বাংলাদেশ ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
শ্রীমঙ্গলে আড়াই বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যা কালকিনিতে স্ত্রীর জন্য শিক্ষকদের কাছে ভোট চাওয়ার অভিযোগ সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন- ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা নব-নির্বাচিত ময়না চেয়ারম্যানকে গণসংবর্ধনা রাবি শিক্ষার্থী জিসানের শতাধিক নিরীক্ষাধর্মী ছবি নিয়ে একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী রাবি সায়েন্স ক্লাবের ” Win the Career Race” কর্মশালার আয়োজন অনিয়মের অভিযোগে ইটভাটায় অর্থদন্ড করে ভ্রাম্যমাণ আদালত রাবিতে শুরু হল দুই দিনব্যাপী আরিইউসিসি জব ফেয়ার কেন্দ্রীয় ম‌হিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠ‌নিক সৈয়দা রা‌জিয়া মোস্তফা’র পৈত্রিক বসতঘরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড যতদিন বাচবো মুলাদীর মানুষের সাথে থাকবো-মিঠু খান মির্জাগঞ্জের উপজেলা নির্বাচনে, প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা কয়রায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত আট বছরের ঘুমন্ত শিশুকে কোলে করে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা নাগরপুরে নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেতাদের সাথে মতবিনিময় করলেন – পান্না সিলেট আসার পথে দুর্ঘটনায় ব্যান্ড শিল্পী আহসান তানভীর পিয়াল নিহত।

হোসেনপুরে বিলুপ্তির পথে বকপাখি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৬৩৭ বার পড়া হয়েছে

হোসেনপুরে বিলুপ্তির পথে বকপাখি

 

 

 

 

 

 

মাহফুজ হাসান, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাচ্ছে বকপাখি। “ওই দেখা যায় তাল গাছ, ওই আমাদের গাঁ। ওই খানেতে বাস করে কানা বগীর ছা’ —ছোট বেলায় পাঠ্যবইয়ের পাতা উল্টিয়ে যখন কবিতার চরণগুলো পড়তাম, তখন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের খাল-বিল কিম্বা ছোট নদীর ধারে একদল  বকপাখি খেলা করছে, এমন দৃশ্য ভেসে ওঠতো।
এই তো কয়েক বছর আগেও ছিল  বকপাখির বিচরণ। সকাল বেলা পুকুর পাড়ে, বিল ও খালের ধারে, ক্ষেতের পাশে শিকারের অপেক্ষায় নিশ্চুপ বসে থাকা  বকপাখিটি দেখে মনের অজান্তেই ভাললাগা শুরু হতো। মিনিটপাঁচেক অপেক্ষার পর  বকটি টোপ করে তার লম্বা ঠোঁটে পুঁটিমাছ শিকার করে নিতো। আর তখনই কবির ভাষায় নিজের কল্পনাতে আঁকা ‘ও বগী তুই খাস কি? পান্তা ভাত চাস কি? পান্তা আমি খাই না পুঁটিমাছ পাই না, একটা যদি পাই অমনি ধরে গাপুসগুপুস খাই’ এই চরণগুলোর জ্যান্ত দৃশ্য দেখার সুযোগ হতো। তবে এখন আর কবিতার চরণের সঙ্গে বাস্তবে হোসেনপুরের গ্রামের খাল-বিলে সেই দৃশ্যপট চোখে পড়ে না। কেননা, সেই লম্বা ঠোঁটের অধিকারী বকের আবাসস্থলে মানুষ দিচ্ছে হানা। আর এতেই ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হচ্ছে ‘বক’। 
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখন আর খাবারের সন্ধানে বিল-নদী জলাশ্বয়ে আসা সাদা বকের খুব বেশি আর দেখা মেলেনা এ উপজেলায় । বনভূমি উজার আর কিছু অসাধু পাখি শিকারীদের দৌরাত্ম্যে হারিয়ে যেতে বসেছে এই বক। অথচ আমাদের বাংলা কবিতা ও সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশাল জায়গা দখল করে আছে বিভিন্ন রকমের বক। কখনও মেঘাচ্ছন্ন আকাশে ঝাঁক বেঁধে উড়ে চলা, কখনও দিগন্ত বিস্তৃত মাঠের সবুজ গালিচার সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দিত ঝাঁকে ঝাঁকে এই সাদা বক। আবার কখনও দলবদ্ধ হয়ে উড়তে উড়তে একসময় মিশে যেত দূর আকাশ নিলীমায়। আর এই উড়ে যাওয়া মানেই প্রস্থান নয়। এক বিল থেকে অন্য বিলে অথবা দিন শেষে কোন বন কিম্বা বাঁশঝাড়ে নিজ নীড়ে ফিরে যেত এই বকগুলো। প্রকৃতিক নান্দনিক পাখি বক, বকের কলরব এখন শুধুই স্মৃতি হোসেনপুরে।
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গলে আড়াই বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যা

