলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। যখন ভাঙন শুরু হয়, তখন ভাঙন কবলিত স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হলেও ভাঙনের তান্ডবলীলা থামানো সম্ভব হচ্ছে না। গত বছরও নদী ভাঙনে এলাকার প্রায় তিন শতাধিক বাড়ি ঘর, ফসলি জমি, স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ, নদী গর্ভে বিলীন হয়। বিশেষ করে জালালপুর, আরকান্দি ও ব্রাক্ষণগ্রামে ভাঙনের ভয়াবহতা বেশি পরিলক্ষিত হয়। জালালপুর আবাসন প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামও যমুনায় বিলীন হয়। এলাকাবাসীর দাবি, সময়মতো বাঁধ নির্মাণ করা হলে এসব এলাকা ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেতো ও এলাকাবাসীর ক্ষয়ক্ষতির হারও কমে যেতো।
ভাঙন কবলিত এলাকার শহিদ আলী সিকদার, আব্দুস সালাম, মনিরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, আবু বক্কার, নুরুজ্জামান, গ্যাদনসহ বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, নদীপাড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য গত বছর আমাদের কৃষি জমিতে ঠিকাদাররা বালু স্তুপ করে রাখে। কিন্তু পরে স্তুপকৃত সেই বালু দিয়ে নির্মাণ কাজে ব্যবহার না করে ট্রাকযোগে বিক্রি করা হচ্ছে। যথাসময়ে বাঁধ নির্মাণ না করায় আসন্ন বন্যায় নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারানোর শঙ্কায় বর্তমানে অতি দুঃশ্চিন্তায় আমাদের দিন কাটছে।
জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ জানান, যমুনায় পানি বৃদ্ধিতে খুকনী ও জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, ব্রাক্ষণগ্রাম, আড়কান্দি ও পারামোহনপুর এলাকায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি যমুনায় বিলীন হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো মানবেতর দিনযাপন করছে। গত ২ সপ্তাহে নূর হোসেন, নূর ইসলাম, সিদ্দিক, মনতাজ, হাসমত, হোসেন আলীসহ অনেকেরই ঘরবাড়ি, জমিজমা যমুনায় বিলীন হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রণজিত কুমার সরকার বলেন, গত বছর এনায়েতপুর থেকে হাটপাঁচিল পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু জুন মাসের শুরুতে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধিতে কাজ বন্ধ রাখে ঠিকাদারেরা। তবে ২৬টি প্যাকেজের মধ্যে ৭টি প্যাকেজের কাজ চলমান রয়েছে। অন্যান্য প্যাকেজ গুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্যাকেজের ঠিকাদাররা কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিছুদিন আগে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী প্রকল্পটি পরিদর্শন করে তীব্র ভাঙন প্রবণ এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে নদীপাড় সংরক্ষণের নির্দেশ দেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, এনায়েতপুর থেকে হাটপাঁচিল পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত রয়েছে। সঠিক সময়েই বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন জানান, ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। সেইসাথে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করতেও বলা হয়েছে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালের কাজিরহাট থানায় মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়ারুদের আড্ডা, প্রশাসন নিরব। 

অসময়ে যমুনায় ভাঙন : অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন

আপডেট সময় ১১:৪১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

 

 

 

আসাদুর রহমান, এনায়েতপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
যমুনায় পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে যমুনা অধ্যুষিত খুকনী ও জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, ব্রাক্ষণগ্রাম, আড়কান্দি ও পারামোহনপুর এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত ২ সপ্তাহে এসব এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি যমুনার কড়াল গ্রাসে বিলীন হয়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৬শ’ ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এনায়েতপুর স্পার থেকে  হাটপাঁচিল পর্যন্ত প্রাায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার নদীর পাড় জুড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প একেনেকে অনুমোদিত হয়। এরপর টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে ২৬ টি প্যাকেজে ওই বাঁধ নিমাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু ভাঙন রোধে যথাসময়ে কাজ না করায় এসব এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা দিনদিন বাড়ছে। ফলে বদলে যাচ্ছে এনায়েতপুর মানচিত্র। এ কারণে যমুনানদী তীরবর্তী ওইসব এলাকার সাধারন মানুষের বতমানে দিন কাটছে চরম উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায়! দেখার কেউ নেই !
থানার জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের ভাঙন কবলিত এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভাঙন রোধে প্রায় এক বছর হলো বাঁধের কাজ শুররু হলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। যখন ভাঙন শুরু হয়, তখন ভাঙন কবলিত স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হলেও ভাঙনের তান্ডবলীলা থামানো সম্ভব হচ্ছে না। গত বছরও নদী ভাঙনে এলাকার প্রায় তিন শতাধিক বাড়ি ঘর, ফসলি জমি, স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ, নদী গর্ভে বিলীন হয়। বিশেষ করে জালালপুর, আরকান্দি ও ব্রাক্ষণগ্রামে ভাঙনের ভয়াবহতা বেশি পরিলক্ষিত হয়। জালালপুর আবাসন প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামও যমুনায় বিলীন হয়। এলাকাবাসীর দাবি, সময়মতো বাঁধ নির্মাণ করা হলে এসব এলাকা ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেতো ও এলাকাবাসীর ক্ষয়ক্ষতির হারও কমে যেতো।
ভাঙন কবলিত এলাকার শহিদ আলী সিকদার, আব্দুস সালাম, মনিরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, আবু বক্কার, নুরুজ্জামান, গ্যাদনসহ বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, নদীপাড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য গত বছর আমাদের কৃষি জমিতে ঠিকাদাররা বালু স্তুপ করে রাখে। কিন্তু পরে স্তুপকৃত সেই বালু দিয়ে নির্মাণ কাজে ব্যবহার না করে ট্রাকযোগে বিক্রি করা হচ্ছে। যথাসময়ে বাঁধ নির্মাণ না করায় আসন্ন বন্যায় নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারানোর শঙ্কায় বর্তমানে অতি দুঃশ্চিন্তায় আমাদের দিন কাটছে।
জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ জানান, যমুনায় পানি বৃদ্ধিতে খুকনী ও জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, ব্রাক্ষণগ্রাম, আড়কান্দি ও পারামোহনপুর এলাকায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি যমুনায় বিলীন হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো মানবেতর দিনযাপন করছে। গত ২ সপ্তাহে নূর হোসেন, নূর ইসলাম, সিদ্দিক, মনতাজ, হাসমত, হোসেন আলীসহ অনেকেরই ঘরবাড়ি, জমিজমা যমুনায় বিলীন হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রণজিত কুমার সরকার বলেন, গত বছর এনায়েতপুর থেকে হাটপাঁচিল পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু জুন মাসের শুরুতে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধিতে কাজ বন্ধ রাখে ঠিকাদারেরা। তবে ২৬টি প্যাকেজের মধ্যে ৭টি প্যাকেজের কাজ চলমান রয়েছে। অন্যান্য প্যাকেজ গুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্যাকেজের ঠিকাদাররা কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিছুদিন আগে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী প্রকল্পটি পরিদর্শন করে তীব্র ভাঙন প্রবণ এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে নদীপাড় সংরক্ষণের নির্দেশ দেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, এনায়েতপুর থেকে হাটপাঁচিল পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত রয়েছে। সঠিক সময়েই বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন জানান, ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। সেইসাথে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করতেও বলা হয়েছে।