হোসেনপুরে বিলুপ্তির পথে বকপাখি

আপডেট সময় ০২:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

 

 

 

 

 

 

মাহফুজ হাসান, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাচ্ছে বকপাখি। “ওই দেখা যায় তাল গাছ, ওই আমাদের গাঁ। ওই খানেতে বাস করে কানা বগীর ছা’ —ছোট বেলায় পাঠ্যবইয়ের পাতা উল্টিয়ে যখন কবিতার চরণগুলো পড়তাম, তখন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের খাল-বিল কিম্বা ছোট নদীর ধারে একদল  বকপাখি খেলা করছে, এমন দৃশ্য ভেসে ওঠতো।
এই তো কয়েক বছর আগেও ছিল  বকপাখির বিচরণ। সকাল বেলা পুকুর পাড়ে, বিল ও খালের ধারে, ক্ষেতের পাশে শিকারের অপেক্ষায় নিশ্চুপ বসে থাকা  বকপাখিটি দেখে মনের অজান্তেই ভাললাগা শুরু হতো। মিনিটপাঁচেক অপেক্ষার পর  বকটি টোপ করে তার লম্বা ঠোঁটে পুঁটিমাছ শিকার করে নিতো। আর তখনই কবির ভাষায় নিজের কল্পনাতে আঁকা ‘ও বগী তুই খাস কি? পান্তা ভাত চাস কি? পান্তা আমি খাই না পুঁটিমাছ পাই না, একটা যদি পাই অমনি ধরে গাপুসগুপুস খাই’ এই চরণগুলোর জ্যান্ত দৃশ্য দেখার সুযোগ হতো। তবে এখন আর কবিতার চরণের সঙ্গে বাস্তবে হোসেনপুরের গ্রামের খাল-বিলে সেই দৃশ্যপট চোখে পড়ে না। কেননা, সেই লম্বা ঠোঁটের অধিকারী বকের আবাসস্থলে মানুষ দিচ্ছে হানা। আর এতেই ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হচ্ছে ‘বক’। 
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখন আর খাবারের সন্ধানে বিল-নদী জলাশ্বয়ে আসা সাদা বকের খুব বেশি আর দেখা মেলেনা এ উপজেলায় । বনভূমি উজার আর কিছু অসাধু পাখি শিকারীদের দৌরাত্ম্যে হারিয়ে যেতে বসেছে এই বক। অথচ আমাদের বাংলা কবিতা ও সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশাল জায়গা দখল করে আছে বিভিন্ন রকমের বক। কখনও মেঘাচ্ছন্ন আকাশে ঝাঁক বেঁধে উড়ে চলা, কখনও দিগন্ত বিস্তৃত মাঠের সবুজ গালিচার সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দিত ঝাঁকে ঝাঁকে এই সাদা বক। আবার কখনও দলবদ্ধ হয়ে উড়তে উড়তে একসময় মিশে যেত দূর আকাশ নিলীমায়। আর এই উড়ে যাওয়া মানেই প্রস্থান নয়। এক বিল থেকে অন্য বিলে অথবা দিন শেষে কোন বন কিম্বা বাঁশঝাড়ে নিজ নীড়ে ফিরে যেত এই বকগুলো। প্রকৃতিক নান্দনিক পাখি বক, বকের কলরব এখন শুধুই স্মৃতি হোসেনপুরে।